জাফরানের উপকারিতা ও অপকারিতা – জাফরান ব্যবহারের নিয়ম

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই জাফরানের উপকারিতা এবং জাফরানের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক। আমাদের ওবেসাইট ভিজিট করতে ক্লিক করুন

জাফরান কি?

জাফরান এক ধরণের মশলা। যা জাফরান গাছের ফুল হতে সংগ্রহ করা হয়। জাফরান পৃথিবীর সবচেয়ে দামী মশলাগুলোর মধ্যে একটি। জাফরানের উৎপত্তিস্থল হলো ইরান; যদিও এই বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে।

জাফরান ফুলের গর্ভমুন্ডই হচ্ছে জাফরান মশলা। জাফরানের সুবাস ও স্বাদের পিছনে রয়েছে  পিক্রক্রোছিন ও সাফ্রানোল নামক দুইটি রাসায়নিক উপাদান।

জাফরানের উপকারিতা

জাফরান খাবারের অথবা কাপড়ের সাথে মিশে ক্যারোটিনয়েড ও ক্রোসিন নামক রঞ্জক পদার্থের কারণে সোনালী বর্ণ ধারণ করে। জাফরান অনেক গুনে গুণান্বিত।

জাফরানের পুষ্টিগুণ গুলো জেনে নিন

আমরা সকলেই জানি জাফরান অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। কারণ জাফরানে পুষ্টি উপাদান আছে আমরা সকলে জানলেও কোন পুষ্টি উপাদান কি পরিমাণে আছে তা আমরা জানি না। তাই জাফরানের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে।

জাফরানের পুষ্টিগুণের কারণে এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। জাফরানে আছে ভিটামিন, ফাইবার, সোডিয়াম, শর্করা, পটাশিয়ামসহ আরও অনেক পুষ্টি উপাদান। নিচে জাফরানের পুষ্টিগুণ সমূহ বর্ণনা করা হলো:

  • প্রতি ২০০ গ্রাম জাফরানে ক্যালোরি থাকে – ৬২০ ক্যালোরি
  • লিপিড থাকে – ১২ গ্রাম
  • সোডিয়াম থাকে – ২৯৬ গ্রাম
  • পটাশিয়াম থাকে – ৩.৪৪৮ গ্রাম
  • শর্করা থাকে – ১৩০ গ্রাম
  • ফাইবার থাকে – ৭.৮ গ্রাম
  • প্রোটিন থাকে – ২২ গ্রাম
  • ভিটামিন সি থাকে – ৬১.৬ মিলি গ্রাম
  • আয়রন থাকে – ২২.২ মিলি গ্রাম
  • ভিটামিন বি৬ থাকে – ২ মিলি গ্রাম
  • ম্যাগনেসিয়াম থাকে – ৫২৮মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে – ২২২ মিলিগ্রাম

 

জাফরানের উপকারিতা

প্রাচীনকাল থেকে জাফরান ভেষজ মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মানবদেহের প্রায় ২০টি রোগ নির্মূল করার সক্ষমতা রয়েছে জাফরানের। জাফরান প্রায় ১২০টি গুণে গুণান্বিত। তাই জাফরানের উপকারিতা অনেক। জাফরানে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, খনিজ পদার্থ ও মিনারেল রয়েছে। জাফরানের উপকারিতা অনেক, সে জন্যই বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাফরান ব্যবহার করা হয়।

কখনো খাবারে, কখনো রূপচর্চায়, কখনো বা শরীরে রোগ প্রতিরোধ করতে জাফরান ব্যবহার করা হয়। জাফরানের উপকারিতা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো:

  • জাফরান হরমোন উদ্দীপক। তাই নিয়মিত জাফরান খেলে স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।
  • জাফরান মস্তিষ্কের জন্য অনেক উপকারী। তাই যাদের স্মৃতিশক্তির সমস্যা রয়েছে চিকিৎসকরা তাদের জাফরান খাওয়ার পরামর্শ দেন।
  • জাফরান মস্তিষ্কের নিউরনকে সচল করে। তাই আমরা অবসাদ অথবা উদ্বেগে জাফরান খেলে উপকার পাওয়া যায়।
  • জাফরান খেলে কোন ঝামেলা ছাড়াই ব্লাড সার্কুলেশন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। কারণ জাফরানে পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম রয়েছে যা আমাদের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে।
  • জাফরানে ব্যাপক পরিমাণ আয়রন থাকে। আয়রন আমাদের রক্তস্বল্পতা কমিয়ে দেয়। তাই রক্তস্বল্পতায় ভুগলে জাফরান খাওয়া উচিত।
  • জাফরানে নির্দিষ্ট কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো প্রটেস্ট ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
  • যাদের ঠিকমতো ঘুম হয়না, তারা জাফরান খেতে পারেন। কারণ জাফরান অনিদ্রা জনিত সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
  • জাফরান দেহের খারাপ কোলেস্টরেল দূর করে। একই সাথে হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে।
  • মেয়েদের পিরিয়ড হওয়ার আগে যে ব্যথা হয় সেটি কমাতে জাফরান অনেক সাহায্য করে।

আশা করছি জাফরানের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিশ্চয় আপনি লাভবান হয়েছেন ।

জাফরান দুধের উপকারিতা

দুধ খুবই পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি খাদ্য। দুধ ক্যালসিয়ামের একটি ভালো উৎস। জাফরানের সাথে দুধ মিশালে সেটির পুষ্টিগুণ অনেকাংশে বেড়ে যায়। তাই জাফরান দুধের উপকারিতা অনেক। জাফরান দুধ খাওয়ার আগে জাফরান দুধের উপকারিতা জানা প্রয়োজন।

জাফরানের উপকারিতা

জাফরানের সাথে দুধ মিশিয়ে অনেকে খায়, আবার অনেকে রূপচর্চা করে। জাফরান দুধের উপকারিতা অনেক বলেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। চলুন জাফরান দুধের উপকারিতা জেনে নেওয়া যাক:

  • প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে জাফরন দুধ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। তাহলে শরীরের দুর্বলতা ধীরে ধীরে কমে যাবে।
  • যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত জাফরান দুধ খেতে পারেন।
  • জাফরান দুধ খেলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর হবে।
  • নিয়মিত জাফরান দুধ খেলে মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  • যাদের ক্ষুদা লাগে না, রুচির সমস্যা তারা জাফরান দুধ খেলে উপকৃত হবেন।
  • জাফরান দুধ খেলে ফ্লু হতে উপশম লাভ হয়।
  • জাফরান দুধ খেলে হার্টের সমস্যা দুর হয়, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

গর্ভাবস্থায় জাফরান এর উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় নারীদের বিভিন্ন রকম সমস্যা সৃষ্টি হয়। এ সময় মেয়েদের মন সুইং শারীরিক ব্যথা যন্ত্রণা খাবারে অরুচি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই এ সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে শরীর ও মন দুটিই ভালো থাকবে।

জাফরানের উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় জাফরান সেবনের উপকারিতা অনেক। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে নারীদের গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়ার কথা বলা হয়। গর্ভাবস্থায় সবকিছু খাওয়া যায় না। তাই গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়ার আগে গর্ভাবস্থায় জাফরান এর উপকারিতা জানা প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় জাফরান এর উপকারিতা রয়েছে বলেই আয়ুর্বেদিকগণ গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়ার পরামর্শ দেন। গর্ভাবস্থায় জাফরান এর উপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো:

  • গর্ভাবস্থায় নারীদের বারবার মুড সুইং হয়। এটি তার ও বাচ্চার স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। গর্ভাবস্থায় জাফরান খেলে মুড সুইং সমস্যা দূর হয়। কারণ জাফরান সেরোটোনিন হরমোন নিঃসরণে সহায়তা করে যা মুড সুইং ঠিক করে দেয়।
  • গর্ভাবস্থায় মহিলাদের একটি সাধারণ সমস্যার মধ্যে রয়েছে- ঠিকমতো ঘুন না হওয়া। এক গ্লাস দুধের সাথে এক চিমটি জাফরান মিশিয়ে ঘুমানোর আগে পান করলে ভালো ঘুম হয়।
  • গর্ভাবস্থায় শরীরে বিভিন্ন ব্যথা-বেদনা লক্ষ্য করা যায়। কখনো পায়ে ব্যথা হয়, কখনো মাথায়, কখনো বা হাতে বা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা অনুভূত হয়। জাফরান প্রাকৃতিক পেইনকিলার। তাই গর্ভাবস্থায় জাফরান খেলে ব্যথা হতে উপশম লাভ করা যায়।
  • গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের ফলে হাইপারটেনশন হয়। যা বাচ্চার এবং বাচ্চার মায়ের শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর। গর্ভাবস্থায় জাফরান খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

জাফরান সাবান এর উপকারিতা

জাফরান সাবান বর্তমানে বহুল আলোচিত একটি সাবান। জাফরান সাবান ঘরেই তৈরি করা যায়। জাফরান সাবানে ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় সকল উপকারী উপাদান রয়েছে। জাফরান সাবান এর উপকারিতা অনেক। জাফরান সাবানের উপকারিতা অনেক, সেজন্য দিন দিন এর ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।

অনেকে আছেন যারা জাফরান সাবান এর উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না, ফলে জাফরান সাবান ব্যবহার করতে উৎসাহিত হন না। আপনি চাইলেই ঘরে জাফরান সাবান তৈরি করে ব্যবহার করতে পারবেন। জাফরান সাবান এর উপকারিতা নিচে তুলে ধরা হলো:

  • জাফরান সাবান ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
  • জাফরান সাবান ব্যবহার করলে ত্বক মশ্চারাইজ হয়।
  • আমাদের ত্বকে অনেক সময় ব্রণ হয় বা ব্রণের দাগ থাকে। জাফরান সাবান ব্যবহার করলে ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর হয়।
  • জাফরান সাবানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের ত্বককে ফি রেডিকেল হতে রক্ষা করে।

জাফরান কফির উপকারিতা

জাফরান কফি একটি স্বাস্থ্যকর পানীয়। ভালো মানের কফি আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকারী। কফির সাথে জারফান মিশালে তার উপকারিতা দ্বিগুণ হয়ে যায়। তাই জাফরান কফির উপকারিতা অনেক। বর্তমানে অনেকেই জাফরান কফির উপকারিতা জানতে আগ্রহী।

চলুন জাফরান কফির উপকারিতা জেনে নেওয়া যাক:

  • জাফরান হরমোন উদ্দীপক। তাই নিয়মিত জাফরান খেলে স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।
  • জাফরান মস্তিষ্কের জন্য অনেক উপকারী। তাই যাদের স্মৃতিশক্তির সমস্যা রয়েছে চিকিৎসকরা তাদের জাফরান খাওয়ার পরামর্শ দেন।
  • জাফরান মস্তিষ্কের নিউরনকে সচল করে। তাই আমরা অবসাদ অথবা উদ্বেগে জাফরান খেলে উপকার পাওয়া যায়।
  • জাফরান খেলে কোন ঝামেলা ছাড়াই ব্লাড সার্কুলেশন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। কারণ জাফরানে পর্যাপ্ত পরিমাণ পটাশিয়াম রয়েছে যা আমাদের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে।
  • জাফরানে ব্যাপক পরিমাণ আয়রন থাকে। আয়রন আমাদের রক্তস্বল্পতা কমিয়ে দেয়। তাই রক্তস্বল্পতায় ভুগলে জাফরান খাওয়া উচিত।

জাফরানের অপকারিতা

আমরা সকলে জানি জাফরান উপকারি একটি মশলা। তবে জাফরানের কিছু অপকারিতাও রয়েছে। আমাদের সকলের জাফরানের অপকারিতা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। জাফরানের অপকারিতা না জানলে আমরা জাফরান ব্যবহারে সতর্ক হতে পারবো না।

জাফরানের অপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়তে হবে। চলুন আর দেরি না করে জাফরানের অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:

  • অতিরিক্ত জাফরানযুক্ত খাবার খেলে পেটের সমস্যা হয়।
  • জাফরান ত্বকে ব্যবহার করার আগে সতর্ক হওয়া উচিত। কারণ জাফরান ব্যবহারের ফলে অনেকের এলার্জি হতে পারে।
  • অতিরিক্ত জাফরান খেলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়, যার ফলে জরায়ুর সংকোচন সমস্যা হতে পারে।
  • অতিরিক্ত জাফরান খেলে মাথা ব্যাথা হয়।
  • অতিরিক্ত জাফরান খেলে চোখ নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় জাফরান খেলে কি হয়

গর্ভাবস্থায় সবকিছু খাওয়া যায় না। তাই অনেক গর্ভবতী মহিলা গর্ভাবস্থায় জাফরান খেলে কি হয়, সে সম্পর্কে জানতে চান। গর্ভাবস্থায় জাফরান খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। সেই জন্যই আয়ুর্বেদিকগণ গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়ার পরামর্শ দেন। গর্ভাবস্থায় জাফরান খেলে কি হয় – এই সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো:

  • গর্ভাবস্থায় নারীদের বারবার মুড সুইং হয়। এটি তার ও বাচ্চার স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। গর্ভাবস্থায় জাফরান খেলে মুড সুইং সমস্যা দূর হয়। কারণ জাফরান সেরোটোনিন হরমোন নিঃসরণে সহায়তা করে যা মুড সুইং ঠিক করে দেয়।
  • গর্ভাবস্থায় মহিলাদের একটি সাধারণ সমস্যার মধ্যে রয়েছে- ঠিকমতো ঘুন না হওয়া। এক গ্লাস দুধের সাথে এক চিমটি জাফরান মিশিয়ে ঘুমানোর আগে পান করলে ভালো ঘুম হয়।
  • গর্ভাবস্থায় শরীরে বিভিন্ন ব্যথা-বেদনা লক্ষ্য করা যায়। কখনো পায়ে ব্যথা হয়, কখনো মাথায়, কখনো বা হাতে বা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা অনুভূত হয়। জাফরান প্রাকৃতিক পেইনকিলার। তাই গর্ভাবস্থায় জাফরান খেলে ব্যথা হতে উপশম লাভ করা যায়।
  • গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের ফলে হাইপারটেনশন হয়। যা বাচ্চার এবং বাচ্চার মায়ের শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর। গর্ভাবস্থায় জাফরান খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

তবে মনে রাখবেন গর্ভাবস্থার শুরুর দিকে জাফরান খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ গর্ভাবস্থার শুরুর দিকে জাফরান খেলে সেটি গর্ভপাতের কারণ হতে পারে।

জাফরান খেলে কি শরীরের গরম বাড়ে ?

হ্যাঁ, জাফরান খেলে শরীরের গরম বাড়ে। জাফরান একটি উষ্ণতা সৃষ্টিকারী মসলা। জাফরান খেলে শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পায়। তাই শীতকালে অথবা ঠান্ডা জায়গায় জাফরান খেলে উপকার পাওয়া যায়। জাফরান থাকা কিছু উপাদানের কারণে জাফরান খেলে শরীরের গরম বাড়ে। জাফরানে রয়েছে ক্রসিন, ক্রকেটিং এবং সাফ্রানল। এদের মধ্যে সাফ্রানল শরীরে উষ্ণতা সৃষ্টিকারী উপাদান। জাফরানে থাকা এই উপাদানগুলো আমাদের শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে। যার ফলে আমাদের দেহের উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ জাফরান খেলে শরীরের গরম বাড়ে।

প্রতিদিন জাফরান খাওয়ার উপায়

প্রতিদিন জাফরান খাওয়ার উপায় সস্পর্কে অনেকেই গুগলে সার্চ করেন। তবে আশানুরূপ উত্তর পান না। আজ আমি আপনাদের প্রতিদিন জাফরান খাওয়ার উপায় জানিয়ে দিবো। প্রতিদিন বিভিন্ন উপায়ে জাফরান খাওয়া যায়। আপনার ওপর নির্ভর করবে আপনি কোন উপায়ে জাফরান খাবেন।

নিচে প্রতিদিন জাফরান খাওয়ার উপায় বর্ণনা করা হলো:

  • জাফরানের চা তৈরি: প্রতিদিন সকালে জাফরানের চা তৈরি করে খেতে পারেন।
  • জাফরান দুধ খাওয়া: প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে কুসুম গরম দুধের সাথে জাফরান মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এতে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ও ঘুমে সহায়তা করে।
  • বিভিন্ন খাবারের সাথে জাফরান মিশিয়ে খাওয়া: আপনি বিভিন্ন খাবারের সাথে জাফরান মিশিয়ে খেতে পারবেন। যেমন: পায়েশ, হালুয়া অর্থাৎ মিষ্টি জাতীয় খাবার।
  • পানির সাথে জাফরান মিশিয়ে খাওয়া: হালকা গরম পানিতে জাফরান ভিজিয়ে রেখেও খেতে পারেন।

লেখকের শেষ কথা

জাফরানের উপকারিতা এবং জাফরানের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই পোস্টটিতে। আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে আশা করছি জাফরানের উপকারিতা এবং জাফরানের পুষ্টিগুণ সম্পর্ক বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আপনার ইচ্ছা থাকে আপনার জ্ঞানভাণ্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করার তাহলে অবশ্যই বিষয়গুলো আপনাকে জানতে হবে।

আশা করি আমাদের এই পোস্টটি থেকে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যবহুল পোস্ট যদি আপনি নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে অবশ্যই সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

জাফরান সম্পর্কে আরও জানতে ক্লিক করুন

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আমি শাহরিয়ার জামান (আবির) পেশায় একজন শিক্ষার্থী এবং জামান আইটি ২৪ এর CEO।

Leave a Comment