ভিটামিন বি জাতীয় খাবার এবং ভিটামিন বি এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই ভিটামিন বি জাতীয় খাবার এবং ভিটামিন বি এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে ভিটামিন বি জাতীয় খাবার এবং ভিটামিন বি এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক। আমাদের ওবেসাইট ভিজিট করতে ক্লিক করুন

 

ভিটামিন B1, B2, B3, B5, B6, B7, B9 এবং B12 এর সমন্বিত রূপ হচ্ছে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স। খাদ্যের মধ্যে বিদ্যমান প্রতিটি উপাদান তার নিজ নিজ বৈশিষ্ট্যের কারণে আমাদের শরীরবৃত্তীয় কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই খাদ্য উপাদানগুলোর মধ্যে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স অন্যতম।

 

ভূমিকা

ভিটামিন হলো মানবদেহের জন্য অত্যাবশ্যকীয় একটি পুষ্টি উপাদান, যা আমরা সরাসরি খাবারের মাধ্যমে সংগ্রহ করি অথবা প্রাকৃতিক নিয়মে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। মানবদেহের এই অত্যাবশ্যকীয় উপাদানটির নিজ কর্মগুণে জন্য এটি বেশ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত। এদের মধ্যে ভিটামিন-বি একটি।

সবগুলো উপাদানের সমন্বিত রূপকে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। শরীরকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন যোগান দিতে ব্যর্থ হলে ভিটামিনের অভাবজনিতে কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অনুরূপভাবে অতিরিক্ত ভিটামিন-এ গ্রহণ করলেও শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।

 

ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স কাকে বলে?

ভিটামিন-বি হচ্ছে ৮টি ভিটামিনের সমন্বিত রূপ, যা প্রাণীদেহের বিভিন্ন শরীরবৃত্তীয় কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন-বি কোষের অভ্যন্তরে বিদ্যমান গ্ল‍ুকোজ, অ্যামিনো এসিড বা ফ্যাটি এসিড গ্লিসারলরা নামক বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়াকে পরিবর্তন করে নতুন শক্তিতে রুপান্তর করতে সহায়তা করে। নিচের ছকে ভিটামিন বি এর ৮টি রূপ তাদের রাসায়নিক নামসহ বর্ণনা করা হলো:

ভিটামিন-বি এর রূপ	রাসায়নিক নাম
Vitamin B1	Thiamine (থায়ামিন)
Vitamin B2	Riboflavin (রিবোফ্লাভিন)
Vitamin B3	Niacin (নিয়াসিন)
Vitamin B5	Pantothenic Acid (প্যান্টোথেনিক এসিড)
Vitamin B6	Pyridoxine (পাইরিডক্সিন)
Vitamin B7	Biotin (বায়োটিন)
Vitamin B9	Folate (ফোলেট)
Vitamin B12	Cobalamin (কোবালামিন)

উপরে উল্লেখিত সবগুলো ভিটামিনকে একত্রে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স বলে।

 

ভিটামিন বি-কমপ্লেক্সের কাজ কি?

মানবদেহের শরীরবৃত্তীয় অনেক কাজে ভিটামিন-বি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। নিচে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্সের কাজ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো:

ভিটামিন বি১: ভিটামিন বি১ প্রাণীদেহের নার্ভ সিস্টেমকে সক্রিয় রাখতে সহায়তা করে এবং কোষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

 

ভিটামিন বি২: প্রাণীদেহের পরিপাক ক্রিয়াকে সচল রাখে এবং হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। দেহ কোষের রক্তরস বৃদ্ধিতেও এই ভিটামিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 

ভিটামিন বি৩: ভিটামিন বি৩ শরীরের খারাপ কলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ভাসকুলার ডিজিজ ও শ্বাসকষ্টের মত নানা রোগের প্রতিষেধক হিসেবে এটি কাজ করে।

 

ভিটামিন বি৫: প্রাণীদেহের কোষ গঠনে ভিটামিন বি৫ এর ভূমিকা অপরিসমীম।

 

ভিটামিন বি৬: এনজাইম হলো একটি জৈব রাসায়নিক পদার্থ যা প্রাণীদেহে নানারকম শরীরবৃত্তীয় কাজ করে থাকে। এনজাইমের এই কাজকে ত্বরান্বিত করতে ভিটামিন বি৬ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে। সেই সাথে দেহে প্রোটিন বিপাকীয় প্রক্রিয়াকে সচল রাখতে সাহায্য করে।

 

ভিটামিন বি৭: চুল, ত্বক ও নখের সতেজতা বজায় রাখতে ভিটামিন বি৭ গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে।

 

ভিটামিন বি৯: গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টির যোগান দিতে ভিটামিন বি৯ গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। গর্ভাবস্থায় শরীরে প্রয়োজন অনুযায়ী প্রোটিন সরবরাহ ও নানাবিধ জটিলতা নিরসনে ভিটামিন বি৯ এর ভূমিকা অনেক বেশি।

 

ভিটামিন বি১২: ভিটামিন বি১২ প্রাণীদেহে লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন ঘটায়। সেই সাথে আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্রমকে সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন বি- কমপ্লেক্সের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ভিটামিন বি১২।

 

ভিটামিন বি-কমপ্লেক্সের উপকারিতা কি?

প্রাণীদেহে ভিটামিন বি এর প্রতিটি উপাদানের ভূমিকা অনস্বীকার্য। নিচে প্রাণীদেহে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্সের উপকারিতা সম্পর্কে বর্ণনা করা হলো:

• শরীরবৃত্তীয় রাসায়নিক বিক্রিয়াকে সক্রিয় রাখতে সহায়তা করে।
• রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
• ত্বক সতেজ রাখতে এবং চুল মজবুত রাখতে সহায়তা করে।
• দেহের ওজন স্বাভাবিক রাখে এবং স্থুলতা রোধ করে।
• স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করে।
• রক্তস্বল্পতা দূর করতে দেহে লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন ঘটায়।
• হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখে এবং হাড়কে মজবুত করে।
• কিডনি, লিভার ও হৃৎযন্ত্রের কর্মক্ষমতাকে সক্রিয় রাখতে সহায়তা করে।

 

ভিটামিন বি এর অভাবজনিত লক্ষণ

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন বি জাতীয় কিছু খাদ্য থাকলে নিম্নল্লিখিত সমস্যাগুলো থেকে খুব সহজেই রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

ভিটামিন বি১: ভিটামিন বি১ এর অভাবে বেরিবেরি রোগ হয়। বেরিবেরি রোগ হলো প্রাণীদেহের স্নায়ুতন্ত্রের একটি রোগ। এ রোগের লক্ষণগুলো নিম্নরূপ:

• শরীরের ওজন হ্রাস পাওয়া।

• শরীর ব্যাথা ও শারীরিক দুর্বলতা অনূভব করা।
• অনিয়মিত হার্টবিট দেখা দেওয়া।
• শরীরের বিভিন্ন টিস্যু ফুলে ওঠা।
• অতিরিক্ত ভিটামিন বি১ এর অভাবে হৃদরোগ হতে পারে এবং এরফলে মৃত্যুঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

 

ভিটামিন বি২: ভিটামিন বি এর অভাবে যে সকল উপসর্গ দেখা দেয় সেগুলো নিম্নরূপ:

• মুখে আলসার হওয়া।

• ঠোঁটের ফাটল দেখা দেওয়া।
• গলা ব্যথা করা।
• মাইগ্রেনের ব্যাথা ওঠা।
• শারীরিক দুর্বলতা অনূভব করা।
• রক্তশূন্যতা দেখা দেওয়া।
• এছাড়াও ভিটামিন বি২ এর অভাবে চোখ, জিহ্বা ও মুখের ভিতর নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।

 

ভিটামিন বি৩: শরীরে ভিটামিন বি৩ এর ঘাটতি হলে অপুষ্টিজনিত রোগ দেখা দেয়। বিভামিন বি৩ এর অভাবে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে:

• স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়া।

• ডায়রিয়া হওয়া।
• মুখে ঘা দেখা দেওয়া।
• ত্বকের প্রদাহ অনূভব করা।
• মানসিক অবসাদ অনুভব করা।
• মাথা ব্যাথা করা।
• মাত্রাতিরিক্ত ভিটামিন বি৩ এর অভাবে পেলাগ্রা (এক প্রকার চর্মরোগ) রোগের মত কঠিন রোগও হতে পারে। এ রোগে আক্রান্ত রোগী দীর্ঘদিন বিনা চিকিৎসায় ভূগলে শরীরের ত্বক কালো ও শক্ত হয়ে যায় এবং এক পর্যায়ে শক্ত ত্বক খসে পড়ে এবং রক্তপাত ঘটে।

 

ভিটামিন বি৫: ভিটামিন বি৫ এর অভাবে যেসব লক্ষণ দেখা যায় সেগুলো নিম্নরূপ:

• মুখে ব্রণ দেখা দেওয়া।
• ত্বকে অসাড়তা ও শিহরণ অনুভূত হওয়া।
• বাক বা দৃষ্টি সমস্যা দেখা দেওয়া।
• হালকা মাথা ব্যাথা করা।

 

ভিটামিন বি৬: শরীরে ভিটামিন বি৬ এর ঘাটতি হলে যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তা হলো:

• ঘুম না হওয়া।
• শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেওয়া এবং অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যাওয়া।
• রক্তশূন্যতা দেখা দেওয়া।
• মাঝে মাঝে হাত-পা অসাড় হয়ে যাওয়া।
• শিশুদেহে ভিটামিন বি৬ এর ঘাটতি হলে অতিরিক্ত কান্নাকাটি করে। মাঝে মাঝে খিঁচুনিও দিতে পারে।
• চিন্তাশক্তি হ্রাস পাওয়া।
• বিষন্নতায় ভোগা।
• মুড সুইং হওয়া।
• কখনো কখনো মৃগী রোগের মত কঠিন রোগও দেখা দিতে পারে।

 

ভিটামিন বি৭: ভিটামিন বি৭ এর অভাবজনিত কোনো লক্ষণ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে পরিলক্ষিত হয় না। ভিটামিন বি৭ এর অভাবে মূলত শিশুরাই বিভিন্ন সমস্যায় ভোগে। ভিটামিন বি৭ এর অভাবজনিত লক্ষণগুলো নিম্নরূপ:

• প্রতিবন্ধী শিশুহার বৃদ্ধি পাওয়া।
• শিশুদেহ স্নায়ুবিক রোগে আক্রান্ত হওয়া।
• কখনো কখনো ভিটামিন বি৭ এর অভাবে জন্মগত ত্রুটি নিয়েই শিশু জন্মগ্রহণ করা।

 

ভিটামিন বি৯: ভিটামিন বি৯ এর অভাবে নিম্নলিখিত রোগের উপসর্গ দেখা দিতে পারে:

• কার্ডিওভাসকুলার রোগ হতে পারে। এ রোগ প্রাণীদেহের হৃৎপিণ্ড ও রক্তনালির উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
• রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে।
• গর্ভবতী মহিলারা ভিটামিন বি৯ এর অভাবে অপুষ্টিতে ভূগলে শিশুর জন্মত্রুটি দেখা দিতে পারে।

 

ভিটামিন বি১২: ভিটামিন বি-কমপ্লেক্সের ৮টি উপাদানের মধ্যে ভিটামিন বি১২ এর গুরুত্ব অনেক বেশি। ভিটামিন বি১২ এর অভাবে প্রাণীদেহে যেসকল উপসর্গগুলো পরিলক্ষিত হয় সেগুলো নিম্নরূপ:

• স্নায়ুবিক জটিলতা সৃষ্টি হওয়া।
• রক্তস্বল্পতা দেখা দেওয়া।
• শারীরিক দুর্বলতা অনূভব করা।
• কর্মক্ষমতা হ্রাস পাওয়া।
• ঘন ঘন শ্বাসকষ্ট রোগে ভোগা।
• মাথা ব্যাথা হওয়া।
• ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া।
• মুখে ও জিভে ঘা হওয়া।
• মুখের মধ্যে ক্ষতের সৃষ্টি হওয়া।
• মানসিক বিষন্নতা ও অল্পতেই বিরক্তিভাব হওয়া।
• ওজন হ্রাস পাওয়া এবং ক্রমান্বয়ে স্থুলতা বৃদ্ধি পাওয়া।
• ক্ষুধামন্দায় ভোগা।
• কোনো কারণ ছাড়াই হাত পা ঝি ঝি ধরা এবং অবশ হয়ে যাওয়া।
• চোখে ঝাপসা দেখা এবং একটি বস্তুকে একাধিক দেখা।
• চুল পেকে যাওয়া এবং অধিক চুল পড়ে যাওয়া।
• হাত ও পায়ের নখ ভঙ্গুর হয়ে পড়া এবং স্বাভাবিক রং নষ্ট হয়ে যাওয়া।
• পাকস্থলির সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগা।
• বুক ধড়ফড় করা।
• মাত্রাতিরিক্ত ভিটামিন বি১২ এর অভাবে নিম্নলিখিত জটিল সমস্যাগুলো হতে পারে:
• মানসিক ক্রিয়ার অবনতি হওয়া।
• রক্তপ্রবাহে জটিলতা সৃষ্টি করা।
• উচ্চ রক্তচাপে ভোগা।
• কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পাওয়া।
• দৃষ্টিশক্তি লোপ পাওয়া।

 

আরও পড়ুন: ভিটামিন-এ জাতীয় খাবার

ভিটামিন বি জাতীয় খাদ্য তালিকা

ভিটামিন বি জাতীয় খাদ্য তালিকা দুটি ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে আপনাদের সামনে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। প্রথমে ভিটামিন বি জাতীয় খাদ্য তালিকায় এমন সব উৎসগুলোকে রাখা হয়েছে যেখানে ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের প্রতিটি ভিটামিন বিদ্যমান।

 

ভিটামিন বি জাতীয় ফলের নাম

নিম্নলিখিত ফলগুলোতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের প্রতিটি ভিটামিন বিদ্যমান রয়েছে। অর্থাৎ যে ফলগুলোতে ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬, বি৭, বি৯, বি১২ সবগুলো বিদ্যমান সেগুলো হলো:

• আপেল, কলা, লেবু, আম, তরমুজ, অ্যাভোকাডো, ব্ল‍ুবেরি।

 

ভিটামিন বি জাতীয় সবজির নাম

নিম্নলিখিত সবজিগুলোতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের প্রতিটি ভিটামিন রয়েছে। অর্থাৎ যে সবজিগুলোতে ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬, বি৭, বি৯, বি১২ সবগুলো বিদ্যমান সেগুলো নিম্নরূপ:

• মিষ্টি কুমড়া, টমেটো, পালংশাক, আলু, মিষ্টি আলু, মাশরুম, বিটরুট।

 

ভিটামিন বি জাতীয় খাদ্য তালিকার অন্যান্য উৎস

নিম্নলিখিত খাবারগুলোতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের প্রতিটি ভিটামিন পাওয়া যায়। অর্থাৎ যে খাবারগুলো ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬, বি৭, বি৯, বি১২ সবগুলো বিদ্যমান সেগুলো নিচে দেওয়া হলো:

• ডিম, দুধ, ঘি, দই, সূর্যমুখী বীজ, মাছ, মাংস, ব্রাউন রাইস, পেস্তা বাদাম, আখরোট।

 

ভিটামিন বি এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

ভিটামিন বি কমপ্লেক্স হলো ভিটামিন বি এর সবগুলো উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত একটি কৃত্রিম রূপ। মানবদেহ যখন প্রাকৃতিক উপায়ে খাদ্য থেকে ভিটামিনের এই গুরুত্বপূর্ণ উপাদানটি গ্রহণে ব্যর্থ হয়ে তখন সে নানা রকম শারীরিক জটিলতার সম্মুখীন হয়।

ভিটামিন বি এর অভাবজনিত সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি লাভের জন্য বিশেষজ্ঞরা কৃত্রিম ভিটামিন বি বা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ট্যাবলেট সেবনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু কৃত্রিম ভিটামিন বি ট্যাবলেট অতিরিক্ত সেবন কিংবা খাদ্য তালিকায় অতিরিক্ত ভিটামিন বি জাতীয় খাবারের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। নিচে ভিটামিন বি এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো উল্লেখ করা হলো:

• মাথা ব্যাথা ও ঝিমঝিম করা।
• বমি বমি ভাব ও বমি করা।
• স্নায়ুতন্ত্রের অসাড়তা ও কখনো কখনো শরীর নড়াচড়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা।
• অ্যালর্জিজনিত সমস্যা দেখা দেওয়া।
• অত্যধিক প্রস্রাবের চাপ অনুভব করা।
• জ্বর হওয়া।
• পেট ব্যাথা।
• কোষ্ঠকাঠিণ্যের সমস্যা দেখা দেওয়া।

 

লেখকের শেষ কথা

ভিটামিন বি জাতীয় খাবার এবং ভিটামিন বি এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই পোস্টটিতে। আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে আশা করছি ভিটামিন বি জাতীয় খাবার এবং ভিটামিন বি এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আপনার ইচ্ছা থাকে আপনার জ্ঞানভাণ্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করার তাহলে অবশ্যই বিষয়গুলো আপনাকে জানতে হবে।

আশা করি আমাদের এই পোস্টটি থেকে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যবহুল পোস্ট যদি আপনি নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে অবশ্যই সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

ভিটামিন বি সম্পর্কে আরও জানতে ক্লিক করুন