হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট এবং বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট এবং বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক। আমাদের ওবেসাইট ভিজিট করতে ক্লিক করুন
ভূমিকা
এই আর্টিকেলের মাধ্যে বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায়, বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট, বুকের দুধ বৃদ্ধির দোয়া, কি খেলে বুকের দুধ কমে যায় ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি প্রতিটি পয়েন্ট ভালোভাবে জানতে চান, তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তাহলে আপনি এ সম্পর্কে আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
বুকের দুধ বৃদ্ধির দোয়া
পবিত্র কোরআন আল্লাহ তাআলার একটি বাণী হলো- এমন কোন রোগ নেই যে, সেই রোগের শেফা এই কুরআন শরীফের মধ্যে বলা নেই। সকল রোগের ঔষধ এই পবিত্র কোরআন শরীফের মধ্যে উল্লেখ রয়েছে। বুকের দুধ পাওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলা কোরআন শরীফের মধ্যে বেশ কিছু দোয়ার কথা বলেছেন। আর কোরআনের কথা কোনদিন মিথ্যা হয় না। তাই আপনারা যদি ঠিকমতো এই দোয়াগুলো আমল করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনাদের বাচ্চা বুকের দুধ পাবে।
ফাতেহা সূরাঃ ফাতেহা সূরা জানেনা এমন মানুষ খুব কম রয়েছে। এই ফাতেহা সূরার অনেক ফজিলত রয়েছে। তারমধ্যে একটি ফজিলতটি হলো- অজু অবস্থায় এক গ্লাস পানি নিয়ে তিনবার সূরা ফাতেহা পড়ে পানিতে ফু দিয়ে সেই পানি দিয়ে স্তন ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে আপনারা দিনে তিনবার করে এই কাজটি করবেন তাহলে দেখবেন আস্তে আস্তে আল্লাহতালা বাচ্চার জন্য বুকের দুধের ব্যবস্থা করে দিবেন।
ইয়া মাতিনুঃ এটি আল্লাহ তাআলার ৯৯ টি নামের মধ্যে একটি। আল্লাহ তাআলার প্রতিটি নামের মধ্যে অনেক ফজিলত রয়েছে। আর এই নামগুলো অনেক গুণবাচক নাম। এসকল গুণবাচক নামের মধ্যে একটি হলো ইয়া মাতিনু । আপনারা দুই রাকাত নামাজ পড়ে জায়নামাজে বসে ১০০ বার এই দোয়াটি পড়ে ২ লিটার পানির বোতলে তিনবার ফু দিবেন। তারপর সেই পানি দিয়ে প্রতিদিন দুইবার করে আপনার স্তন ধুবেন এবং সেই পানি পান করবেন। শেষ হয়ে যাবার পর আপনারা আবার একইভাবে পানি সংগ্রহ করবেন। এতে আল্লাহ তা’আলা আপনাদের ভালো ফলাফল দান করবেন।
কি খেলে বুকের দুধ কমে যায়
বাচ্চা হওয়ার পর মায়েদের দুধ কম হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। কেননা এখনকার অনেক মায়েরা বাচ্চাদের দুধ খাওয়াতে অলসতা করেন। ফলে আস্তে আস্তে তাদের বুকের দুধ কমে যায়। কারণ বাচ্চা যত বেশি দুধ খাবে, মায়ের দুধ তত বেশি বৃদ্ধি হবে। আর বাচ্চাদের যত কম দুধ খাওয়াবেন, আস্তে আস্তে দুধের পরিমাণও তত কমে যাবে। বাচ্চাদের যদি ভুল পদ্ধতিতে বুকের দুধ খাওয়ানো হয় সেক্ষেত্রে দুধ তৈরির প্রক্রিয়ায় বাধা পড়ে এবং বুকের দুধ কমে যায়।
এই সমস্যাগুলো বেশিরভাগ নতুন মায়েদের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। যদি বাচ্চাকে মায়ের দুধের পাশাপাশি ফিডারে দুধ খাওয়ানো হয় তাহলে বাচ্চার মায়ের দুধ খাওয়ার চাহিদা কমে যায়। সেক্ষেত্রে বাচ্চা আস্তে আস্তে মায়ের দুধ খাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং বুকে দুধ আসাও কমে যায়। এছাড়া অনেক মায়েরা অপুষ্টিতে ভোগেন, অনেক মায়েরা অশান্তিতে থাকেন, অধিক দুশ্চিন্তার ফলেও বুকের দুধ কমে যায়। যদি বাচ্চার মায়ের পর্যাপ্ত ঘুম না হয় সেক্ষেত্রেও দুধ কম হতে পারে।
বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায়
বাচ্চা হবার পর প্রত্যেক মা‘কে সুষম এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। বাচ্চা হবার আগে যেভাবে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া-দাওয়া করতেন, বাচ্চা হবার পরেও সেভাবেই খাওয়া-দাওয়া করতে হবে। বরং আগের চাইতে বেশি খাওয়া-দাওয়া এবং ভিটামিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। আর ঠিকমত খাবার না খেলে বাচ্চা দুধ পাবে না এটাই স্বাভাবিক। সেজন্য বাচ্চা হওয়ার পর ভিটামিনযুক্ত এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
বাচ্চা হওয়ার পর যদি মায়েদের পুষ্টিকর খাবারের অভাব হয় তাহলে বাচ্চা দুধ পাবে না এবং বাচ্চাও অপুষ্টিতে ভুগবে। আর প্রত্যেক বাচ্চার মায়েদের নিয়ম অনুযায়ী সময়মতো খাবার খেতে হবে, এতে বুকের দুধ বৃদ্ধি হবে। অনেক মায়েরা সকালের খাবার দুপুরে, দুপুরের খাবার বিকেলে খায়, সেক্ষেত্রে বাচ্চা দুধ পাবে না। মায়েদের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য কিছু পুষ্টিকর খাবারের তালিকা নিম্নে দেওয়া হলোঃ
- কালোজিরা
- মৌরি
- খেজুর
- মধু
- ডাবের পানি
- ডিম
- দুধ
- কলিজা
- কিসমিস
- শাক-সবজি
- ফল
- ছোট মুরগির ঝোল
- বড় মাছের মাথা
- নদী এবং বিলের মাছ
- গরম মসলা
- লাল শাক
- মাখন
- আরো বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার
বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট
এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাচ্চা হবার পর বাচ্চা তার মায়ের বুকের দুধ পায় না। আর বাচ্চা যদি মায়ের দুধ না পায় সেক্ষেত্রে বাচ্চা অপুষ্টিতে ভুগে। যেকোনো ধরণের রোগে বাচ্চা তাড়াতাড়ি আক্রান্ত হয় এবং রোগ সেরে উঠতে অনেক সময় লাগে। আপনারা অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করার পরেও বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট কোনটা খাবেন তা বুঝতে পারেন না। আজ এই আর্টিকেলে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির জন্য কিছু ট্যাবলেটের কথা বলব। আল্লাহ চাইলে অবশ্যই এই ট্যাবলেট সেবনে মায়ের দুধ বৃদ্ধি পাবে। ট্যাবলেটগুলো সম্পর্কে জেনে নিন।
বুকের দুধ বৃদ্ধি ট্যাবলেট সম্পর্কে জানুন
বাচ্চা যখন মায়ের দুধ পায় না তখন সে অনেক কান্নাকাটি করে। তখন মা অনেক টেনশনে পড়ে যায় যে, কি খেলে তার বাচ্চা ঠিকমত দুধ পাবে। কারণ বাচ্চা হওয়ার পর বাইরের দুধ খাওয়ালে বাচ্চার বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ট্যাবলেটগুলো খেলে আশা করা যায় যে বুকের দুধ বৃদ্ধি পাবে।
মমবিটঃ মমবিট ট্যাবলেট পর পর দশ দিন খেতে হবে। এই ট্যাবলেটটি আপনারা দিনে একবার রাত্রে খাওয়া-দাওয়া করার পর খাবেন।
অমিডনঃ অমিডন ট্যাবলেট দিনে তিনবার করে খাবেন। এই ট্যাবলেট আপনারা খাবার খাওয়ার আধাঘন্টা আগে সেবন করবেন। অমিডন ট্যাবলেট আপনাকে পর পর ১০ দিন খেতে হবে।
ডন এঃ ডন এ ঔষধটি মায়ের পেটের যে কোন সমস্যা এবং হজম ঠিক রাখতে সাহায্য করে, ফলে মায়েদের রুচি বেড়ে যায়। মায়েরা যদি খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো করে তাহলে বাচ্চা অনেক ভালো দুধ এমনিতেই পাবে। কারণ বাচ্চা হওয়ার পর অনেক মায়ের খাবার রুচি কমে যায় সেজন্য বাচ্চারা বুকের দুধ পায় না।
ডোমাইটঃ ডোমাইট ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে বাচ্চার মায়ের দুধ বৃদ্ধি হতে সাহায্য করে। এই ট্যাবলেট আপনারা ভরা পেটে সেবন করবেন। আর যে কোন ওষুধ খাওয়ার আগে আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাবেন। এক্ষেত্রে আপনাদের টেনশনের কোন কারণ থাকবে না এবং কখনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে না।
লেখকের শেষ কথা
বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট এবং বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই পোস্টটিতে। আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে আশা করছি বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট এবং বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আপনার ইচ্ছা থাকে আপনার জ্ঞানভাণ্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করার তাহলে অবশ্যই বিষয়গুলো আপনাকে জানতে হবে।
আশা করি আমাদের এই পোস্টটি থেকে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যবহুল পোস্ট যদি আপনি নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে অবশ্যই সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
বুকের দুধ সম্পর্কে আরও জানতে ক্লিক করুন
