হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক। আমাদের ওবেসাইট ভিজিট করতে ক্লিক করুন
হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে যা খেলে হিমোগ্লোবিন বাড়বে
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার: পালং শাক, শাক-সবজি, ব্রকলি, লাল মাংস (গরুর মাংস), মুরগির মাংস, মাছ, লিভার, কিডনি, ডাল, চানা, মটরশুটি, কাজু বাদাম, কিসমিস ও খেজুর।
ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার: সাইট্রাস ফল, যেমন- কমলা, লেবু, পালং শাক, লেটুস, ব্রকলি, বিট ও শাক-সবজি।
ভিটামিন বি-১২ সমৃদ্ধ খাবার: ডিম, দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য, মাংস, মাছ ও মুরগি।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার: কমলা, লেবু, আমলকি, স্ট্রবেরি, ব্রকলি ও টমেটো।
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কত হলে শরীরে রক্ত দিতে হয়
যদি কোন গর্ভবতী মহিলা অপুষ্টির শিকার হন এবং তার শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যায়; তাহলে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। হিমোগ্লোবিনের অভাবে রক্ত প্রবাহে বিঘ্ন ঘটে। শরীরে অতিরিক্ত অক্সিজেনের অভাবে শরীরে শক্তির অভাব হয়। ফলে সেই ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
হিমোগ্লোবিন আসলে লাল রক্ত কণিকায় থাকা একটি অতি দরকারী প্রোটিন। এর কাজ হলো শরীরের কোষ ও টিস্যুতে অক্সিজেন পৌছানো। রক্তে হিমোগ্লোবিন স্বল্পমাত্রাকে বলা হয় হিমোগ্লোবিনের অভাব। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে এটি খুব সহজেই নির্ণয় করা যায়।
পুরুষদের ক্ষেত্রে: পুরুষ মানুষের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা যদি ৭-৮ গ্রাম/ডেসিলিটার বা তার কম হয়, তাহলে শরীরে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
মহিলাদের ক্ষেত্রে: মহিলাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা যদি ৬-৭ গ্রাম/ডেসিলিটার বা তার কম হয়, তাহলে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
গর্ভবতী মহিলা এবং শিশুদের ক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রক্ত দিতে হবে। চিকিৎসক রোগীর অবস্থার উপর ভিত্তি করে রক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে
লাল মাংস (যেমন গরুর মাংস, খাসির মাংস) – এই খাবারগুলিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা হিমোগ্লোবিন বাড়াতে যথেষ্ট সহায়তা করে।
মুরগির মাংস এবং মাছ: এতে হিম আয়রন থাকে যা শরীরে সহজেই শোষিত হয়।
ডিম: ডিমের কুসুমে আয়রন থাকে যা হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সহায়ক হয়।
শাক-সবজি (যেমন পালং শাক, মেথি শাক): এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ফোলেট থাকে যা রক্ত তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
ডাল এবং বিনস: এতে আয়রন, প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে যা রক্তের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
বাদাম এবং বীজ (যেমন কুমড়োর বীজ, তিল): এতে আয়রন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
ফল (যেমন আপেল, আঙুর, কিসমিস, খেজুর): এগুলো আয়রন এবং ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ যা আয়রন শোষণে সহায়তা করে।
শুকনো ফল (যেমন কাজু, কাঠবাদাম, আখরোট): এগুলো আয়রন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানে ভরপুর।
হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন মাছে
সামুদ্রিক মাছ: সামুদ্রিক মাছ ও বিভিন্ন খাবারে মিলবে পর্যাপ্ত আয়রন এবং অন্যান্য খনিজ পুষ্টি। তাই যাদের আগে থেকেই অ্যানিমিয়া বা রক্তশুন্যতা রয়েছে তারা নিয়মিত চিংড়ি, কাঁকড়াসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন। এতে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়বে।
স্যামন মাছ (Salmon): এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ওমেগা-৩, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন বি-১২ থাকে যা রক্তের জন্য খুবই উপকারী।
টুনা মাছ (Tuna): এটি আয়রনের একটি ভালো উৎস এবং এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে যা রক্ত তৈরি করতে সহায়তা করে।
সারডিন মাছ (Sardines): সারডিন মাছে আয়রনের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন-ডি থাকে।
হিলশা মাছ (Hilsa/Ilish): এটি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় মাছ। এতে আয়রন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে যা রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে।
ম্যাকারেল মাছ (Mackerel): ম্যাকারেল মাছেও আয়রন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা রক্তের জন্য অনেক উপকারী।
রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার লক্ষণ
অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা: শরীরে শক্তি কমে যায় এবং দৈনন্দিন কাজ করতে অনেক ক্লান্তি বোধ হয়।
শ্বাসকষ্ট: রক্তে হিমোগ্লোবিন কম থাকলে শরীর পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না, ফলে হাঁটার সময় বা সামান্য কাজেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
মাথা ঘোরা বা মাথাব্যথা: শরীরে অক্সিজেনের অভাব হলে মাথা ঘোরা কিংবা মাথা ব্যথার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
হালকা বা ফ্যাকাশে ত্বক: রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে ত্বকের রং হালকা বা ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারে।
হাত ও পায়ের ঠান্ডা অনুভূতি: শরীরে পর্যাপ্ত রক্তপ্রবাহ না হওয়ায় হাত-পায়ে ঠান্ডা লাগতে পারে।
হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া: রক্তে হিমোগ্লোবিন কম থাকলে হৃদয় অক্সিজেন সরবরাহ করতে দ্রুত কাজ করে, ফলে হার্টবিট বেড়ে যেতে পারে।
বুকে ব্যথা: রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাবে বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে।
নখের পরিবর্তন: রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাবে নখ ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া বা আকারে পরিবর্তন হতে পারে।
অধৈর্য্য বা মেজাজ খিটখিটে হওয়া: শরীরে অক্সিজেনের অভাব থাকলে মেজাজ খিটখিটে বা পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।
একাগ্রতা কমে যাওয়া: রক্তে হিমোগ্লোবিনের অভাবে যে কোন কাজে মনোযোগের অভাব লক্ষ্য করা যেতে পারে।
মাথা ঘোরা ও চোখে অন্ধকার দেখা: রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না, ফলে মাথা ঘোরা ও চোখে অন্ধকার দেখা দিতে পারে।
শ্বাসকষ্ট: শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতির জন্য শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য: রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।
চোখের পাতা ফেটে যাওয়া: রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে চোখের পাতা ফেটে যাওয়া সমস্যা দেখা দিতে পারে।
হিমোগ্লোবিন কম হলে কি খাওয়া উচিত নয়
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: দুধ, পনির ও দই। ক্যালসিয়াম আয়রনের শোষণ কমিয়ে দিতে পারে, তাই আয়রন-সমৃদ্ধ খাবারের সাথে এগুলো না খাওয়াই উত্তম।
ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়: চা, কফি এবং কোল্ড ড্রিঙ্কস। এগুলো আয়রনের শোষণে বাধা দেয়। বিশেষ করে এগুলি খাবারের সাথে খেলে।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: সম্পূর্ণ শস্য, ব্রান (গমের চোকার) এবং কিছু শাকসবজি। অতিরিক্ত ফাইবার শরীরের আয়রন শোষণ ক্ষমতা কমাতে পারে।
ফাইটেট সমৃদ্ধ খাবার: বাদাম, বীজ এবং কিছু শস্য। এগুলি ফাইটেট আয়রনের শোষণে বাধা দিতে পারে।
অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার: পালং শাক, বিট, চকোলেট এবং কিছু চা। অক্সালেট আয়রনের শোষণ কমাতে পারে।
অতিরিক্ত ভিটামিন সি: যদিও ভিটামিন সি সাধারণত আয়রন শোষণে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত ভিটামিন-সি সম্পূরক গ্রহণ করলে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে তা উল্টো প্রভাব ফেলতে পারে।
অ্যালকোহল: অতিরিক্ত মদ্যপান শরীরের আয়রন শোষণ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে এবং লিভার ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে।
রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার কারণ কি
আয়রনের অভাব: শরীরে পর্যাপ্ত আয়রন না থাকলে রক্তে হিমোগ্লোবিন কম তৈরি হয়। আয়রন স্বল্পতা অ্যানিমিয়ার অন্যতম প্রধান কারণ, যা আয়রন-সমৃদ্ধ খাবারের অভাব, হজমজনিত সমস্যা বা অতিরিক্ত রক্তপাতের কারণে হতে পারে।
ভিটামিন বি-১২ বা ফলিক অ্যাসিডের অভাব: এই ভিটামিনগুলো রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন বি১২ বা ফলিক অ্যাসিডের অভাব হেমাটোপয়েসিসে (রক্ত কোষ তৈরির প্রক্রিয়া) সমস্যা তৈরি করতে পারে।
রক্তক্ষরণ: শরীরে অতিরিক্ত বা দীর্ঘস্থায়ী রক্তক্ষরণ (যেমন- পিরিয়ডের সময় ভারী রক্তপাত, আলসার, আঘাত বা অস্ত্রোপচার) রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে।
হাড়ের মজ্জার রোগ: হাড়ের মজ্জা রক্ত কোষ উৎপাদন করে। হাড়ের মজ্জার রোগ (যেমন- অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া বা লিউকেমিয়া) রক্তে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
ক্রনিক রোগ বা প্রদাহ: দীর্ঘস্থায়ী রোগ (যেমন- কিডনি রোগ, ক্যান্সার বা রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস) বা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ রক্ত কোষ উৎপাদন কমিয়ে দেয় এবং হিমোগ্লোবিন মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে।
জেনেটিক বা বংশগত কারণ: কিছু জেনেটিক বা বংশগত রোগ (যেমন থ্যালাসেমিয়া, সিকল সেল অ্যানিমিয়া) রক্ত হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে প্রভাব ফেলতে পারে এবং অ্যানিমিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
প্রস্তুতকারক হিমোগ্লোবিন তৈরি কমে যাওয়া: রক্তে হিমোগ্লোবিনের প্রাকৃতিক প্রস্তুতকারক প্রক্রিয়ায় কোন সমস্যা দেখা দিলে বা তা কমে গেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়।
অটোমিউন ডিজিজ: কিছু অটোইমিউন রোগ (যেমন- অটোইমিউন হেমোলাইটিক অ্যানিমিয়া) শরীরের নিজস্ব রক্ত কোষগুলিকে ধ্বংস করতে পারে, ফলে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে।
গর্ভাবস্থা: গর্ভাবস্থায় মহিলাদের শরীরে রক্তের পরিমাণ বাড়ে, ফলে আয়রনের প্রয়োজনীয়তাও বেড়ে যায়। যদি যথেষ্ট আয়রন সরবরাহ না হয়, তবে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও কমে যেতে পারে।
দুর্বল খাদ্যাভ্যাস: শরীরে পুষ্টির ঘাটতি বা সুষম খাদ্য না খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যেতে পারে।
রক্তে হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক মাত্রা কত
রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা বয়স, লিঙ্গ এবং স্বাস্থ্য অবস্থার উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। তবে রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা হলো:
প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের জন্য: 13.8 থেকে 17.2 গ্রাম/ডেসিলিটার (g/dL)
প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার জন্য: 12.1 থেকে 15.1 গ্রাম/ডেসিলিটার (g/dL)
গর্ভবতী নারীদের জন্য: গর্ভবতী মহিলাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা একটু কম হতে পারে, সাধারণত 11 থেকে 14 গ্রাম/ডেসিলিটার (g/dL)
নবজাতকের জন্য: 14 থেকে 24 গ্রাম/ডেসিলিটার (g/dL)
৬ মাস হতে ৫ বছরের শিশুদের জন্য: 11 থেকে 14 গ্রাম/ডেসিলিটার (g/dL)
৬ হতে ১২ বছরের শিশুদের জন্য: 11.5 থেকে 15.5 গ্রাম/ডেসিলিটার (g/dL)
রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা যদি এই মাত্রার নিচে থাকে তবে সেটি হিমোগ্লোবিন কম বা অ্যানিমিয়া হিসেবে বিবেচিত হয়। যদি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম মনে হয় বা অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দেয়, তবে সাথে সাথে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে সঠিক পরীক্ষা এবং চিকিৎসা নেওয়া উচিত।
রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন
আয়রন সুক্রোজ (Iron Sucrose): শরীরে আয়রন ঘাটতির জন্য আয়রন সুক্রোজ ইনজেকশন প্রায়শই ব্যবহৃত হয়, বিশেষত যারা দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত তাদের জন্য। এটি শিরায় আস্তে আস্তে ইনজেক্ট করা হয়।
আয়রন ডেক্সট্রান (Iron Dextran): এটি একটি উচ্চ-ডোজ আয়রন ইনজেকশন যা আয়রনের দ্রুত ঘাটতি পূরণের জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি কেবলমাত্র হাসপাতালের সেটিংয়ে দেওয়া হয় কারণ এটি অ্যালার্জির ঝুঁকি বাড়ায়।
ফেরিক গ্লুকোনেট (Ferric Gluconate): আয়রনের এই রূপটি প্রায়শই দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগীদের জন্য ব্যবহৃত হয়, যাদের ডায়ালাইসিসের সময় আয়রনের ঘাটতি পূরণ করার প্রয়োজন হয়।
এরিথ্রোপয়েটিন (Erythropoietin): যদিও এটি সরাসরি আয়রন ইনজেকশন নয়, তবে এটি রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়তা করে। এটি সাধারণত কিডনি রোগ বা ক্যান্সার চিকিৎসার নিমিত্তে অ্যানিমিয়ার রোগীদের জন্য ব্যবহৃত হয়।
লেখকের শেষ কথা
হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই পোস্টটিতে। আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে আশা করছি হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আপনার ইচ্ছা থাকে আপনার জ্ঞানভাণ্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করার তাহলে অবশ্যই বিষয়গুলো আপনাকে জানতে হবে।
আশা করি আমাদের এই পোস্টটি থেকে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যবহুল পোস্ট যদি আপনি নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে অবশ্যই সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
রক্তে হিমোগ্লোবিন সম্পর্কে আরও জানতে ক্লিক করুন