তুলসী পাতার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই তুলসী পাতার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে তুলসী পাতার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক। আমাদের ওবেসাইট ভিজিট করতে ক্লিক করুন

 

তুলসী পাতা নিয়ে কিছু কথা

তুলসী পাতার বিভিন্ন উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা আমাদের জন্য অনেক জরুরী। তুলসী গাছ লামিয়াসি পরিবারের অন্তর্গত সুগন্ধী একটি উদ্ভিদ। তুলসী গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Ocimum Sanctum। তুলসী শব্দের অর্থ হলো যার কোন তুলনা নেই। তুলসী গাছের নাম যেমন, তেমনি এর কাজের কথা বলেও শেষ করা যায় না। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই তুলসি গাছ দেখতে পাওয়া যায়।

সনাতন ধর্মের লোকদের নিকট তুলসী গাছ একটি পবিত্রতম গাছ। তাই তারা তুলসী গাছ বাড়ির উঠানে লাগিয়ে থাকে। তাদের বিশ্বাস মতে তুলসী গাছের উপস্থিতিতে কোন রোগ হবে না বা অমঙ্গল হবে না। অনেকেই তুলসি গাছের শিকড় ও কান্ড ছোট ছোট করে গলায় পড়ে থাকেন এবং তাদের বিশ্বাস এই মালা পরলে সকল রোগ বা অমঙ্গল হতে বিরত থাকা যাবে।

 

তুলসী পাতার উপকারিতা 

তুলসী পাতার বিভিন্ন ধরণের উপকারিতা রয়েছে। কিন্তু কি কি উপকারিতা রয়েছে সেগুলো আপনাকে জানতে হবে। তুলসী পাতা ঔষধি গুণসম্পন্ন একটি উদ্ভিদ। তুলসী পাতার বহুবিধ গুণাগুণ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারে, তাই তুলসী পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত। তুলসী পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে তুলসী পাতার ভূমিকা অপরিসীম। আপনি যদি নিয়মিত তুলসী পাতার রস পান করেন, তাহলে আপনার শরীর থেকে বিষাক্ত টক্সিন বের হয়ে যাবে নিশ্চিত। তুলসী পাতা আমাদের হরমোন ব্যালান্স করে। শরীরে বাতের ব্যথা দুর করতে তুলসী পাতা মহোঔষধ হিসেবে কাজ করে। বাতের ব্যথা দূর করার জন্য আপনি নিয়মিত তুলসী পাতার রস সেবন করতে পারেন।

ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য তুলসী পাতা আশির্বাদ স্বরুপ। শরীরের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল কম করতে তুলসী পাতার রস বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য তুলসী পাতার রস সেবন করতে পারেন।

আপনার যদি গ্যাস, এসিডিটি ও হজম-জনিত কোন সমস্যা থাকে, তাহলে তুলসী পাতার রস মধুর সাথে মিশিয়ে পান করলে শরীরের পাচন প্রক্রিয়ার জটিলতা নিরসন হয়। তুলসী গাছ থেকে উৎপাদিত বীজকে খনিজের ভান্ডার বলা হয়।  তুলসী পাতাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়াম। তুলসী পাতার বীজ স্বাস্থ্যর জন্য বিশেষ উপকারী।

আপনার শরীরের ১০ শতাংশ ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে পারে এক চামচ তুলশির বীজ। আপনার হাড়ের ব্যথা এবং হাড়কে শক্ত করতে নিয়মিত তুলসী পাতার বীজ সেবন করতে পারেন। তুলসী পাতার বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজম শক্তির উন্নতি করে। তাছাড়া ফাইবার শরীরের ওজন কমাতেও অনেক সাহায্য করে। এছাড়াও হালকা কুসুম গরম পানিতে তুলসী পাতার রস এবং তুলসী পাতার বীজ খেলে দ্রুত ওজন কমে যায়।

 

কাশির জন্য তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম 

তুলসী পাতার বিভিন্ন উপকারিতার মধ্যে আমাদের কাশি সারাতে এটি বিশেষ উপকারী। তুলসী পাতার রসে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা। শরীরের সর্দি, কাশি, ফুসফুসে প্রদাহ জনিত রোগ থেকে মুক্তি পেতে তুলসী পাতার কোনো তুলনা নেই। তুলসী গাছ একটি ঔষধি গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। তুলসীপাতা গাছের সকল অংশকে ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তুলসী গাছের পাতা, শেকড়, বাকল, বীজ ও ফুল সবগুলোই ঔষধি গুণসম্পন্ন।

তুলসী পাতার উপকারিতা

আপনি যদি নিয়ম মেনে তুলসী পাতার রস পান করেন তাহলে সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা ও ঠান্ডাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন, এমনকি এই রোগগুলো আপনার ধারে কাছেও আসবে না। চলুন তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

  • প্রথমে কয়েকটি তুলসী পাতার রস ও এক টেবিল চামচ আদার রস মিশিয়ে সেবন করলে আপনার গলা ব্যথা ভালো হয়ে যাবে।
  • এক কাপ পানিতে ৬-৭টি তুলসী পাতা, আদা কুচি ও লবঙ্গ মিশিয়ে গরম পানিতে ফুটিয়ে পান করলে খুশখুসে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • সর্দিজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সরাসরি তুলসী গাছ থেকে পাতা তুলে চিবিয়ে খান তাহলে সেফা পাবেন।
  • শিশুদের সর্দি, কাশি ও জ্বর হলে তুলশি পাতার রসের সাথে মধু মিশিয়ে খাওয়ালে ভালো উপকার পাবেন।

তুলসী গাছ থেকে সংগ্রহ করা বীজ গুঁড়া করে আপনি বছরের পর বছর সংরক্ষণ করতে পারবেন। তুলসী পাতার গুঁড়া শুকনা কাশি ভালো করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ খেয়েও যাদের কাশি ভালো হচ্ছে না বা মুক্তি পাচ্ছেন না, তারা তুলসী পাতার বীজ সংরক্ষণ করে রেখে দিতে পারেন। দুই গ্লাস পানিতে তুলসী পাতার বীজের গুঁড়া, দারুচিনি গুঁড়া ও লবঙ্গ গুঁড়া মিশিয়ে জাল করতে হবে। যখন পানি অর্ধেক হয়ে যাবে তার সাথে মধু মিশে খেতে পারেন। কাশি সারাতে তুলসী পাতার কোন বিকল্প নেই। নিয়মিত তুলসী পাতার রস সেবন করুন এর ফলে বিভিন্ন ভাবে উপকারিতা পাবেন। তুলসী পাতার উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না।

 

তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন 

তুলসী পাতার যেমন বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে। তুলসী পাতা সাধারণত অ্যাজমা, ব্রংকাইটিস, ফুসফুসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করা হয়। শরীরে ইনসুলিন উৎপাদনের কাজে তুলসী পাতা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই প্রতিদিন খাওয়ার আগে আপনি যদি তুলসী পাতা খান, তাহলে রক্তে সুগারের পরিমাণ কমে যাবে।

তুলসী পাতা এন্টিবায়োটিক এর মতো কাজ করে থাকে। তুলসী পাতাতে রয়েছে এক ধরনের রেডিও প্রটেকটিভ উপাদান, যা টিউমারের কোষকে ধ্বংস করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ক্যান্সারের প্রতিরোধে তুলসী পাতার রস বিশেষভাবে কাজ করে থাকে। তুলসী পাতার রস নিয়মিত সেবন করলে অগ্নাশয় টিউমারে কোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অস্বাভাবিক কোষ বিভাজনের কারণে যেসব ক্যান্সার সৃষ্টি হয়, নিয়মিত তুলসী পাতার রস সেবন করলে সেগুলো থেকে নিরাময় পাওয়া যায়। গলা ব্যথা, সর্দি-কাশি, বুকে জমা থাকা কফ পরিষ্কার করতে তুলসী পাতা খুব দ্রুত কাজ করে।

সনাতন ধর্মের মানুষেরা মনে করে, যদি তুলসী গাছ বাড়ির আঙ্গিনাতে থাকে, তাহলে তুলসী গাছের হাওয়া শরীরে লাগলে মন ভাল থাকে এবং পজিটিভ এনার্জি পাওয়া যায়। গর্ভাবস্থায় তুলসী পাতা সেবন করলে সেটি শরীরের জন্য ক্ষতি হতে পারে।

তবে সামান্য পরিমাণে খেলে তা ক্ষতির কারণ হবে না। কিন্তু আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণ তুলসী পাতার রস পান করেন, তাহলে জটিলতা দেখা দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যপান করানোর সময় নারীদের তুলসী পাতা সেবন না করাই উত্তম। অতিরিক্ত তুলসী পাতা খেলে নারীদের বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় তুলসী পাতা সেবনের বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

অতিরিক্ত তুলসী পাতা খেলে শরীরে অস্বাভাবিক রক্ত জমাট বাঁধার যে প্রবণতা থাকে তা নষ্ট হয়ে যায়। যদি কোন ধরনের সার্জারি করা হয় তবে সেই সার্জারির তিন সপ্তাহ আগে অবশ্যই তুলসি পাতা খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। যাদের নিম্ন রক্তচাপ রয়েছে তারা তুলসী পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কেননা তুলসী পাতাতে অনেক বেশি পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে যা নিম্ন রক্তচাপের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

 

মধু ও তুলসী পাতার উপকারিতা 

মধু ও তুলসী পাতা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারিতা। তুলসী পাতার রস এবং মধুর মিশ্রণ পুষ্টিতে ভরপুর। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মধু ও তুলসী পাতার রস পান করেন তাহলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া কিডনিতে যদি পাথর হয়, তাহলে প্রতিদিন নিয়মিত এক চামচ মধুর সাথে দুই চামচ তুলসী পাতার রস সেবন করুন। তাহলে দেখবেন কিডনির পাথর গলতে শুরু করছে।

মধু এবং তুলসীর মিশ্রণ কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে এবং হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। হৃদপিন্ডের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে মধু এবং তুলসীর মিশ্রণ অনেক কার্যকরী। তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম  জানতে নিচে পড়ুন।

 

তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম 

আপনি বিভিন্নভাবে তুলসী পাতা খেতে পারেন, তবে তুলসী পাতা সরাসরি চিবিয়ে খাওয়া বেশি কার্যকর। এছাড়া আপনি তুলসী পাতা রান্নার কাজে মসলা হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া তুলসীর পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে সংরক্ষণ করলে সেগুলি পরবর্তীতে সেবন করতে পারবেন। তুলসী পাতা জুস বানিয়েও খেতে পারবেন।

তুলসী পাতার জুস শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। অতিরিক্ত গরমে আপনি তুলসী পাতার জুস খেতে পারেন। তুলসী পাতা খাওয়ার সঠিক সময় হলো বিকেলে। তুলসী গাছের কচি পাতাগুলো সব সময় খাওয়ার জন্য বেছে নিবেন, কারণ কচি পাতাতে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

 

খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার  উপকারিতা 

খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়া বেশ উপকারী। তুলসী পাতাতে এন্টিফাঙ্গাল ও এন্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ রয়েছে। সেজন্য এটি খালি পেটে সেবন করলে খুব ভালো কাজ করে। পেটে জমে থাকা গ্যাস বা ক্ষতিকর টক্সিন নির্মূল করার জন্য সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। প্রতিদিন নিয়মিত সকালে দুই থেকে তিনটি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে শরীরে রক্তের ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায় এবং খারাপ কোলেস্টেরল শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।

 

কাশির জন্য তুলসী পাতা 

শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক পর্যন্ত যেকোনো ধরনের মানুষের সর্দি কাশির সমস্যা হতে মুক্তি দিতে পারে একমাত্র তুলসী পাতা। ঋতু পরিবর্তনের ফলে বা অতিরিক্ত গরমে, বৃষ্টির পানি মাথায় পড়লে যে সর্দি কাশি হয়, সেগুলো থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে চাইলে তুলসী পাতা খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। তাছাড়া শিশুদের সর্দি-কাশিজনিত সমস্যা সমাধানে এক চামচ মধুর সঙ্গে তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খাওয়ালে খুব দ্রুত সর্দি কাশি থেকে মুক্তি মিলে। যদি বুকে কফ বসে থাকে তাহলে গরম পানির সাথে তুলসী পাতার রস এবং গোলমরিচ একত্রে ফুটিয়ে খেলে কফ দ্রুত বেরিয়ে যায়।

 

তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক

গর্ভবতী মায়ের জন্য তুলসী পাতা সেবন করা ক্ষতিকর। মেয়েদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণ তুলসী পাতা সেবন বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত তুলসী পাতায় সেবনে শরীরের রক্তচাপ কমে যেতে পারে বা দূর্বলতা দেখা দিতে পারে।

তুলসী পাতার খুব একটা ক্ষতিকর দিক নেই। যদি নিয়ম মেনে অল্প পরিমাণ তুলসী পাতা খাওয়া যায় তবে তা শরীরের জন্য অনেক উপকার করে।

 

শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়ানোর নিয়ম 

ঋতু পরিবর্তনের ফলে শিশুদের যে ঠান্ডাজনিত রোগ দেখা দেয় সেগুলো থেকে মুক্তি পেতে গুড়ের সাথে তুলসী পাতার রস মিশিয়ে শিশুদের খাওয়ালে বেশ উপকার পাওয়া যায়। যেসব শিশুর খাবারের রুচি থাকে না বা খাবার খেতে চায় না, সেসব শিশুদের জন্য প্রতিদিন দু থেকে তিনটি পাতা রস করে  খাওয়ালে তার রুচি বৃদ্ধি পাবে। শিশুদের সারাদিন এনার্জেটিক করে রাখতে তুলসী পাতার শরবত খাওয়াতে পারেন, এতে  শিশুদের মন ভাল থাকবে এবং মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটবে।

 

তুলসী পাতা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা 

মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে তুলসী পাতা চিবিয়ে খান। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে তুলসী পাতার ভূমিকা অপরিসীম। তুলসী পাতাতে রয়েছে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সাইড প্রপার্টি, যা অকাল বার্ধক্য থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। তুলসী পাতা ত্বকের ময়লা দূর করতে, ত্বক পরিষ্কার রাখতে এবং উজ্জলতা বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন আপনি যদি নিয়মিতভাবে ২ থেকে ৩ টি পাতা চিবিয়ে খান, তাহলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পাবে।

 

তুলসী পাতার চায়ের উপকারিতা 

তুলসী পাতার চা শরীরের জন্য এতটাই উপকারী যে, বর্তমানে এই চা বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এক থেকে দুই কাপ তুলসী পাতার চা খেতে পারেন তাহলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পাবে। তুলসী পাতার চা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিকসের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। বর্তমানে বাংলাদেশে তুলসী

পাতার চা টি ব্যাগ হিসেবেও পাওয়া যায়। আপনি প্রতিদিন যদি ১ থেকে ২ টি ব্যাগের চা খেতে পারেন তাহলে মানসিক দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাবেন। তুলসী পাতার চা ফ্যাট জাতীয় খাবারের বিপাকে খুব সাহায্য করে। এছাড়াও মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করতে তুলসী পাতার চায়ের সঙ্গে এক টুকরো আদা, দারুচিনির গুঁড়ো, এলাচি মিশিয়ে শক্তিশালী পানীয় তৈরি করে খেতে পারেন। এরফলে আপনি যেকোনো কাজ করতে শরীরে এনার্জিটিক অনুভব করবেন।

 

লেখকের শেষ কথা

তুলসী পাতার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই পোস্টটিতে। আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে আশা করছি তুলসী পাতার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আপনার ইচ্ছা থাকে আপনার জ্ঞানভাণ্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করার তাহলে অবশ্যই বিষয়গুলো আপনাকে জানতে হবে।

আশা করি আমাদের এই পোস্টটি থেকে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যবহুল পোস্ট যদি আপনি নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে অবশ্যই সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

তুলসী পাতা সম্পর্কে আরও জানতে ক্লিক করুন

 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আমি শাহরিয়ার জামান (আবির) পেশায় একজন শিক্ষার্থী এবং জামান আইটি ২৪ এর CEO।

Leave a Comment