কলার খোসার উপকারিতা ও ব্যবহার

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই কলার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে কলার খোসার উপকারিতা ও ব্যবহার সম্পর্কে বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক। আমাদের ওবেসাইট ভিজিট করতে ক্লিক করুন

কলার খোসার উপকারিতা ও ব্যবহার

কলা অত্যন্ত সুস্বাদু, স্বাস্থ্যকর ও ভিটামিনে পরিপূর্ণ একটি ফল। এটি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল যা সারা বিশ্বেই খাওয়া হয়। এই মিষ্টি ফলটি খাওয়ার পর আমরা সাধারণত এর খোসা ফেলে দিয়ে থাকি। তবে এটি সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। আপনি জানলে হয়তো অবাক হবেন যে  সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত কলার খোসা ব্যবহারে পাওয়া যাচ্ছে চমৎকার সব ফলাফল।

কলা খাওয়ার পর এর খোসা যেখানে-সেখানে ফেললে নানা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই যেখানে-সেখানে কলার খোসা না ফেলে তা সংরক্ষণ করতে পারেন। কেননা, কলা যেমন উপকারী তেমনি কলার খোসার উপকারিতাও অপরিসীম। কলার খোসাকে আপনি নানা কাজে ব্যবহার করতে পারেন। তবে রাসায়নিকমুক্ত কলা হলে তা ভালো ফলাফল দেবে।

কলার খোসা
কলার খোসার উপকারিতা ও ব্যবহার

আসুন জেনে নেই যেসব কাজে লাগে কলার খোসা:

ঝকঝকে সাদা দাঁতের জন্য: 

প্রাকৃতিক উপায়ে সাদা ঝকঝকে দাঁতের জন্য কলার খোসা ব্যবহারের বিকল্প নেই। অনেকেই দাঁত থেকে হলদে ভাবটা কিছুতেই ওঠাতে পারেন না। কলার খোসার ভেতরের দিকটা দিয়ে কিছুক্ষণ দাঁত মাজুন। দাঁতে ব্যথা কমাতেও কলার খোসা ভালো কাজে আসে। দাঁতে পাকা কলার খোসা প্রতিদিন ঘষে টানা এক সপ্তাহ ব্যবহার করলে তা ভালো ফলাফল দেবে।

কলার খোসা teeth
কলার খোসার উপকারিতা ও ব্যবহার

ব্রণ দূর করতে: 

মুখের ব্রণ দূর করতে কলার খোসা খুবই উপকারি। এর মাধ্যমে একবার ব্রণ সেরে গেলে আর ফিরে আসে না। মুখে ভালো করে ঘষে সারারাত রেখে দিলে ব্রণের সমস্যা কেটে যাবে।

মুখের দাগ দূর করতে: 

কলার খোসা মুখের দাগ দূর করতে সহায়তা করে। মধুর সঙ্গে কলার খোসা মিশিয়ে মুখে ভালো করে ঘষলে মুখের দাগ দূর হয়।

অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয়: 

চোখে ছানি পড়া থেকে রক্ষা করতে পারে কলার খোসা। চুলকানি ও চোখের অবসাদ দূর করতে চোখের ওপর কলার খোসা মেখে নিতে পারেন। কলার খোসায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যা অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে চোখকে বাঁচায়।

দাদের ওষুধ: 

কলার খোসা দাদের ওষুধ হিসেবেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। চুলকালে সেই অংশে কলার খোসা ঘষে দিলে চুলকানি বন্ধ হয়ে যায় এবং দ্রুত দাদ সেরে যায়।

মসৃণ ত্বকের জন্য: 

মুখমণ্ডল যদি শুষ্ক আর খসখসে হয়, কলার খোসার ভেতরের অংশ মুখে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। তারপর ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ত্বক মসৃণ ও মোলায়েম হয়ে গেছে। রূপচর্চায় কলার খৈাসার আরও ব্যবহার জানতে ক্লিক করুন

কলার খোসা Face
কলার খোসার উপকারিতা ও ব্যবহার

খোসপাঁচড়া দূর করে: 

ত্বকে কোথাও পাঁচড়া-জাতীয় কিছু হলে সেই জায়গায় কলার খোসা লাগিয়ে রাখুন, অথবা কলার খোসা পানির মধ্যে সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে সংক্রমিত জায়গা কয়েক দিন ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফল পাবেন।

পোকা-মাকড় কামড়ালে: 

যদি কোনো পোকা-মাকড় হঠাৎ কামড়ে দেয় এবং চুলকাতে থাকে এর জন্য কলার খোসা কাজে লাগাতে পারেন। দ্রুত ব্যথা ও চুলকানি সেরে যাবে।

মাটির উর্বরতা বাড়াতে: 

খুব ভালো জৈব সার হিসেবে কাজ করে কলার খোসা। কলার খোসা ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। সেগুলো মাটির নিচে পুঁতে দিন। খোসা থেকে মিথেন গ্যাস তৈরি হয়, যা গাছের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। গাছের আশপাশে কলার খোসা লাগিয়ে রাখুন। খোসা থেকে মাটি তৈরি হবে। এছাড়া কলার খোসা সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে পানিটুকু গাছে দিন। গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।

গহনা পরিষ্কারে কলার খোসা: 

কলার খোসা দিয়ে সোনা ও রুপার গহনা পরিষ্কার করতে পারেন। তাতে অলংকার টেকসই হয় ও মসৃণতা বাড়ে।

উপসংহার

আমি আশা করছি আপনারা আমাদের (কলার খোসার উপকারিতা ও ব্যবহার) এই প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন। আরো কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আমি শাহরিয়ার জামান (আবির) পেশায় একজন শিক্ষার্থী এবং জামান আইটি ২৪ এর CEO।

1 thought on “কলার খোসার উপকারিতা ও ব্যবহার”

Leave a Comment