কিসমিস এর উপকারিতা

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই কিসমিস এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে কিসমিস এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক। আমাদের ওবেসাইট ভিজিট করতে ক্লিক করুন

 

কিসমিস এর উপকারিতা জেনে নিন

কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে, যা আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু আমরা প্রায় অধিকাংশ মানুষই এ সম্পর্কে ধারণা রাখি না, অথচ প্রায় এটি খেয়ে থাকি। নিচে কিসমিসের উপকারিতা সম্পর্কে বর্ণনা করা হলো:

  • কিসমিস আপনার ব্লাড পেশার স্বাভাবিক মাত্রায় রাখতে সাহায্য করবে।
  • কিসমিস রক্তস্বল্পতা কমাতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। এছাড়াও রক্তে লাল রক্ত কণিকা তৈরি করতে এটি বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।
  • কিসমিস আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
  • কিসমিস হজম শক্তি বৃদ্ধির ফলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকে।
  • কিসমিস কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।

 

কিসমিস এর উপকারিতা

কিসমিস আমাদের সকলের পরিচিত এবং সহজলভ্য একটি খাবার। কিসমিস আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যেমন প্রয়োজনীয়, ঠিক তেমনি কিসমিস সেক্সের জন্য ভীষণ উপকারী। সেক্সের জন্য কিসমিসের যে উপকারিতা রয়েছে, সে সম্পর্কে কিন্তু আমরা ধারণা রাখি না। কিসমিসের উপকারিতা জানার জন্য অধিকাংশ মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকেন। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে, কিসমিসের ১০টি উপকারিতা এবং সেক্সে কিসমিসের ভূমিকা জানতে পুরো আর্টিকেলটা পড়ুন।

কিসমিস এর উপকারিতা

কিসমিস হজমে সহায়তা করে

আপনি যদি নিয়মিত কিসমিস খেতে পারেন তাহলে আপনার পেট ভালো থাকবে। কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা পানির উপস্থিতিতে ফুলে বৃদ্ধি পায়। আর এগুলো আপনার পেটের রেচক প্রভাব বৃদ্ধি করবে এবং আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিশেষভাবে সাহায্য করবে। এছাড়া আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিতভাবে কিসমিস খান, তাহলে আপনার অন্ত্রের চলাচল সচল থাকবে। কিসমিস শরীরে প্রবেশ করা বিষাক্ত ও বর্জ্য পদার্থকে সিস্টেমের বাইরে রাখতে সহায়তা করে থাকে।

 

কিসমিস রক্তস্বল্পতায় উপকারী

কিসমিস রক্তস্বল্পতার জন্য বিশেষভাবে উপকারী। কেননা কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স। এর ফলে রক্তস্বল্পতার চিকিৎসায় কিসমিস সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও কিসমিস একজন মানুষের লাল রক্তকনিকা তৈরীতেও বিশেষভাবে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন ফলের খাবারের তালিকাতে কিসমিস রাখার চেষ্টা করতে পারেন।

 

কিসমিস ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে

কিসমিস ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য উপকারী একটি ফল হিসেবে বিবেচিত হয়। কিসমিসে ক্যাটেচিং নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি শরীরের ফ্রি রেডিকেল কার্যকলাপ থেকে রক্ষা করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। আপনি যদি প্রতিদিনের খাবারে ফলের তালিকাতে কিসমিস রাখেন, তাহলে শরীরে ক্যাটেচিং এর মত শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে এটি বিশেষভাবে সহায়তা করবে।

 

কিসমিস গ্যাস্টিকের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে

কিসমিস খেলে আপনার গ্যাস্টিকের সমস্যা কমে যাবে। কেননা কিসমিসে থাকা পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম গ্যাস্টিক দুর করতে সহায়তা করে। আর এগুলোর আপনার অ্যাসিডিটি কমাতে সহায়তা করবে। এছাড়া কিসমিস খাওয়ার ফলে আপনার কিডনিতে থাকা পাথর এবং হৃদরোগের মতো রোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করবে।

 

কিসমিস ওজন বৃদ্ধি করতে উপকারী

আপনি যদি শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে চান, তাহলে আপনার খাবারে ফলের তালিকাতে কিসমিস রাখতে পারেন। কেননা একজন মানুষের ওজন বৃদ্ধিতে কিসমিসের ভূমিকা অপরিসীম। কিসমিস ফলটি ই গ্লুকোজ সমৃদ্ধ ফল যা আপনার শরীরে প্রচুর শক্তি সঞ্চার করতে সাহায্য করবে। কিসমিস আপনার শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল জমতে দিবে না বরং ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে ।

 

ত্বকের জন্য কিসমিসের উপকারিতা

কিসমিস ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। কিসমিস খাওয়ার ফলে ত্বকের ভেতরে থাকা কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। কিসমিসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষ, কোলাজেন, ইলাস্টিনের ক্ষতি থেকে ফ্রিরেডিক্যালগুলোকে বাধা দিয়ে থাকে। ফলে আপনার ত্বকের বার্ধক্যের লক্ষণ গুলো, যেমন: বলি, সূক্ষ্ম রেখা, ত্বকে দাগ দেখা যাওয়া সমস্যাগুলো থেকে দূর করতে সাহায্য করে।

 

সংক্রামক চিকিৎসায় সাহায্য করে

কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনলিক ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, যা দেহের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়ালের বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে থাকে। এটি দেহের ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে বিশেষভাবে সহায়তা করে থাকে। এজন্য আপনি যদি দিনে কয়েকটি কিসমিস খান, তাহলে আপনার ঠাণ্ডা লাগাসহ অন্যান্য সংক্রামক থেকে রক্ষা পাবেন।

 

কিসমিস দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে

আপনি যদি নিয়মিতভাবে কিসমিস খেতে পারেন, তাহলে বৃদ্ধ বয়সে দৃষ্টিহীন হওয়ার সম্ভাবনা  কম থাকবে। কিসমিসে রয়েছে পলিফেনল উপাদান যা ক্ষতিকারক ফ্রি রেডিকেল ধ্বংস করে বিভিন্ন রোগ থেকে বিরত রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। কিসমিসে থাকা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে। এছাড়া আপনি যদি নিয়মিত কিসমিস খান, তাহলে আপনার শরীরের বয়সের ছাপ পরিলক্ষিত হবে না।

 

দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায় ভালো কাজ করে

শিশুরা প্রতিনিয়ত চকলেট এবং অন্যান্য মিষ্টি জাতীয় খাবার খেয়ে দাঁতের মাড়ির ক্ষতি করে ফেলে। আপনি যদি এগুলোর পরিবর্তে শিশুকে নিয়মিতভাবে কিসমিস খাওয়ান তাহলে তাদের দাঁত সুরক্ষা পাবে। এছাড়াও কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, যার ফলে দাত শক্ত করে এবং এনামেল গড়তেও বিশেষভাবে সাহায্য করে। এটি বাঁচ্চাদের দাঁতের জন্য খুবই উপকারী।

 

কিসমিস ঘুম ভালো হতে সাহায্য করে

যদি আপনার ঘুম ভালো না হয়, তাহলে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। তাই আপনি যদি নিয়মিতভাবে কিসমিস খেতে পারেন, তাহলে এর জাদুকরী উপকারিতা পাবেন। কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, যা ঘুম ভালো হতে সাহায্য করবে। আয়রন এমন একটি খনিজ পদার্থ যা শুধু আপনার হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে না বরং বিপাক ক্রিয়াও উন্নত করে। তাই যদি আপনি ভালো ঘুমাতে চান, তাহলে কিসমিস খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। উপরে কিসমিসের ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে জানলেন। এখন নিচে জানুন সেক্সে কিসমিসের উপকারিতা সম্পর্কে।

 

কিসমিস খাওয়ার সঠিক নিয়ম

কিসমিস খাওয়ার উপযুক্ত সময় হচ্ছে সকাল। আপনি যদি রাতে ঘুমানোর পূর্বে পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে এটি খান, তাহলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন। ভেজানো কিসমিসে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার। তাই আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিতভাবে কিসমিস খেতে পারেন, তাহলে আপনার শরীরের জন্য খুব উপকার পাবেন।

 

কিসমিসের পুষ্টিগুণ

কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষই ধারণা রাখে না। তাই কিসমিসের পুষ্টিগুণ জানতে পুরো পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন, তাহলে এবিষয়ে অনেক কিছু জানতে পারবেন। কিসমিস প্রতিটি মানুষের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। নিচে কিসমিসের ভিতরে যেসব পুষ্টিগুণগুলো রয়েছে সেগুলো উল্লেখ করে দেওয়া হলো:

ক্রমিক নং কিসমিসের পুষ্টিগুণের নাম পুষ্টিগুণ
০১ ফ্যাট ০.৩ গ্রাম
০২ ফাইবার ১.১ গ্রাম
০৩ প্রোটিন ২.১৮ গ্রাম
০৪ কার্বোহাইড্রেট ৭৪.৬ গ্রাম
০৫ পটাশিয়াম ৭৮ মিলিগ্রাম
০৬ ক্যালসিয়াম ৮৭ মিলিগ্রাম
০৭ আয়রন ৭.৭ মিলিগ্রাম
০৮ ম্যাগনেসিয়াম ৩২ মিলিগ্রাম
০৯ সোডিয়াম ২০.৪ মিলিগ্রাম

 

প্রতিদিন কতটুকু কিসমিস খাওয়া উচিত  

একজন মানুষের জন্য প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ গ্রাম কিসমিস খাওয়া স্বাস্থ্যকর। তবে আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণ কিসমিস খান, তাহলে রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, তাই পরিমাণ মতো খাওয়াই ভালো।

 

লেখকের শেষ কথা

কিসমিস এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই পোস্টটিতে। আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে আশা করছি কিসমিস এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আপনার ইচ্ছা থাকে আপনার জ্ঞানভাণ্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করার তাহলে অবশ্যই বিষয়গুলো আপনাকে জানতে হবে।

আশা করি আমাদের এই পোস্টটি থেকে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যবহুল পোস্ট যদি আপনি নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে অবশ্যই সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

কিসমিস সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

 

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আমি শাহরিয়ার জামান (আবির) পেশায় একজন শিক্ষার্থী এবং জামান আইটি ২৪ এর CEO।

Leave a Comment