নিমের উপকারিতা এবং অপকারিতা বিষয়ক কিছু তথ্য

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই নিমের উপকারিতা এবং অপকারিতা বিষয়ক কিছু তথ্য জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে নিমের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক। আমাদের ওবেসাইট ভিজিট করতে ক্লিক করুন

নিমের উপকারিতা এবং অপকারিতা বিষয়ক কিছু তথ্য

নিম ঔষধি গাছ যার ডাল, পাতা, রস সবই বিভিন্ন ধরণের কাজে । শুধুমাত্র নিম দিয়েই নিরাময় হয় অন্তত ২২টি রোগ। নিমের পাতা থেকে আজকাল প্রসাধনীও তৈরি করা হচ্ছে। কৃমিনাশক হিসেবে নিমের রস খুবই কার্যকর। নিয়মিত এই পাতা খেলে এটি হজম ক্ষমতার উন্নতি করে, ক্লান্তি দূর করে,  ক্ষত তাড়াতাড়ি নিরাময় করতে সাহায্য করে, ইউটিআই বা মূত্রনালীর সংক্রমণ কমায়, কৃমির সমস্যা দূর করে। বমি বমি ভাব কিংবা বমির উপশম  কমাতেও নিম পাতা দারুণ কাজে আসে। শুধু তাই নয়, নিম পাতা খাওয়ার অভ্যাসে ত্বক পুনরুজ্জীবিত হয়। চোখের বলি রেখা দূর হয়। ত্বকে এন্টি এজিং প্রসেস চালু হয়। চুল ও দাঁতের যত্নেও নিমপাতা বেশ উপকারী ভূমিকা পালন করে। নিমপাতায় ক্যালসিয়াম আর খনিজ উপাদান বেশি থাকায় তা হাড় মজবুত করার ক্ষেত্রেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ, সেপটিক ঘা, সংক্রমিত পোড়া এমন কি ত্বকে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে নিমপাতা। পেটের আলসার কিংবা ত্বকে দাদের মতো চর্মরোগেও চিকিৎসকরা নিমপাতার ওপর ভরসা করেন।

Neem

নিম গাছের উপকারিতা:

মৌখিক স্বাস্থ্য:

নিমের নির্যাসে অত্যন্ত শক্তিশালী বীজবারক যৌগিক থাকে যা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে সহায়তা করে এবং মুখ গহ্বরের রোগ, মুখের দুর্গন্ধ এবং মাড়ির রোগ নিরাময় করতে পারে। নিমের শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল নির্যাস টুথপেস্ট, মাউথওয়াশ এবং মৌখিক স্বাস্থ্যের টনিকের তৈরিতে একটি জরুরি উপকরণ হিসেবে কাজে লাগে।

ত্বকের জন্য:

নিমের তেল শুষ্ক ত্বকের থেকে পরিত্রাণ পেতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং ত্বকের চুলকানি, লাল হয়ে যাওয়া, গরম ত্বককে ঠান্ডা হতে সহায়তা করে। আয়ুর্বেদ চিকিৎসার ক্ষেত্রে, নিম তেল সাধারণত সোরিয়াসিস এবং একজিমার চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। নিম তেলের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অতি মাত্রায় থাকায় এটি সূর্যের অতিরিক্ত তাপ, পরিবেশগত বিষাক্ত পদার্থ এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক পদার্থের হাত থেকে অতি সহজেই মুক্তি পেতে সহায়তা করে এবং এটি ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে অতীব কার্যকর।

প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য:

অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে নিম তেল সহবাসের আগে এবং সহবাসের পরে, দুটি পরিস্থিতিতেই একটি বিশেষ কার্যকর গর্ভনিরোধক। এটি যৌন কর্মক্ষমতা বা লিবিডো ক্ষমতা কে প্রভাবিত না করে না করে পুরুষ এবং মহিলাদের উভয়েরই প্রজনন ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করে। নিমও একটি শুক্রাণু হিসাবে কাজ করে এবং এটি যোনির সহায়ক হিসাবে ব্যবহৃত হয় যা যৌন সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে।

উকুনের সমস্যায় সমাধান হিসেবে:

নিম কার্যকরভাবে চুলের উকুনের নিরাময় করতে পারে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো করতেও খুবই উপযোগী।

আলসারের জন্য:

নিমে শক্তিশালী গ্যাস্ট্রোপ্রোটেক্টিভ এবং এন্টিইউলেটর থাকায় তা আলসার প্রতিরোধেও সহায়তা করে।

ক্যানসার বা কর্কট রোগের জন্য:

নিমপাতায় রয়েছে অনেক উপাদান, ক্যানসারের চিকিৎসায় সহায়ক হতে পারে যেমন: ভিটামিন-সি, বিটা-ক্যারোটিন, কোরিসেটিন, আজাডিরাটিন, আজাডিরন, ডক্সনবিম্বাইড, কাইমাফেরল ইত্যাদি।

নিমের অপকারিতা:

সম্ভাব্য উপকারী ব্যবহারের এর বিশাল পরিসর সত্ত্বেও, নিমের সাথে যুক্ত কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা অপকারিতাও রয়েছে।

  1. গর্ভাবস্থায় জটিলতা: আপনি যদি গর্ভবতী হন বা গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তবে আপনি যে কোনো রকমের নিম গাছের পরিপূরকগুলি খেতে পারবেন না। রোগ প্রতিরোধক তন্ত্রে নিমের সঙ্গে যোগাযোগ অত্যন্ত সক্রিয়। এটি শরীরে শুক্রাণু কোষ প্রত্যাখ্যান করে বা গর্ভবতী ভ্রূণকে নষ্ট করে দিতে পারে।শিশুদের জন্য উপযুক্ত নয়: নিমের কিছু পদার্থ শিশুদের মধ্যে রে-সিন্ড্রোমের উপসর্গের কারণ হিসেবে পরিচিত হয়ে থাকে।
  2. অহেতুক ক্লান্তির কারণ: আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের অল্পতেই ক্লান্তি বা দুর্বলতার শিকার হওয়ার অভ্যেস আছে, তাদের জন্য নিম বা নিমের তৈরী কোনো উপকরণ সেবন করা উচিত না কারণ নিমে এই ধরণের অসুস্থতা বাড়িয়ে দেওয়ার শঙ্কা থাকে।

নিমে যে ২২টি রোগের নিরাময় হয়:

. খোস পড়া বা চুলকানি
নিম পাতা সিদ্ধ করে সেই জল দিয়ে গোসল করলে খোসা-পড়া চলে যায়। পাতা বা ফুল বেটে গায়ে কয়েকদিন লাগালে চুলকানি ভালো হয়। পাতা ভেজে গুড়া করে সরিষার তেলের সাথে মিশিয়ে চুলকানিতে লাগালে জাদুর মতো কাজ করে। নিম পাতার সাথে সামান্য কাঁচা হলুদ পিষে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ আকারে ৭-১০ দিন ব্যবহার করলে খোসা-পড়া ও পুরনো ক্ষতের উপশম হয়। নিম পাতা ঘি এ ভেজে সেই ঘি ক্ষতে লাগালে ক্ষত অতি সত্বর নিরাময় হয়।

. কৃমিনাশক
পেটে কৃমি হলে শিশুরা রোগা হয়ে যায়। পেটে বড় হয়। চেহারা ফ্যকাশে হয়ে যায়। বাচ্চাদের পেটে কৃমি নিরাময় করতে নিমের পাতার বিকল্প নেই। শিশুরাই বেশি কৃমি আক্রান্তের শিকার হয়। এ জন্য ৫০ মিলিগ্রাম পরিমাণ নিম গাছের মূলের ছালের গুড়া দিনে ৩ বার সামান্য গরম জল সহ খেতে হবে। আবার ৩-৪ গ্রাম নিম ছাল চূর্ণ সামান্য পরিমাণ লবণসহ সকালে খালি পেটে সেবন করা গেলে কৃমির উপদ্রব হতে রক্ষা পাওয়া যায়। নিয়ম করে এক সপ্তাহ সেবন করতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১-২ গ্রাম মাত্রায় সেব্য।

. ত্বক
বহুদিন ধরে রূপচর্চায় নিমের ব্যবহার হয়ে আসছে। ত্বকের দাগ দূর করতে নিম খুব ভালো কাজ করে। এছাড়াও এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে। ব্রণ দূর করতে নিমপাতা বেটে লাগাতে পারেন। আবার ঘরে তৈরি নিমের বড়িও খাওয়া যেতে পারে। বড়ি তৈরি করতে নিমপাতা ভালোভাবে ধুয়ে বেটে নিন। এবার হাতে ছোট ছোট বড়ি তৈরি করুন। বড় ডিশে ফ্যানের বাতাসে একদিন রেখে দিন। পরের দিন রোদে শুকোতে দিন। নিমের বড়ির জল একেবারে শুকিয়ে আসলে এয়ারটাইট বয়ামে সংরক্ষণ করুন। নিমপাতা ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া বিরোধী। তাই ত্বকের সুরক্ষায় এর বিকল্প নেই। ব্রণের সংক্রমণ হলেই নিমপাতা থেঁতো করে লাগালে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। মাথার ত্বকে অনেকেরই চুল্কানি ভাব হয়, নিমপাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগালে এই চুলকানি কমে। নিয়মিত নিমপাতার সাথে কাঁচা হলুদ পেস্ট করে লাগালে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি ও স্কিন টোন ঠিক হয়। তবে হলুদ ব্যবহার করলে রোদ এড়িয়ে চলাই ভালো। নিমপাতার চেয়ে হলুদের পরিমাণ কম হবে। নিমপাতার সিদ্ধ জল গোসলের জলের সাথে মিশিয়ে নিন। যাদের স্কিন ইরিটেশন এবং চুল্কানি আছে তাদের এতে আরাম হবে আর গায়ে দুর্গন্ধের ব্যাপারটাও কমে যাবে আশা করা যায়।

. দাতের রোগ
দাঁতের সুস্থতায় নিমের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করার প্রচলন রয়েছে সেই প্রাচীনকাল থেকেই। নিমের পাতা ও ছালের গুড়া কিংবা নিমের ডাল দিয়ে নিয়মিত দাত মাজলে দাঁত হবে মজবুত, রক্ষা পাবেন দন্ত রোগ থেকেও। কচি নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত ভালো থাকে। নিম পাতার নির্যাস জলে মিশিয়ে বা নিম দিয়ে মুখ আলতোভাবে ধুয়ে ফেললে দাঁতের আক্রমণ, দাঁতের পচন, রক্তপাত ও মাড়ির ব্যথা কমে যায় এবং বুকে কফ জমে গেলে নিম পাতা বেটে এর ৩০ ফোঁটা রস সামান্য গরম জলতে মিশিয়ে দিনে ৩ থেকে ৪ বার খেলে উপকার পাওয়া যায়।

. রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে
নিম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিমের পাতা রক্তের সুগার লেভেল কমতে সহায়তা করে। এছাড়াও রক্ত নালীকে প্রসারিত করে রক্ত সংবহনে সহায়তা করে। ভালো ফল পেতে নিমের কচি পাতার রস প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন। সকালে খালি পেটে ৫টি গোলমরিচ ও ১০টি নিম পাতা বেটে খেলে তা ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে।

৬. চুল
উজ্জ্বল, সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন চুল পেতে নিম পাতার অবদান অপরিসীম । চুলের খুসকি দূর করতে শ্যাম্পু করার সময় নিমপাতা সিদ্ধ জল দিয়ে চুল ম্যাসেজ করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন । খুসকি দূর হয়ে যাবে । চুলের জন্য নিম পাতার ব্যবহার অদ্বিতীয় । চুলে প্রতি সপ্তাহে ১ দিন নিমপাতা ভালো করে বেটে চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টার মত রাখুন । এবার ১ ঘন্টা পর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন । দেখবেন চুল পড়া কমার সাথে সাথে চুল নরম ও কোমল হবে । মধু ও নিমপাতার রস একত্রে মিশিয়ে সপ্তাহে কমপক্ষে ৩ দিন চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগান । এবার ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন । তারপার শেম্পু করুন আর অধিকারী হোন ঝলমলে সুন্দর চুলের । এক চা চামচ আমলকির রস, এক চা চামচ নিমপাতার রস, এক চা চামচ লেবুর রস, প্রয়োজন অনুযায়ী টকদই মিশিয়ে সপ্তাহে ২ দিন চুলে লাগিয়ে আধা ঘন্টা অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু করুন ।

৭. উকুন বিনাশে
নিমের ব্যাবহারে উকুনের সমস্যা দূর হয় । নিমের পেস্ট তৈরি করে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন, তারপর মাথা শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন এবং উকুনের চিরুনি দিয়ে মাথা আঁচড়ান । সপ্তাহে ২- ৩ বার ১ থেকে ২ মাস এভাবে করুন । উকুন দূর হবে ।

৮. খুশকি বিনাশে
নিমের ব্যাকটেরিয়া নাশক ও ছত্রাক নাশক উপাদানের জন্য খুশকির চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে । নিম মাথার তালুর শুষ্কতা ও চুলকানি দূর করে । খুশকির চিকিৎসায় নিমের ব্যাকটেরিয়া নাশক ও ছত্রাক নাশক উপাদানের জন্য খুশকির চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে । নিম মাথার তালুর শুষ্কতা ও চুলকানি দূর করে । চার কাপ জলতে এক মুঠো নিমের পাতা দিয়ে গরম করতে হবে যতক্ষণ না জলটা সবুজ বর্ণ ধারণ করে এই জল ঠান্ডা হলে চুল শ্যাম্পু করার পর এই জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন । নিমের জল কন্ডিশনারের মত কাজ করবে । সপ্তাহে ২- ৩ বার ব্যবহার করতে থাকুন যতদিন না খুশকি দূর হয় ।

৯. ওজন কমাতে
যদি আপনি ওজন কমাতে চান বিশেষ করে পেটের তাহলে নিমের ফুলের জুস খেতে হবে আপনাকে । নিম ফুল মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে শরীরের চর্বি ভাংতে সাহায্য করে । একমুঠো নিম ফুল চূর্ণ করে নিয়ে এর সাথে এক চামুচ মধু এবং আধা চামুচ লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মিশান । প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই মিশ্রণটি পান করুন । দেখবেন কাজ হবে ।

১০. রক্ত পরিষ্কার করে
নিমপাতার রস রক্ত পরিষ্কার করে ও রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় । এছাড়াও রক্তচলাচল বাড়িয়ে হৃৎপিণ্ডের গতি স্বাভাবিক রাখে । উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও নিমের জুড়ি নেই ।

১১. ঠাণ্ডাজনিত বুকের ব্যথা
অনেক সময় বুকে কফ জমে বুক ব্যথা করে । এ জন্য ৩০ ফোটা নিম পাতার রস সামান্য গরম জলতে মিশিয়ে দিতে ৩/৪ বার খেলে বুকের ব্যথা কমবে । গর্ভবতীদের জন্য ঔষধটি নিষেধ ।

১২. পোকা- মাকড়ের কামড়
পোকা মাকড় কামড় দিলে বা হুল ফোঁটালে নিমের মূলের ছাল বা পাতা বেটে ক্ষত স্থানে লাগালে ব্যথা উপশম হবে ।

১৩. জন্ডিস
জন্ডিস হলে প্রতিদিন সকালে নিম পাতার রস একটু মধু মিশিয়ে খালি পেটে খেতে হবে । ২৫- ৩০ ফোঁটা নিম পাতার রস একটু মধুর সাথে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে জন্ডিস আরোগ্য হয় । জন্ডিস হলে এক চামচ রসের সাথে একটু মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খান । পুরোপুরি নিরাময় হতে এক সপ্তাহ চালিয়ে যেতে হবে ।

১৪. ভাইরাস রোগ
ভারতীয় উপমহাদেশে ভাইরাল রোগ নিরাময়ে নিম ব্যবহৃত হয় । নিমপাতার রস ভাইরাস নির্মূল করে । আগে চিকেন পক্স, হাম ও অন্য চর্মরোগ হলে নিমপাতা বাটা লাগানো হতো । এছাড়াও নিমপাতা জলতে সিদ্ধ করে সে জল দিয়ে স্নান করলে ত্বকের জ্বালাপোড়া ও চুলকানি দূর হয় ।

Neem Juice
নিম পিাতার রসের উপকারিতা বিষয়ক আরও কিছু তথ্য

১৫. ম্যালেরিয়া
গ্যাডোনিন উপাদান সমৃদ্ধ নিম ম্যালেরিয়ার ওষুধ হিসেবে কাজ করে । এছাড়াও নিমপাতা সিদ্ধ জল ঠাণ্ডা করে স্প্রে বোতলে রাখুন । প্রতিদিন ঘরে স্প্রে করলে মশার উপদ্রব কমে যাবে ।

১৬. বাত
নিমপাতা, নিমের বীজ ও বাকল বাতের ব্যথা সারাতে ওষুধ হিসেবে কাজ করে । বাতের ব্যথায় নিমের তেলের ম্যাসাজও বেশ উপকারী ।

১৭. চোখ
চোখে চুলকানি হলে নিমপাতা জলতে দশ মিনিট সিদ্ধ করে ঠাণ্ডা করে নিন । চোখে সেই জলর ঝাপটা দিন । আরামবোধ করবেন ।

১৮. ব্রণ দূর করতে
নিমপাতার গুঁড়ো জলতে মিশিয়ে মুখ ধুতে পারেন । এতে ব্রণ দূর হবে এবং ব্রণ থেকে তৈরি জ্বালাপোড়া ভাবও দূর হবে । এটা ব্রণ দূর করার একটি কার্যকর পদ্ধতি ।

১৯. ছত্রাকের ইনফেকশন দূর করতে
যদি আপনার পায়ে কোন ফাঙ্গাল ইনফেকশন থাকে নিম ব্যবহার করুন । নিমে নিম্বিডল এবং জেডুনিন আছে যা ফাঙ্গাস ধ্বংস করতে পারে । নিম পাতার পেস্ট বানিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগালে নিরাময় লাভ করা যায় । আক্রান্ত স্থানে কয়েক ফোঁটা নিমের তেল দিনে তিনবার লাগালেও ভালো ফল পাওয়া যায় ।

২০. অজীর্ণ
অনেকদিন ধরে পেটে অসুখ? পাতলা পায়খানা হলে ৩০ ফোটা নিম পাতার রস, এক কাপ জলর ৪/১ ভাগ জলর সঙ্গে মিশিয়ে সকাল- বিকাল খাওয়ালে উপকার পাওয়া যাবে ।

২১. অ্যালার্জি
অ্যালার্জির সমস্যায় নিম পাতা ফুটিয়ে স্নান করুন । অ্যালার্জি যাবে ১০০ হাত দূরে । তাছাড়া কাঁচা হলুদ ও নিম পাতা একসাথে বেঁটে শরীরে লাগান । অ্যালার্জি কমবেই ।

২২. একজিমা
একজিমা, ফোড়া অথবা বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা নিরাময়ে নিম খুব কার্যকর । ত্বকের যেসব জায়গায় এ ধরনের সমস্যা রয়েছে সেখানে নিমপাতা বেটে লাগাতে পারেন ।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আমি শাহরিয়ার জামান (আবির) পেশায় একজন শিক্ষার্থী এবং জামান আইটি ২৪ এর CEO।

Leave a Comment