হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক। আমাদের ওবেসাইট ভিজিট করতে ক্লিক করুন
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও নিয়ত জানুন
প্রিয় পাঠক আপনারা কি তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত, ৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ও তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে হলে সার্চ করেছেন। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি উপরোক্ত বিষয়ে সঠিক তথ্য পেয়ে যাবেন। আমরা সকলেই জানি তাহাজ্জুদ নামাজ আমাদের জন্য কত প্রয়োজনীয় ও ফজিলতপূর্ণ নামাজ।
প্রত্যেক মুমিনের জন্য তাহাজ্জুদ নামাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের মনের সকল আশা পূরণ করতে পারব। তাই অনেকেই তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করে থাকেন। তাই তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনযোগ দিয়ে পড়ুন।
তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত
আমরা সকলেই জানি তাহাজ্জুদ নামাজ আমাদের জন্য আল্লাহ পাকের দেওয়া একটি নেয়ামত। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয় মুমিন হওয়া সম্ভব। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে আমরা অনেক ফজিলত অর্জন করতে পারবো। তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে আমরা অনেকেরই জানি না। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার মাধ্যমে আমরা অনেক ফজিলত পাব। চলুন তাহলে তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।
তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে আমাদের সকল গুনাহ মাফ হবে এবং আমরা পাপ কাজ থেকে রক্ষা পাবো। হযরত আবু ওমামা (রা) থেকে বর্ণিত ‘‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা কিয়ামুল লাইনের প্রতি যত্নবান হও। কারণ এটি তোমাদের পূর্ববর্তীদের অভ্যাস ও রবের নৈকট্য লাভের বিশেষ একটি মাধ্যম। পাপ রাশি ওজনকারী এবং গুনা থেকে বাধা প্রদানকারী একটি ইবাদত।
তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে পারবো। এই সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘আল্লাহ তাআলা রাতের শেষ তৃতীয়াংশে নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করেন এবং বলেন, কে আছো, যে দোয়া করবে আমি তার দোয়া কবুল করবো এবং মহান আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন, কে আছো, আমার কাছে যা চাইবে, আমি তাকে তা দান করব ।‘’
কে আছো, আমার কাছে ক্ষমা চাইলে আমি তাকে ক্ষমা করব। তাহাজ্জুদ নামাজ সম্পর্কে হযরত আলী রাদিয়াল্লাহ ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তিগণ রাত জেগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়েছেন তারাই আধ্যতিক জগতে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে উর্দ্ধারোহন করেছেন। তাহাজ্জুদ নামাজ সম্পর্কে হযরত আবু হুরায়রা (রা) বলেছেন, ‘‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তায়ালার সেই স্বামীর প্রতি রহম করেছেন, যে নিজে রাতে উঠে তাহাজ্জুদ পড়ে এবং তার স্ত্রীকে জাগায়।
যদি সে উঠতে না চায় তবে তার মুখে পানি ছিটার দেয়। তিনি আরো বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা সেই স্ত্রীর প্রতি রহম করেছেন, যে নিজে রাতে উঠে তাহাজ্জুদ পড়ে এবং তার স্বামীকে নামাজের জন্য জাগিয়ে দেয়। যদি সে উঠতে না চায় তাহলে তার মুখে পানির ছিটা দেয়।
মুমিনের মর্যাদা কিয়ামুল লাইল তথা রাতে দাঁড়িয়ে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা ও বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগীর মধ্যে থাকা। আর তার সম্মান মানুষ থেকে অমুখাপেক্ষীতার মধ্যে। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার মাধ্যমে আমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে সহজে জান্নাত লাভ করা যাবে। এই সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘নিশ্চয়ই জান্নাতের রয়েছে এমন কিছু প্রসাদ, যার বাহির থেকে ভেতরে দেখা যাবে এবং ভেতর থেকে বাহিরে দেখা যাবে।’’
এগুলো আল্লাহ তায়ালা তাদের জন্য তৈরি করেছেন, যারা মানুষকে খাবার দেয়, রোজা রাখে, সালাত আদায় করে এবং রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ দাঁড়িয়ে পড়ে। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন করতে পারব। ফরজ নামাজের পরই তাহাজ্জুদ নামাজের অবস্থান। তাই আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে প্রতি রাতে ঘুম থেকে উঠে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার।
তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার মাধ্যমে আমরা সকল পাপ থেকে মুক্তি পাব। পাশাপাশি আমাদের মনের সকল আশা পূরণ হবে। আশা করি তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত
ইতোমধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে আমরা জানতে পেরেছি। একটানা ৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে আপনি আরো কিছু ফজিলত পেয়ে যাবেন। তাই অনেকেই ৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করে থাকেন। এই সম্পর্কে আজকে আপনাদের আমি সঠিক তথ্য জানিয়ে দিব। চলুন তাহলে জানা যাক ৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার ফজিলত সম্পর্কে।
আমরা জানি, তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার মাধ্যমে আমরা সহজেই আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জন করতে পারব। তাই আমরা যদি নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করি, তাহলে আমাদের মনের যেকোনো ইচ্ছা আল্লাহ তা’আলা পূরণ করে দিবেন। আপনি যদি কোন বিপদে পড়েন, তাহলে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার মাধ্যমে আপনি সহজেই সেই বিপদ থেকে রক্ষা পাবেন ইনশাআল্লাহ।
তাহাজ্জুদ নামাজ রাতের এক তৃতীয়াংশের শেষভাগে পড়তে হয়। সে সময় মহান আল্লাহ তায়ালা নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হন এবং আমাদের কাছে জানতে চান আমরা কি চাই। তখন যদি আপনি আপনার মনের ইচ্ছা পেশ করেন, তাহলে মহান আল্লাহ তায়ালা আপনার ইচ্ছা পূরণ করবেন।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন, ‘‘কেউ যদি তার মনের ইচ্ছা আল্লাহর কাছে পেশ করে এবং মহান আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে কিছু পেতে চায়, তাহলে একটানা ৪০ দিন তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে হবে। একটানা ৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার ফলে আল্লাহ আমাদের মনের ইচ্ছা পূরণ করবেন ইনশাআল্লাহ। তাহাজ্জুদ নামাজের মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনের গতি পরিবর্তন করতে পারবো।
অনেকেই মনে করে, তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার জন্য মাঝরাতে ঘুম থেকে উঠতে হয়। আসলে বিষয়টি এরকম নয়। তাহাজ্জুদের নামাজ আপনি এশার নামাজ পড়ার পর বেতের নামাজ পড়ে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে পারবেন। এভাবেও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া যায়। কিন্তু আপনি যদি আপনার মনের ইচ্ছা দ্রুত আল্লাহর পক্ষ থেকে কবুল করাতে চান তাহলে মাঝরাতে অর্থাৎ রাতের শেষ অংশে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া উত্তম।
রাতের শেষ অংশে মহান আল্লাহ তা’আলা নিজে এসে বান্দাদের ডাকতে থাকেন তাদের ইচ্ছা পূরণের জন্য। তাই তাহাজ্জুদ নামাজের শ্রেষ্ঠ সময় হলো রাতের শেষ ভাগে। আশা করি ৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব
আমাদের জীবনে তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারবো। তাছাড়া আমাদের জীবনে পূর্ববর্তী সময়ে কোন পাপ কাজ করে থাকলে তার জন্য আল্লাহর কাছে মাফ চাওয়ার উত্তম সময় হলো তাহাজ্জুদ নামাজ শেষে। আমাদের মধ্যে অনেকেই তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে জানি না।
একজন মুমিন বান্দার জন্য তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। মনের ইচ্ছা পূরণ করতে, যে কোন বিপদ থেকে রক্ষা পেতে, অর্থের অভাব দূর করতে ও পাপ কাজ হতে দূরে থাকতে তাহাজ্জুদ নামাজ আমাদের বিশেষভাবে উপকার করতে পারে। তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে মহান আল্লাহ তা’আলা এবং আল্লাহ তায়ালার প্রেরিত সকল নবী রাসূলগণ বিভিন্ন কিতাবে উল্লেখ করে দিয়েছেন।
তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের মনের ইচ্ছা সহজে পূরণ করতে পারব। তাই বলা যায় যে একজন মুমিনের জীবনে তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম এবং মুমিনদের মধ্যে বিশেষ পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে।
লেখকের শেষ কথা
তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই পোস্টটিতে। আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে আশা করছি তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আপনার ইচ্ছা থাকে আপনার জ্ঞানভাণ্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করার তাহলে অবশ্যই বিষয়গুলো আপনাকে জানতে হবে।
আশা করি আমাদের এই পোস্টটি থেকে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যবহুল পোস্ট যদি আপনি নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে অবশ্যই সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
নফল ইবাদত সম্পর্কে আরও জানতে ক্লিক করুন
When someone writees an post he/she keeps thhe image of a user
in his/her mind that how a user can be aware of it. Thus that’s why this post is perfect.
Thanks! http://Boyarka-Inform.com/
When someone writes an post he/she keeps the image of a
user in his/her mind tha how a user can be aaware of it.
Thus that’s why thios post is perfect. Thanks! http://Boyarka-Inform.com/