বর্তমানে কোমর ব্যথায় ভুগছেন এরকম লোকের সংখ্যা নেহায়েতই কম নয়। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে কোমর ব্যথা রোগীর সংখ্যা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। মূলত মানব দেহের যে কোন অংশের ব্যথা হতে পারে। তারমধ্যে কোমরের ব্যথা সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণাদায়ক হিসেবে ধরা হয়। কোমর ব্যাথা সারানোর অনেক উপায় রয়েছে। সেগুলো সঠিকভাবে রপ্ত করার মাধ্যমেই কেবলমাত্র কোমর ব্যথা সারানো সম্ভব। সে সকল ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কথা মাথায় রেখেই আজকে আমার এই পোস্টটির মূল বিষয়গুলো উপস্থাপন করছি। আলোচ্য বিষয়টি জানার পাশাপাশি আপনারা আরও যে সকল বিষয়ে জানতে পারবেন সেগুলো হলো- কোমরের ব্যথা কেন হয়, কোমর ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়, কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ, ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে কোন ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট সেবন করতে হবে। সুতরাং কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায় সংক্রান্ত সকল বিষয় জানার জন্য অবশ্যই এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। আমাদের ওবেসাইট ভিজিট করতে ক্লিক করুন
কোমরের ব্যথা কেন হয়
ডাক্তারদের মতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোমরের ব্যথা কেন হয় তার কারণ প্রকৃত অর্থে খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে মোটামুটি একটা ধারণা করে এর প্রতিকার করা সম্ভব। কোমর ব্যথা নিরসনের ক্ষেত্রে বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির ঔষধের প্রচলন আছে। তবে আমরা সবসময় প্রাথমিক পর্যায়ের সমস্যাগুলো ঔষধ ব্যতিত নিরসনের চেষ্টা করে থাকি। বিভিন্ন ঘরোয়া উপায় এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে কোমরের ব্যথা খুব সহজেই নিরসন করা সম্ভব হবে, যদি এরকম কেউ প্রতিজ্ঞা নিয়ে নিয়মিত শরীরচর্চা করে তাহলে তিন মাসের মধ্যেই তার কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

দীর্ঘ সময় অর্থাৎ যদি অনেক সময় ধরে টানা বসে বসে কাজ করতে হয় সেক্ষেত্রে কোমরের ব্যথা সৃষ্টি হয়ে থাকে। কোমরের ব্যথার আরও অনেক কারণ রয়েছে যার ফলে কোমরের ব্যথা শুরু হয় এবং একপর্যায়ে এর মাত্রা তীব্র আকার ধারণ করে। তবে ঘাবড়ানোর কোন কারণ নেই। কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায়গুলো সম্পর্কে আপনাদের সঠিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। প্রথমে আপনাদের সুবিধার্থে পিঠ ও কোমরের ব্যথা কেন হয় সে বিষয়টি পয়েন্ট আকারে নিচে তুলে ধরা হলোঃ
- যাদের পরিশ্রমের কাজ করার অভ্যাস নাই, তারা যদি হঠাৎ করে ভারি জিনিসপত্র তোলার কাজ করে সেক্ষেত্রে কোমর ব্যথা হতে পারে।
- একটানা অনেকক্ষণ ধরে যদি বসে কাজ করা হয়।
- যারা অফিসিয়াল কাজ করেন তাদেরকে দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারের সামনে বসে থাকতে হয়, তাই তাদের এ ধরনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- অলস মস্তিষ্কের অধিকারী এবং নিয়মিত ব্যায়াম না করার ফলে কোমরে ব্যথা হয়ে থাকে।
- আবার যদি পূর্বে ব্যায়াম করার অভ্যাস না থাকে এবং হঠাৎ করে যদি জিমে গিয়ে ভারী ওয়েট লিফটিং করা হয় সেক্ষেত্রে পুরো শরীর এমন কি কোমর ব্যথা করে থাকে।
- যারা খেলাধুলা করেন তারা খেলা শুরু হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে যদি ওয়ার্মআপ অর্থাৎ হালকা ব্যায়াম না করে খেলা শুরু করে সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে কোমরে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ
পিঠে ঘন ঘন কোমরের ব্যথা কেন হয় ? ব্যথার পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তার সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে মানসিক দুশ্চিন্তা। কেননা আমরা মনে করি যে কোমরে ব্যথা হলে সেটা কিডনি ড্যামেজ হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ। তবে আমাদের জেনে রাখতে হবে যে, কিডনি রোগের উপসর্গগুলোর মধ্যে কোমরে ব্যথা হলেও আসলে সব ধরনের কোমরের ব্যথা কিডনি রোগের উপসর্গ বলে ধরা হয় না। কোমরের ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শরীরের পেশী ও লিগামেন্টে হঠাৎ করে যদি টান অথবা চাপ খায় সেক্ষেত্রে কোমর ব্যথা করতে পারে।
আমার এই মেরুদন্ডের অভ্যন্তরে কিছু বিশেষ ডিস্ক রয়েছে। যদি কোন দুর্ঘটনাবশত বা যে কোন কারণবশত এ সকল ডিস্ক সরে যায় সেক্ষেত্রে কোমরে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা সৃষ্টি হয়। তবে অবশ্যই কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ কিছু উপায় রয়েছে, যার মাধ্যমে এ সকল সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। তাই না ঘাবড়িয়ে সঠিক রোগ নির্ণয় করার মাধ্যমে অবশ্যই রোগ মুক্তি লাভ করা সম্ভব। রোগের তারতম্য অনুযায়ী কোমরের ব্যথার তীব্রতাও কম-বেশি হয়ে থাকে।
তবে যদি আমরা পূর্বে এ ধরনের রোগ চিহ্নিত করতে পারি তাহলে অবশ্যই এর প্রতিরোধ করা সম্ভব। এ ধরনের রোগে পুরুষের থেকে নারীরাই বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এজন্য নারীদের কোমর ব্যথার বিষয়ে অনেক সচেতন থাকতে হয়। তাহলে আপনি কোমরের ব্যথা বা অস্টিওপোরোসিস রোগে আক্রান্ত কিনা সেটা যদি বুঝতে পারেন তাহলে আপনি অনেকটাই নিশ্চিন্ত হতে পারবেন যে আপাতত আপনি কিডনি রোগে আক্রান্ত নয়। তাহলে চলুন কিছু লক্ষণ দেখে বোঝার চেষ্টা করা যাক যে কোনগুলো অস্টিওপোরোসিস রোগের লক্ষণ।
- অস্টিওপোরোসিস রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে প্রথম লক্ষণ হল- অস্থি ভঙ্গুর হতে থাকে এবং পুরুত্ব কমতে থাকে যার ফলে শরীরের পেছনের অংশ বিশেষ করে মেরুদন্ড বরাবর ব্যথা হয়।
- শারীরিক দুর্বলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পেশির শক্তি কমতে থাকে, যার ফলে ভারী কোন জিনিস উঠানো বা পরিশ্রমের কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
- পিঠের পিছন সাইডে অনেক পরিমাণে ব্যথা আরম্ভ হয় এবং পরবর্তীতে ব্যথার পরিমাণ তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে।
- শরীরে প্রত্যেকটি হাড়ে এবং হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা হয়।
আপাতত এই লক্ষণগুলো যদি আপনি বুঝতে পারেন যে আপনার সঙ্গে ঘটছে তাহলে বুঝে নিবেন আপনি অস্টিওপোরোসিস রোগে আক্রান্ত যার ফলে আপনার কোমরে ব্যথা হচ্ছে। তবে কিডনি রোগের ক্ষেত্রে কোমরের ব্যথার উপসর্গগুলো একটু আলাদা হয়। তবে আশার কথা হল আপনি কিডনি রোগে আক্রান্ত নয়, তবে অস্টিওপোরোসিস মারাত্মক একটি রোগ যা পরবর্তীতে আরো মারাত্মক আকার ধারণ করে। এজন্য প্রাথমিক অবস্থাতেই কোমরের ব্যথা কেন হয় বিষয়টি সঠিকভাবে জেনে বুঝে কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায় অবলম্বন করে উক্ত সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায়
আমরা প্রথমেই ঔষধ সেবনের পরিবর্তে প্রাকৃতিকভাবে রোগ নির্ণয় করার মাধ্যমে রোগ নির্মূল করার আহ্বান করে থাকি। আর এখানেও বিষয়টি ঠিক তেমনি ঘটতে চলেছে। কোমর ব্যথা সারানোর সহজ কিছু উপায় আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করব। আপনাদের জ্ঞাতার্থে আরো একটি বিষয় উল্লেখ করছি যে, কোমরের ব্যথা যদি প্রাথমিক উপায়ের মাধ্যমে ভালো না হয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন কোমরের প্রধান পাঁচটি হাড়ে সমস্যা বা ক্ষয় শুরু হলে হাড়ের ডিস্ক এবং মাংসপেশী নষ্ট হলে কোমরে ব্যথার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। সাধারণত এ ধরনের সমস্যা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার কারণে বেশি হয়ে থাকে। আবার কোন কোন রোগের ক্ষেত্রে গ্যাসের জন্য পিঠে ব্যথা হয়। গ্যাস্টিকের জন্য যদি পিঠে ব্যথা ওঠে তাহলে সেটির লক্ষণগুলো একটু আলাদা হয়। গ্যাস্টিকের সমস্যা জনিত সকল বিষয়ের আর্টিকেল আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করা রয়েছে। আপনি চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে আসতে পারেন।
প্রাকৃতিক উপায়ে যদি আমরা কোমরের ব্যথা সারানোর উপায় খোজা হয়, তাহলে সর্বপ্রথম যে বিষয়টি সামনে আসে সেটি হল খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত শরীর চর্চা। একটি সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং খাদ্য তালিকা আপনার শরীরকে যেমন ফিট রাখবে ঠিক তেমনি অন্যান্য সকল সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে।
কোমরের ব্যথা কমানোর উপায় ব্যায়াম
কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায়গুলোর মধ্যে ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু ব্যথার পরিমাণ যদি বেশি হয়ে থাকে তাহলে কখনোই সঠিকভাবে ব্যায়াম করাও সম্ভব নয়, আর ব্যাথা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়ে। ডাক্তাররা সব সময় কোমর ব্যথা বা যে কোন শারীরিক ব্যথার ক্ষেত্রে ব্যায়াম কে গুরুত্ব দিয়েছেন। ব্যায়ামের পাশাপাশি যদি ব্যথা অতিরিক্ত হয় সে ক্ষেত্রে কোমরে হালকা গরম সেঁক দেওয়া যেতে পারে। ব্যথার পরিমাণ যদি খুব বেশি হয় সে ক্ষেত্রে ৫ থেকে ৭ দিন ব্যথা কমতে সময় নিতে পারে। তাই বিষয়টিকে নিয়ে বেশি না ঘাবড়িয়ে কোমরের ব্যথা কেন হয় সে বিষয়টি জানতে হবে এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার মাধ্যমেই সমস্যাটি থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব। যদি কোন মহিলা বয়সজনিত কারণে অথবা অল্প বয়সে কোমরের যে কোন সমস্যার কারণে যদি তীব্র ব্যথা অনুভব করে সে ক্ষেত্রে মহিলাদের কোমর ব্যথার ব্যায়ামগুলো অবশ্যই সঠিকভাবে এপ্লাই করা প্রয়োজন। ব্যায়ামগুলোকে কয়েকটি ধাপে বিভক্ত করা হয়েছে। অবশ্যই প্রত্যেকটি ধাপ সঠিকভাবে চর্চা করতে হবে তাহলে কেবলমাত্র ভালো ফলাফল আশা করা যায়।
প্রথম ধাপ
প্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে হাত দুটোকে শরীরের দুইপাশে রেখে পা দুটো সোজা করে তারপর শুতে হবে। এক্ষেত্রে হাটু ভাজ না করেই একটি পা উপরের দিকে তুলতে হবে। যতটা উপরে তুলতে পারবেন তোলার চেষ্টা করুন। এভাবে ১০ সেকেন্ড রাখার চেষ্টা করুন। অন্য পা নিয়ে ঠিক একইভাবে সেম পজিশনে রাখুন।
দ্বিতীয় ধাপ
এ পর্যায়ে এসে পা দুটি একসঙ্গে তুলতে হবে। এবার এক হাঁটু ভাঁজ করে দুই হাত ব্যবহার করে অপর হাঁটু ভাঁজ করে জড়িয়ে ধরে বুকে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে। বুকে লাগানোর পর ঠিক ১০ সেকেন্ড অপেক্ষা করতে হবে। ঠিক একইভাবে অন্য হাঁটুও বুকে লাগানোর চেষ্টা করুন। এভাবে দুই হাঁটু একসঙ্গে এবার বুকে লাগানোর চেষ্টা করুন এবং ওই পজিশনে ১০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন।
শেষ ধাপ
সর্বশেষ এ ধাপে এসে দুই পা সোজা করে পায়ের পাতার দিক করে ১০ সেকেন্ড রাখতে হবে। প্রতিটি ধাপ অবশ্যই কমপক্ষে ১০ সেকেন্ড করে পজিশন ধরে রাখাটা খুবই জরুরী। মহিলাদের কোমর ব্যথার ব্যায়ামগুলো অবশ্যই দিনে ২ থেকে ৩ বার সকাল এবং রাতে করার চেষ্টা করুন। অল্প বয়সে কোমর ব্যথার কারণগুলো যদি বুঝতে পারেন তাহলে অবশ্যই উপরোক্ত ব্যায়ামগুলো করার মাধ্যমে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। উপরে বর্ণিত ব্যায়ামগুলো অর্থাৎ পদ্ধতিগুলো যদি অবলম্বন করা হয় সেক্ষেত্রে কোমরের মাংসপেশীর ইনফ্লামেশন কমবে তো বটেই তার সঙ্গে কোমর শক্ত হবে। এতে করে আপনি কোমর থেকে ব্যথা অনুভব আর বুঝতে পারবেন না। এছাড়াও ব্যথা কমানোর জন্য পেলাটিস এবং স্ট্রেচিং এর মত কিছু ব্যায়াম করতে পারেন।
কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
আমরা যেহেতু প্রাকৃতিক উপায়ে কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায়গুলো ফলোআপ করার মাধ্যমে ব্যথা নিরসন করার চেষ্টা করব। আর তাই ঘরোয়া উপায় গুলো আসবে না তা কি করে হয়। উপরে বর্ণিত ব্যায়াম করার পাশাপাশি আরো কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে কোমরের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া না গেলেও সাময়িকভাবে আরামবোধ হতে পারে। নিচে পয়েন্ট আকারে কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো পর্যায়ক্রমে বর্ণনা করা হলো।
- কোমরের ব্যথা নিরসনের জন্য হালকা গরম সেঁক নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে এক টুকরো সুতি কাপড় ভালোভাবে ভাঁজ করে গরম পানিতে ভিজিয়ে অথবা ইলেকট্রিক আয়রন দ্বারা হালকা গরম করে পিঠে আলতো ভাবে সেঁক দিলে আরাম পাওয়া যায়।
- ঘরোয়া উপায়গুলোর মধ্যে আরও একটি উপায় হলো সরিষার তেল হালকা গরম করে সেখানে রসুন এবং মেথি বেটে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর উপুড় হয়ে শুয়ে কাউকে দিয়ে ভালোভাবে পিঠ এবং মেরুদন্ডের প্রত্যেকটি অংশ মালিশ করে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন মিশ্রণটি অবশ্যই হালকা কুসুম গরম থাকে।
- অনেকের দাবি কোমরের ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে আদার ভূমিকা অপরিসীম। এক্ষেত্রে কাঁচা আদা চিবিয়ে খাওয়া বা চায়ের সঙ্গে আদার রস খেলে মুখটি মিলবে। কেননা আদায় থাকে পটাশিয়াম। পটাশিয়াম বিভিন্ন স্নায়ু তন্ত্রের জটিলতা দূরীকরণে ব্যবহার হয়।
- যে বিছানায় শুয়ে থাকেন সেটি নরম ম্যাট্রেস বা ফোমের বিছানা হওয়া চলবে না। এতে করে ব্যথার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
কোমরের ব্যথা কমানোর ট্যাবলেট
কোমরের ব্যথা কেন হয় সেটি যদি আমরা নির্ধারণ করতে পারি তাহলে ঘরোয়া উপায়গুলো আমরা অবশ্যই ভালোভাবে প্রয়োগ করতে পারব। এক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বপ্রথমে কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায়গুলো ভালোভাবে অনুসরণ করতে হবে। এরপরেও যদি কোন উন্নতি পরিলক্ষিত না হয় সে ক্ষেত্রে ঔষধ সেবন করা যাবে। আমরা এখানে আপনাদের সুবিধার্থে কিছু কোমরের ব্যথা ভালো হওয়ার ঔষধের নাম বলে দেব। কিন্তু ঔষধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করা প্রয়োজন। কোমরের ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ৫ টি ভালো ব্যান্ডের ঔষধের নাম নিচে দেওয়া হলঃ
ঔষধের নাম-কোম্পানির নাম
- Fastdol Tab 325+37.5 mg-ACME Laboratories Ltd.
- Napadol Tab 325+37.5 mg-Beximco Pharmaceuticals Ltd
- Pangesic Tab 325+37.5 mg-Renata Limited
- Renova T Tab 325+37.5 mg-Opsonin Pharma Ltd
- Acetram Tab 325+37.5 mg-Square Pharmaceuticals Ltd.
কোমরের ব্যথা কমানোর ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট
কোমরের ব্যথা কমানোর জন্য ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট কতটা উপযোগী সেটা বলা সম্ভব নয়। আসলে ক্যালসিয়ামের অভাবে কোমরের ব্যথা হয় কিনা সেটা অভিজ্ঞ ডাক্তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা মাধ্যমে বুঝতে পারবেন। কোমরের ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়া কতটা উপযোগী সেটা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া গ্রহণ একদমই উচিত হবে না। তবে কেউ যদি বুঝতে পারে যে তার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে তাহলে সেক্ষেত্রে তিনি ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট সেবন করতে পারবে। আপনাদের সুবিধার্থে কিছু ৪টি ক্যালসিয়াম ওষুধের নাম নিচে তুলে ধরা হলোঃ
ঔষধের নাম-কোম্পানির নাম
- A-Cal D Tab 500+200 IU-ACME Laboratories Ltd.
- Aristocal D Tab 500+200 IU-Beximco Pharmaceuticals Ltd
- Caldil-Plus Tab 500+200 IU-Drug International Ltd
- Calbo-D Tab 500+200 IU-Opsonin Pharma Ltd
লেখকের শেষকথা
আশা করি আপনারা আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত হতে পেরেছেন। ভবিষ্যতে যদি কারো মনে প্রশ্ন থাকে যে কোমরের ব্যথা কেন হয় হয় এবং কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায় গুলো কি কি হতে পারে তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি অবশ্যই তার উপকারে আসবে। আর্টিকেলে বর্ণনা কৃত কোন তথ্য যদি কারো উপকারে আসে তাহলেই কেবলমাত্র লেখকের আসল সার্থকতা। আপনি যদি এরকম আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল পড়ার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকে তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন।
পাশাপাশি আজকের পোস্টটি যদি আপনার কাছে উপযুক্ত মনে হয়, তাহলে আপনার পরিচিত লোকজনদের উপকারের স্বার্থে একটি শেয়ার করতে পারেন।
ব্যথা সম্পর্কে আরও জানতে ক্লিক করুন
2 thoughts on “কোমরের ব্যথা কেন হয়-কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায়”