চিরতরে খুশকি দূর করার উপায় জেনে নিন

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই খুশকি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে খুশকি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক। আমাদের ওবেসাইট ভিজিট করতে ক্লিক করুন

চুলে খুশকির সমস্যা নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। মাথার ত্বকের সাধারণ ও বিরক্তিকর একটি সমস্যা হলো খুশকি। যাদের মাথায় খুশকি রয়েছে কেবলমাত্র তারাই জানেন খুশকি কি ধরণের বিরক্তিকর একটি ব্যাপার। তবে আজকের আলোচনা খুশকি দুর করার ক্ষেত্রে শতভাগ কার্যকরী হবে এটা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি।

 

খুশকি কী

আমরা পরোক্ষভাবে খুশকি কি তা জানলেও প্রত্যক্ষভাবে খুশকি সম্পর্কে আমাদের ধারণা কম। আসলে খুশকি হচ্ছে এক ধরনের ডেড সেলস বা বাংলায় যাকে বলা হয় মৃত কোষ বা মরা চামড়া। ইংরেজীতে খুশকিকে আমরা Dandruff (ড্যান্ডড্রাফ) হিসেবে চিনে থাকি। বেশিরভাগ সময় মাথাতেই খুশকি হয়ে থাকে। খুশকি আঁশের মতো করে মাথা থেকে উঠে আসে, আবার ঝরেও পড়ে।

খুশকি দূর

মাথার ত্বকে খুশকি হলে মাথায় চুলকানি হতে দেখা যায়। মাথা চুলকানোর ফলে বা অনেক সময় খুশকি এমনিতেই ঝরে পড়ে আমাদের পিঠ ও কাঁধের কাপড়ে জমতে দেখা যায়, যা খুবই বিরক্তিকর এবং লজ্জার একটি বিষয়। কারণ এর ফলে ব্যক্তিত্বের সৌন্দর্য নষ্ট করে। এছাড়া খুশকি হলে মাথার ত্বক নরম হয়ে যায় এবং চুল ঝরার পরিমাণও বেশি হয়।

এইজন্যই আমরা খুশকি দুর করার জন্য উঠেপড়ে লাগি, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা ব্যর্থ হয়ে কিছুদিন পর আবার পুরোদমে খুশকি ফিরে আসে।

 

চুলে খুশকি কেন হয়

আমাদের চুলে বিভিন্ন কারণে খুশকি হতে পারে, তবে খুশকি কোন রোগ বা রোগের লক্ষণ নয়। অনেক সময় জেনেটিক কারণে মাথার ত্বকে খুশকি হতে পারে। আবার মাথার ত্বকে বেশি তেল নিঃসরণের ফলেও খুশি হতে পারে। মাথার ত্বকে ছত্রাকের আক্রমন খুশকি হওয়ার অন্যতম কারণ।

তবে আমাদের মাথার ত্বকে ম্যালেসেজিয়া নামক এক ধরনের ফাঙ্গাস বেশি হওয়ার কারণে খুশকি হতে দেখা যায়। আবার আমাদের চুলের গোড়ায় ময়লা জমার কারণেও খুশকির প্রকোপ বেশি হতে পারে।

যারা এলার্জি জনিত সমস্যায় ভোগেন বিশেষ করে মেয়েদের চুলে খুশকি বেশি হতে দেখা যায়। শীতকালে সারা শরীরে ত্বক শুষ্ক হওয়ার সাথে সাথে মাথার ত্বকও শুষ্ক হয়ে খুশকি হতে পারে। নিয়মিত শ্যাম্পু না করা, ভালোভাবে চুল না আচড়ানো, সুষম খাদ্যের অভাব ইত্যাদি কারণে খুশকি হতে দেখা যায়।

চিরতরে চুল থেকে খুশকি দূর করার উপায়

আপনি হয়তো রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন, কিন্তু খুশকির কারণে মাথা চুলকাচ্ছেন, আবার অফিসে জরুরি কোন মিটিং-এ আছেন সেখানেও খুশকির কারণে মাথা চুলকোতে হচ্ছে। এটা খুবই দৃষ্টিকটু ব্যাপার। আমাদের এরকম আরো অনেক খারাপ পরিস্থিতিতে পড়তে হয় এই খুশকির জন্য।

এই খুশকি দুর করার জন্য অনেকে অনেক ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন ধরনের শ্যাম্পু থেকে শুরু করে অনেকে ঔষধও সেবন করে থাকেন। কিন্তু ঘরোয়া কিছু উপায় রয়েছে যেগুলো আপনি হয়তো জানেন কিন্তু অতটা গুরুত্ব দেন না অথবা নিয়ম মেনে সেগুলি ব্যবহার করেন না। এই ঘরোয়া উপায় গুলো নিয়মিত মেনে চললেই আপনি চিরতরে খুশকি থেকে ১০০% মুক্তি পেতে পারেন।

তাহলে চলুন দেরি না করে এসব ঘরোয়া উপায়গুলো সস্পর্কে জেনে নেই। আপনার মাথার ত্বক এবং চুলের জন্য যে উপায়টি উপযুক্ত বলে মনে হবে সেটি আজকে থেকেই ব্যবহার করা শুরু করুন।

খুশকি দুর করতে নিম পাতার ব্যবহার

নিম পাতা আমাদের সবার পরিচিত ও গুরুত্বপূর্ণ একটি ভেষজ উপাদানের নাম। ত্বকের যে কোন সমস্যা, এলার্জি জনিত সমস্যা দুর করা থেকে শুরু করে আরো অনেক ক্ষেত্রে নিম পাতার উপকারিতা অনস্বীকার্য। তেমনি চুল থেকে খুশকি দুর করতেও নিম পাতার অনেক অবদান রয়েছে।

 

খুশকি দুর করতে নিমপাতার কয়েকটি প্যাক জেনে নিন-

একটি বাটিতে চার চামচ নিম পাতার রস, আধা চামচ মধু, তিন চামচ অলিভ অয়েল, তিন চামচ নারকেল তেল নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। তারপর সপ্তাহে তিন দিন নিয়মিত এটি স্ক্যাল্পে মেসেজ করুন। স্ক্যাল্পে চুলের গোড়া পর্যন্ত যেন এই মিশ্রণ পৌছে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। ভালোভাবে মেসেজ করার পরে এক ঘন্টা অপেক্ষা করুন।

এক ঘন্টা পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে নিন। আপনি চাইলে শ্যাম্পু করার পরে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন।

বলা হয়ে থাকে, নিম পাতা চুলের খুশকি দুর করতে খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। এই পদ্ধতি ছাড়াও আরেকটি সহজ পদ্ধতি হলো- নিমপাতা বেটে তা চুলে এবং স্ক্যাল্পে ভালোভাবে লাগানো। আবার নিম পাতার তেলও ব্যবহার করা যায়।

১৫টি নিমপাতা সংগ্রহ করে তা ব্লেন্ডার মেশিন বা গ্রাইন্ডারে ভালো করে গুড়ো করে নিতে হবে। একটি বাটিতে ৪ টেবিল চামচ অলিভ অয়েলের সাথে সেই গুড়ো করা নিমপাতা মিশিয়ে নিন। এরপর এটি আপনার স্ক্যাল্পে ও চুলে ভালো করে মালিশ করে নিন। এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

অ্যালোভেরার গুনে খুশকি দুর

খুশকি দুর করার জন্য আরেকটি বিকল্প উপায় হতে পারে এলোভেরার জেল ব্যবহার। এটা হতে পারে বাজার থেকে কেনা ভালো কোন ব্র্যান্ডের এলোভেরা জেল বা গাছের এলোভেরা ব্যবহার করা। তবে গাছের এলোভেরা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আপনাকে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যেমনঃ এলোভেরা ডালটি কাটার পর সেটি ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে ১৫-২০ মিনিট কাটার দিক মুখ করে সোজা করে রাখুন। এতে এলোভেরা ডাল থেকে হলুদ অংশটি বের হয়ে যাবে, যাকে অ্যালো লেটেক্স বলা হয়। এই হলুদ অংশের কারণেই আমাদের শরীরে এলার্জি সৃষ্টি হয়ে থাকে।

খুশকি দূর

পরিমাণ মতো নিমপাতা ও আমলকি বেটে নিন। তারপর এই দুইটি উপাদানের সাথে পরিমাণ মতো এলোভেরা জেল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এটিকে আমরা হেয়ার প্যাকও বলতে পারি। এই হেয়ার প্যাকটি চুলে ১৫-৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতি সপ্তাহে একবার করে নিয়মিত এই হেয়ার প্যাক লাগান। এছাড়াও এলোভেরা দিয়ে একটি সহজ ও ঘরোয়া পদ্ধতি হতে পারে অ্যালোভেরা ও লবণ দিয়ে তৈরি মিশ্রণ।

 

মেথি দিয়ে খুশকি দূর করা

চুলের সমস্যা হয়েছে আর আপনি মেথি ব্যবহার করবেন না, তা কি কখনো হয়! কিন্তু কিভাবে? তাহলে জেনে নিন- পরিমাণ মতো মেথি ৮ থেকে ১২ ঘন্টা  পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। আপনি চাইলে এক রাত মেথি ভিজিয়ে রাখতে পারেন। এরপর সকালে ভিজিয়ে রাখা মেথি বেটে নিন। এই বাটা মেথিতে পরিমান মত লেবুর রস মিশ্রণ করুন। আপনি এটি হেয়ার প্যাক হিসেবে ব্যবহার করুন।

এছাড়া আপনি মেথির তেল বানিয়ে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে নারকেল তেলের সাথে মেথি ভালো করে ফুটিয়ে নিন। তেলটি নিয়মিত ব্যবহার করুন। মেথি শুধু যে আপনার চুলের খুশকি দূর করবে তা কিন্তু নয়, এটি চুল পড়া বন্ধ করে ও চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করবে। এ কারণে মেথিকে চুলের যত্নে অপ্রতিদ্বন্দ্বী উপাদান বলা হয়ে থাকে।

খুশকি দূর করতে নারিকেল তেলের ভূমিকা

চুলের সমস্যায় নারকেল তেলের ব্যবহার হবে না, তা ভাবাই যায় না। নারকেল তেলও চুল থেকে খুশকি সরাতে পারে,তবে এর সঠিক নিয়ম জানতে হবে। হালকা গরম নারকেল তেল দিয়ে আপনার স্কেলপে ১৫ মিনিট ম্যাসাজ ও এরপর চুলে লাগিয়ে নিন। এক ঘণ্টা পরে শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন।

আরেকটি উপায় জেনে রাখুন, দুই টেবিল চামচ তেলের মধ্যে এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে স্ক্যাল্পে মেসেজ করুন ও চুলে লাগান। আধ ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। আপনি চাইলে নারিকেল তেলের সাথে রোজমেরি তেল মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। এই পদ্ধতিতেও চুলের খুশকি দূর হয়। এজন্য আপনাকে তিন টেবিল চামচ নারিকেল তেলে দুই-চার ফোঁটা রোজমেরি এসেনশিয়াল তেল মিশাতে হবে।

এরপর আগের পদ্ধতির মতোই ভালো করে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করে ও চুলে লাগিয়ে এক বা আধ ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। আবার অ্যাপেল সিডার ভিনেগার নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।

এক্ষেত্রে শুধু দুইটি উপাদান মিশিয়ে চুলে কিছুক্ষণ রেখে পানি দিয়ে ভাল করে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি আপনার চুলের খুশকির সাথে সাথে রুক্ষতাও দূর করতে সাহায্য করবে। আবার নারকেল তেলের সাথে ৮-১০ ফোটা টিট্রি অয়েল মিশিয়ে মিশ্রণটি ক্যাল্পে ও চুলে মাসাজ করুন। খুশকি দূর করতে এটিও বেশ কার্যকরী উপায়।

পেঁয়াজের রস দিয়ে খুশকি তাড়ানোর উপায়

চুল থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে খুশকি দূর করতে বিকল্প একটি উপায় হতে পারে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করা। এক্ষেত্রে প্রথমে একটি পাত্রে দুইটি পেঁয়াজ রাখুন। এরপর ভালোভাবে এটিকে গ্রাইন্ডার পেস্ট এর মত করে নিন বা বেটে নিন। এরপর এই বাটা পেঁয়াজের সাথে কিছু পরিমানে পানি মিশান এবং এটি আপনার চুল পরিচর্যার কাজে ব্যবহার করুন।

এক্ষেত্রে পেঁয়াজের রস চুলে ও স্কেলপে মালিশ করার পর কিছুক্ষন রেখে তারপর ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই পদ্ধতিতে সপ্তাহে দুইবার পেঁয়াজের রস চুলে মালিশ করলে আপনার চুল থেকে খুশকি বিদায় নিবে।

লেবু দিয়ে খুশকি গায়েব

আপনি যদি চিরতরে খুশকি হতে দূরে থাকতে চান তাহলে অবশ্যই লেবু ব্যবহার করুন। অনেকেই হয়তো ভাবছেন যে চুলে সরাসরি লেবু ব্যবহার করবে্ন। এটি ভুলেও করতে যাবেন না। চুলের পরিচর্যার জন্য পাতি লেবু উপকারী হলেও এটি সরাসরি চুলে দিলে চুলের ক্ষতি হয়।

খুশকি দূর

কারণ লেবুতে রয়েছে এক ধরনের এসিডিক উপাদান, যা আপনার চুলের লাভের পরিবর্তে ক্ষতি করবে। বিভিন্ন হেয়ার প্যাকে পাতি লেবু ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়েও লেবুর ব্যবহার করতে পারেন।

অ্যাপেল সিডার ভিনেগার দিয়ে খুশকি বিনাস

অনেকেই এখন ভাবতে পারেন, আপেল সিডার ভিনেগার দিয়েও কি চুলের পরিচর্যা করা সম্ভব? তবে এর উত্তর হিসেবে আমি বলবো হ্যাঁ। আধা কাপ পানির সাথে আধা কাপ আপেল সিডার ভিনেগার ভালো করে মিশিয়ে নিন। অন্য সব পদ্ধতির মত এটিও স্ক্যাল্পে ও চুলে ভালো করে লাগিয়ে ম্যাসাজ করে ১৫-২০ মিনিট পর চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

তবে এখানে একটা কথা বলে রাখি, আপেল সিডার ভিনেগার চুলে বেশিক্ষণ লাগিয়ে রাখলে ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া সরাসরি চুলে লাগালেও এর ক্ষতি রয়েছে।

আপনি চাইলে আপেল সিডার ভিনেগারের সাথে পানি না মিশিয়ে তেলও মিশাতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে শুধুমাত্র ৫ মিনিট এ মিশ্রণটি মালিশ করার পর রেখে তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুঁয়ে ফেলতে হবে।

খুশকি দূর করার শ্যাম্পু

খুশকি দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ বা শ্যাম্পু রয়েছে। তবে এই ধরনের শ্যাম্পু কোন ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। কেননা আপনার শরীরের সাথে বা খুশকির সাথে এই শ্যাম্পু ব্যবহার করা ঠিক হবে কিনা তা একমাত্র চিকিৎসকগণ বুঝতে পারবেন।

বিভিন্ন চর্মরোগ রয়েছে যা সাধারণভাবে দেখতে খুশকি মনে হয়। তাই এই শ্যাম্পু ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে। নিচে এমনই কিছু শ্যাম্পুর নাম দেওয়া হল যা খুশকি দূর করতে সহায়তা করে।

সিলেক্ট প্লাস শ্যাম্পু

খুশকি দূর করার সাথে চর্ম রোগের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকগন যে শ্যাম্পু টি বেশি ব্যবহার করতে বলেন, তা হল সিলেক্ট প্লাস শ্যাম্পু। সত্যিই এটি খুশকি দূর করার জন্য খুব উপকারী। এছাড়াও এই শ্যাম্পু মাথার ত্বকে শুষ্ক বা তৈলাক্তভাব এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে বাদামি অথবা সাদা ছোপ দূর করতে সাহায্য করে। ১২ বছর বা তার উপরের অ্যালার্জি রয়েছে এমন বাচ্চারা এটি কোনো বাঁধা ছাড়াই ব্যবহার করতে পারবে।

এই শ্যাম্পুতে থাকা কেটোকোনাজোল নামক এন্টি ফাঙ্গাল উপাদান মাথার খুশকির জন্য দায়ী ছত্রাকের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তাই নিয়মিত ব্যবহারে খুশকি সহ মাথার চুলকানি দূর হয়। এছাড়া এই শ্যাম্পুতে কন্ডিশনিক এফেক্ট থাকায় চুলকে স্বাস্থ্যউজ্জ্বল করতেও সহায়তা করে। মাথার ত্বকে শ্যাম্পুটি ৩-৫ মিনিট রাখার পর ধুয়ে ফেলতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে এই শ্যাম্পুর দাম ৩৬৫ টাকা। তবে স্থান ভেদে হয়তো একটু দামের পরিবর্তন হতে পারে।

সিলেক্ট প্লাস শ্যাম্পু সম্পর্কে আরও জানতে ক্লিক করুন

সেলসান ব্লু শ্যাম্পু

খুশকি দূর করার জন্য বিকল্প হিসেবে সেলসান ব্লু শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। এই শ্যাম্পুটি 2 ইন 1 অর্থাৎ সর্বাধিক শক্তি সম্পন্ন এন্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু প্লাস কন্ডিশনার যুক্ত। এটি মাথার ত্বকের খুশকি দূর করার সাথে সাথে ত্বকের চুলকানি প্রতিরোধেও অনেক সহায়তা করে।

শুধু তাই নয় এই শ্যাম্পু আপনার ড্যামেজ চুল-কে প্রাণবন্ত এবং ঝলমলে করতেও দারুণ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এই শ্যাম্পু চুলের গোড়া মজবুত করতেও সহায়তা করে। কারণ কন্ডিশনার ছাড়াও এই শ্যাম্পুতে রয়েছে ভিটামিন ই, ভিটামিন বি৫ এবং বোটানিকালস উপাদান।

বর্তমানে বাংলাদেশে এই শ্যাম্পুর দাম ১৯০০ টাকা।

 

খুশকি দূর করা নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর

প্রশ্নঃ খুশকির কারণে চুল পড়ে কেন?

উত্তরঃ চুল পড়ার সাথে খুশকির সরাসরি কোন সম্পর্ক নেই। তবে খুশকি হলে মাথার ত্বক বারে বারে চুলকানোর ফলে চুলের ফলিকলগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর ফলে চুলের গোড়া নরম হয়ে চুল ঝরে যেতে পারে। এছাড়া মাথার ত্বকে লাল দাগ হতে পারে যা চুলের বৃদ্ধি কমাতে পারে।

প্রশ্নঃ কিভাবে মাথা থেকে খুশকি দূর করা যায়?

উত্তরঃ মাথার খুশকি দূর করার জন্য বিভিন্ন ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করা যেতে পারে। নারিকেল তেলের সাথে এক টুকরো লেবুর রস মিশিয়ে মাথার তালুতে লাগিয়ে হালকা ম্যাসাজ করুন। ২০-৩০ মিনিট পর পরিস্কার পানি দিয়ে চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এই রেমেডি ব্যবহারে চুল খুশকি মুক্ত থাকবে।

প্রশ্নঃ মাথার খুশকি দূর করতে কি শ্যাম্পু ব্যবহার করা যায়?

উত্তরঃ মাথা থেকে খুশকি দূর করতে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার সিলেট প্লাস শ্যাম্পু ব্যবহারে দারুন উপকার পাবেন। এই শ্যাম্পু নিয়মিত এক মাস ব্যবহারে চুল অনেকটাই খুশকি মুক্ত হবে। এছাড়া এক মাস পর থেকে পুনরায় ফিরে আসা বাধা দিতে সপ্তাহে একবার করে এই শ্যাম্পু টি ব্যবহার করুন।

প্রশ্নঃ ভিটামিন ই খেলে কি খুশকি কমে?

উত্তরঃ ব্যক্তি বিশেষে ভিটামিন-ই বা ভিটামিন-ই যুক্ত তেল খুশকি দূর করতে কার্যকরী হতে পারে। ভিটামিন ই মাথার ত্বকের তেল কমাতে সহায়তা করে ফলে খুশকি তৈরি হতে বাধা দেয়। এছাড়া মাথার চুলকানি দূর করতেও এই তেল বেশ কার্যকরী।

প্রশ্নঃ খুশকি দূর করার ভিটামিন কি?

উত্তরঃ ভিটামিন বি এবং জিংক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে সাথে মাথাকে খুশকি প্রতিরোধেও বেশ কার্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

প্রশ্নঃ খুশকি দূর করার খাবার কি?

উত্তরঃ প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় জিংক সমৃদ্ধ খাবার রাখলে সেটি চুলের খুশকি দূর করতে সহায়তা করবে। যেমনঃ গোটা শস্য, লেবু, অ্যাভোকাডো, বাদাম জাতীয় খাবার ইত্যাদি। এছাড়া ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ তৈলাক্ত মাছ খাদ্য তালিকায় রাখা যেতে পারে।

 

লেখকের শেষ কথা

খুশকি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই পোস্টটিতে। আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে আশা করছি খুশকি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আপনার ইচ্ছা থাকে আপনার জ্ঞানভাণ্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করার তাহলে অবশ্যই বিষয়গুলো আপনাকে জানতে হবে।

আশা করি আমাদের এই পোস্টটি থেকে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যবহুল পোস্ট যদি আপনি নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে অবশ্যই সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আমি শাহরিয়ার জামান (আবির) পেশায় একজন শিক্ষার্থী এবং জামান আইটি ২৪ এর CEO।

Leave a Comment