হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালা পোড়া করে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালা পোড়া করে সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক। আমাদের ওবেসাইট ভিজিট করতে ক্লিক করুন
ভূমিকা
বর্তমান সময়ে মানুষের একটি সাধারণ রোধ হচ্ছে হাত-পা জ্বালাপোড়া করা। বিশেষ করে রাতের বেলায় হাত-পা জ্বালা অনেক বেশি জ্বালাপোড়া করে। কোন ভিটামিনের অভাবে এই সমস্যাগুলো হয় এটা অনেকেরই জানা নাই। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো। যা আপনার কিছুটা হলেও উপকারে আসতে পারে। কোন ভিটামিনের অভাবে হাত-পা এবং শরীর জ্বালাপোড়া করে এবং এটা থেকে মুক্তির পথ সম্পর্কে। এছাড়াও এই আর্টিকেলে আরও অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করবো যা আপনার হাত-পা ও শরীর জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে। তাহলে আসুন আর দেরি না করে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়াতে থাকুন।
হাত পা জ্বালা পোড়ার ঘরোয়া চিকিৎসা
হাত-পা জ্বালাপোড়া একটি কমন সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে, যার পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে। যদিও ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করলে কিছুটা উপশম পাওয়া যেতে পারে, তবে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ অত্যন্ত জরুরি তাই আজকে আমি হাত পা জ্বালাপোড়ার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আপনারা সবাই আর্টিকেলের সাথেই থাকুন।
অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে কেন হাত-পা জ্বালাপোড়া করে? দেখুন বিভিন্ন সমস্যার কারণে একটা মানুষের হাত-পা জ্বালাপোড়া করতে পারে, যেমন- কিছু ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার জন্য অথবা বিভিন্ন ভিটামিনের ঘাটতির অভাবে স্নায়ুর ক্ষতির কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও হৃদরোগ, রক্তনালীর রোগ ও অন্যান্য কারণে রক্ত সঞ্চালনে বাধার সৃষ্টি হলে জ্বালাপোড়া অনুভূত হয়। তাই যত দ্রুত সম্ভব ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করে এর প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে জেনে নিন।
- যদি আপনার হাত-পা জ্বালাপোড়া করে, সেক্ষেত্রে আপনি একটি ঠান্ডা পানির বোতল অথবা আইস প্যাক জ্বালাপোড়া স্থানে লাগিয়ে রাখতে পারেন এতে করে অনেকটা উপশম পাওয়া যেতে পারে।
- আপনার হাত-পা জ্বালাপোড়া করলে বেশি করে পানি পান করুন। গোসল কিংবা হাত মুখ ধোয়ার ক্ষেত্রে গরম পানি/কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা হতে বিরত থাকুন। ধূমপান ও মদ এড়িয়ে চলুন এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
- গরম পানিতে এপসম সল্ট মিশিয়ে সেখানে হাত-পা ভিজিয়ে রাখলে জ্বালাপোড়া কমতে পারে। তাই চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
- অ্যালোভেরা জেলের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি হাত-পা জ্বালাপোড়া কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করতে পারে। তাই এটিও ব্যবহার করতে পারেন।
- হাত-পা জ্বালাপোড়া করলে জ্বালাপোড়া স্থানে ঠান্ডা দই, ঘন দই পানি, ঘন দই ও মধুর মিশ্রণ জ্বালাপোড়া স্থানের দিয়ে রাখলে সামান্য উপকার পেতে পারেন।
- হাত-পা জ্বালাপোড়া করলে সম্পূর্ণ বিশ্রাম গ্রহণ করা উচিত। এতে করে অনেকটা আরাম পাওয়া যায়।
উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিগুলো হাত পা জ্বালাপোড়া দূর করার ঘরোয়া উপায়মাত্র। এগুলো করার পরও যদি আপনার জ্বালাপোড়া করতে থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
ডায়াবেটিস রোগীর পা জ্বালাপোড়া
ডায়াবেটিস রোগীদের পা জ্বালাপোড়ার মূল কারণ হলো তাদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন না করা। যদি ডায়াবেটিস রোগীরা খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে পারে তাহলে অবশ্যই তাদের পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পাবে। এছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধের মাত্রা কম/বেশি করতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে যাতে করে রক্ত চলাচল ভালো থাকে।
একজন ডায়াবেটিস রোগীর যদি রক্ত চলাচল সঠিকভাবে না হয় তাহলে পা জ্বালা পোড়া করতে পারে। পা জ্বালাপোড়া কোন রোগ নয় বরং রোগের লক্ষণ। সাধারণত স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে পা জ্বালাপোড়া অনুভূত হয়। এই সমস্যাটি ডায়াবেটিসসহ অনেক ধরনের রোগের কারণে হতে পারে। শতকরা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ডায়াবেটিস রোগী রক্তে উচ্চমাত্রায় শর্করা থাকার কারণে এধরণের জটিলতা দেখা যায়। এই সমস্যাকে ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি বলা হয়।
শুরুতে পা অনেক ঝিনঝিন করে এবং অনুভূতি শক্তি কিছুটা কমে যায়। অনেকে বলেন যে, পায়ের পাতা বা তলা মরিচের মতো জ্বলে যায়। যখন আপনার প্রান্তীয় স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন এটি মস্তিষ্কে বারবার ব্যথার একটা অনুভূতি সৃষ্টি করে। যার ফলে কোনরকম ক্ষত না থাকলেও অনুভূতির কারণে অনেক বেশি জ্বালাপোড়া কিংবা ব্যথা হয়। অনেক সময় দেখা যায় পায়ের উপর কাঁথা-কাপড় পর্যন্ত রাখলে পায়ের জ্বালা বৃদ্ধি পায় বলে মনে করেন।
তবে ডায়াবেটিস ছাড়াও আরও যেসব কারণে নিউরোপ্যাথি হয়, এর মধ্যে রয়েছে, থাইরয়েড, ক্রনিক কিডনি রোগ, লিভারের সমস্যাসহ আরো নানা হরমোন জনিত রোগ অন্যতম। ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি১২ ও থায়ামিনের অভাবেও জ্বালাপোড়া হতে পারে। ,এছাড়াও এইডস, অ্যালকোহল সেবন, ভারী ধাতু দূষণসহ আরো বিভিন্ন কারণে প্রান্তীয় স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে জ্বালাপোড়া হতে পারে।
ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসাঃ
যদি ডায়াবেটিস রোগীদের এরকম সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সবার আগে যে বিষয়টির উপর নজর দিতে হবে, সেটি হচ্ছে রক্তে গুলুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের দিকে। এছাড়াও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধের মাত্রা পরিবর্তন করতে হবে। এছাড়াও ধূমপান, তামাক, অ্যালকোহল সেবন, মদপান ও জর্দাসহ যতগুলো ক্ষতিকারক দ্রব্য রয়েছে সেগুলি অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
ফলিক এসিড, ভিটামিন১২সহ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। বিশেষ করে টাটকা শাকসবজি ও ফলমূল রাখলে খুবই উপকার পাবেন। ক্ষতিগ্রস্ত স্নায়ু সমস্যা দূর করার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠার পরে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, এতে আপনার রক্ত চলাচল অনেক ভালো থাকবে। পাশাপাশি পায়ের যত্ন নিতে হবে। এ সমস্ত কাজগুলো করতে পারলে আপনার হাত-পা জ্বালা পোড়া আশা করি দূর হয়ে যাবে।
কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালা পোড়া করে
আমি আজকে আলোচনা করব কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালা পোড়া করে এই বিষয় নিয়ে। অনেক সময় দেখা যায় একটা মানুষের হাত-পা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি গরম হয়ে যায়। এরপর হঠাৎ করে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এরকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। তবে এধরণের সমস্যা শরীরের বিশেষ ধরনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনার শরীরে যদি তিনটি ভিটামিনের অভাব হয় তাহলে আপনার হাত-পা প্রায় সময় জ্বালাপোড়া করবে।
চিকিৎসকদের মতে, এই সমস্যার সমাধান পেতে হলে আপনাকে লাইফ স্টাইল ও ডায়েটে পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে। বর্তমান সময়ে হাত-পা জ্বালাপোড়ার সমস্যাটি আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এর সঠিক সমাধান করা প্রয়োজন। হাত-পা জ্বালাপোড়ার সমস্যার জন্য যে তিনটি ভিটামিনের অভাব রয়েছে সেগুলো হলো:
ভিটামিন বি ৬: যদি আপনার শরীরে ভিটামিন বি ৬ এর অভাব হয় তাহলে আপনার পেলেগ্রা রোগ হতে পারে। আর এই রোগ হলে আপনার হাত-পা জ্বালাপোড়া অন্যতম একটি কারণ হতে পারে। তাই আপনার শরীরে কখনো ভিটামিন বি ৬-এর অভাব রাখবেন না।
ভিটামিন ডিঃ ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়ামের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে। যদি কোন কারণে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে আপনার অস্টিওম্যালাসিয়া রোগ হতে পারে। আর ঠিক এই কারণেই আপনার হাত-পা জ্বালাপোড়া করতে পারে। তাই আপনার শরীরে কখনো ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হতে দেবেন না। আশা করি বিষয়টি বুঝাতে পেরেছেন।
ভিটামিন ডি ১২: একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, একটা মানুষের শরীরে ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি হলে ঐ ব্যক্তির পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথিক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। ঠিক এই সমস্যার কারণে ঐ ব্যক্তির হাত পা জ্বালাপোড়া করতে পারে। তাই আপনার শরীরে কখনো ভিটামিন ডি ১২ এর ঘাটতি হতে দেবেন না।
সমস্যার সমাধানঃ
হাত-পা জ্বালাপোড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। এছাড়াও হাত-পা জ্বালাপোড়া করলে সেখানে অনেকক্ষণ ঠান্ডা পানি দিয়ে রাখুন যতক্ষণ না হাত-পা জ্বালাপোড়া কমছে। আপনি চাইলে ডায়েটে টক জাতীয় ফল বাড়িয়ে দিতে পারেন, এতে আপনার হাত-পা জ্বালাপোড়া করা থেকে মুক্তি পাবেন।
গোসলে কিংবা হাত মুখ ধোয়ার ক্ষেত্রে কখনোই গরম পানি কিংবা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করবেন না। যদি পারেন তাহলে ফ্রিজ থেকে বরফ বের করে জ্বালাপোড়া স্থানে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখবেন। এতে আপনার হাত-পা জ্বালাপোড়া অনেকটা কমে আসতে পারে। আশা করি কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালা পোড়া করে সেই সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন।
শরীর জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির দোয়া
বর্তমান সময়ে অনেক মানুষের শরীরে জ্বালা যন্ত্রণা হয়ে থাকে। অনেকে ঔষধ খেয়ে সমস্যার সমাধান করতে চান আবার অনেকেই আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা রেখে দোয়া পড়ে ভালো থাকতে চান। কিন্তু কিভাবে আপনি সে দোয়াটি পড়বেন এবং শরীরের জ্বালা যন্ত্রণা নিরাময়ের জন্য কি কি আমল করতে হবে তা আজকের এই আর্টিকেলে জানিয়ে দেয়া হবে।
আপনারা যারা শরীর জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তির দোয়া সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই এই আর্টিকেলের নিচের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়বেন। কারণ আপনি অথবা আপনার পরিবারের হয়তো কারো শরীরে জ্বালার সম্মুখীন হতে পারে। তাই আসুন আর দেরি না করে দোয়া ও আমল জেনে নিন।
**দোয়াটি পড়ার আগে সবাই মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে।
১) সূরা তাকবির পড়ে যমযমের পানি উপর ফুঁক দিয়ে রোগীকে পান করাবেন। ইনশাআল্লাহ অনেক উপকার পাবে।
২) একশত একবার নিম্নোক্ত আয়াতগুলো পড়ে পানির উপর ফুঁক দিয়ে ৪১ দিন পর্যন্ত পান করবে। ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবে।
আল্লাহুম্মা রাব্বান-নাসি মুজহিবাল বাসি, ইশফি আনতাশ-শাফি, লা শাফিয়া ইল্লা আনতা শিফায়ান- লা ইয়ুগাদিরু সাকামা। অর্থ : হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক, কষ্ট দূরকারী। আমাকে আরোগ্য দিন, আপনি আরোগ্যকারী; আপনি ছাড়া কোনো আরোগ্যকারী নেই।
শরীর জ্বালা পোড়ার কারন ও প্রতিকার
মানুষ সবচেয়ে বেশি যে সমস্যায় ভোগেন সেটি হলো, হাত-পায়ে অথবা শরীরে জ্বালাপোড়া করা। এ সমস্যাটি কম বেশি অনেক মানুষেরই হয়ে থাকে। বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর সময় হঠাৎ করে পায়ে প্রচণ্ড জ্বালা অনুভব করেন। শুধু যে রাতে জ্বালাপোড়া হয় তা নয় এটি অন্যান্য সময়েও হয়ে থাকে। এই সমস্যাটি হওয়ার কারণে অনেক মানুষ খুব অস্বস্তিকর এবং কষ্টদায়ক পরিস্থিতির মধ্যে থাকে।
বিশেষ করে মহিলাদের শরীর আগুনের মত গরম অনুভুতি হয়। রাতের বেলায় ঘাম হয়, দুশ্চিন্তা হয় এবং ঠিকমতো ঘুম হয়না। তবে এই সমস্যাটিও ওয়েস্ট্রোজেন হরমোনের অভাবে হয়। এটি মানুষের মস্তিষ্কের সাথে সম্পর্কযুক্ত। সাধারণত তাপমাত্রা পরিবর্তন হলে শরীর সেটির সাথে খাপ খাইয়ে নেয়।
কিন্তু যখন ওয়েস্ট্রোজেন হরমোনটি কমে যায় তখন মানুষের শরীরের তাপমাত্রা দুর্বল হয়ে যায়, ফলে মানুষের মস্তিষ্ক মনে করে শরীরে অনেক বেশি গরম লাগছে। ওয়েস্ট্রোজেন হরমোনটি মানুষের মেজাজের ওপর প্রভাব ফেলে। এই হরমোন কমে গেলে দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়। তাছাড়া অনেক কারণে হতে পারে, যেমন-
- যদি কোন মানুষের কিডনি ও থাইরয়েডের সমস্যা থাকে তাহলে তার এ সমস্যাটি হতে পারে।
- কোন মানুষের শরীরে ভিটামিন বি ও ভিটামিন ৬ এর অভাব হলে এটি হতে পারে।
- রক্ত চলাচলের সমস্যা থাকলে এটি হতে পারে।
- অতিরিক্ত মানসিক চাপ অথবা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা থাকলে এটি হতে পারে।
- মদ্যপান ও রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি রোগ থাকলে হতে পারে।
- ঐষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণেও পায়ে জ্বালাপোড়া হতে পারে।
- বিষন্নতা থেকে মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ জ্বালাপোড়া করে আবার মাথা জ্বালাপোড়া করে। কখনো কখনো আবার সারা শরীর জ্বালাপোড়া করে।
- যদি আপনি একজন গর্ভবতী নারী হন তাহলে এটা আপনার কোলেস্টাসিসের কারণেও হতে পারে। তাই জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পেতে ঔষধের উপর নির্ভর না করে বিভিন্ন প্রাকৃতিক বস্তু ব্যবহার করে মুক্তি পেতে পারেন।
এখন একটি সাধারণ সমস্যা হলো মানুষের হাত ও পায়ের জ্বালাপোড়া। এ থেকে মুক্তির জন্য আপনারা বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে থাকেন। আসুন কয়েকটি উপায় সম্পের্কে আপনাদের সামনে আলোচনা করি।
যদি আপনার হাত-পা জ্বালাপোড়া করে তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে গোসল করুন। গোসলের সময় অবশ্যই মনে রাখবেন কোনভাবেই যেন পানি গরম না হয় কারণ পানি গরম হলে শরীর থেকে প্রাকৃতিক তেল ধুয়ে গিয়ে স্ক্রিন ড্রাই হয়ে যেতে পারে। আবার দীর্ঘ সময় ধরে গোসল না করাই ভালো। দীর্ঘ সময় ধরে গোসল করলে আপনার ত্বক ড্রাই হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। এর ফলে আপনার হাত পায়ে বা শরীরে জ্বালাপোড়া বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ময়শ্চারাইজার ব্যাবহার করুনঃ যখন আপনার জ্বালাপোড়া কিংবা চুলকানি বেড়ে যাতে তখন এগুলো প্রশমিত করতে হলে আপনাকে ওয়েল বেজ লোশন ব্যবহার করতে হবে। এই লোশন ব্যবহার করলে আপনার ত্বক অনেক সফট থাকবে এবং স্কিনের সেলগুলো রক্ষা পাবে। বর্তমানে আপনার নিকটস্থ বাজারে ফার্মেসিতে খোঁজ করলে দেখবেন দোকানে হাত ও পা জ্বালাপোড়া এবং চুলকানি প্রশমিত করার জন্য অনেক লোশন পাওয়া যায়। সেখান থেকে লোশন কিনে এনে রাতে ঘুমানোর আগে অথবা গোসলের পর ভেজা শরীরে লোশান ব্যবহার করুন। এতে করে অনেক আরাম পাবেন।
টক ফল খানঃ প্রতিদিন অল্প পরিমাণ হলেও টক জাতীয় ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ টক জাতীয় ফল শরীরকে এসিড মুক্ত রাখে। এটি প্রতিদিন পানিতে মিশে এক ঘন্টা পর পর খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে করে শরীরের অনেক উপকার হবে। এছাড়াও প্রতিদিন ৫০ গ্রাম আঙ্গুর খেলেও শরীরের জ্বালা কমে যাবে।
প্রচুর পানি পান করুনঃ অনেক সময় দেখা যায় যে, শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিলে শরীর জ্বালা শুরু হয়। তাই শরীরে কখনোই পানি শূন্যতা করা উচিত নয়। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। এতে করে আপনার হাত-পা ও শরীর জ্বালাপোড়া অনেকাংশে কমে যাবে। আশা করি শরীর জ্বালা পোড়ার কারন ও তার প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। ধন্যবাদ।
লেখকের শেষ কথা
কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালা পোড়া করে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই পোস্টটিতে। আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে আশা করছি কোন ভিটামিনের অভাবে হাত পা জ্বালা পোড়া করে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আপনার ইচ্ছা থাকে আপনার জ্ঞানভাণ্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করার তাহলে অবশ্যই বিষয়গুলো আপনাকে জানতে হবে।
আশা করি আমাদের এই পোস্টটি থেকে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যবহুল পোস্ট যদি আপনি নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে অবশ্যই সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের তালিকা দেখতে ক্লিক করুন