অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায়- কি খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে

প্রিয় পাঠক আপনি কি এই অতিরিক্ত গরমে খুব ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছেন? অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় কি তা বুঝতে পারছেন না।

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার সঠিক উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার সঠিক উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক। আমাদের ওবেসাইট ভিজিট করতে ক্লিক করুন

ভূমিকা

গ্রীষ্মকালের প্রথম দিকে তেমন একটা গরম অনুভূত না হলেও বৈশাখ মাসের শুরুর দিকেই তাপমাত্রা বাড়ে ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি পর্যন্ত। তাই এমন গরমে দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিট স্ট্রোক হতে পারে। তাই এমন অতিরিক্ত গরম থেকে রেহাই পাবার উপায় আপনাকে জানতে হবে।

অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায়

আপনি নিশ্চয়ই অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় এবং কি খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে সে  সম্পর্কে জানার জন্য অনলাইনে সার্চ করে তথ্য খোঁজাখুঁজি করছেন। তাই আমরা আপনার সুবিধার্থে অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় ও কি খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে সে সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জানানোর চেষ্টা করবো।

এছাড়াও আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করতে চলেছি অতিরিক্ত গরমে কি কি সমস্যা হয়, শরীর গরম হলে ঠান্ডা করার উপায়, পেট ঠান্ডা রাখার ঘরোয়া উপায় এবং অতিরিক্ত গরমে কি কি রোগ হয় এ বিষয়ে সম্পর্কে। হতে পারে আজকের আর্টিকেল আপনার জন্য অনেক উপকারী। তাই আমাদের আজকের আর্টিকেলে আলোচনার মূল বিষয় সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

কি খেলে শরীর ঠান্ডা হবে

আপনি কি জানেন, কি খেলে শরীর ঠান্ডা হবে, কোন কোন খাবার খাওয়ার ফলে শরীরটা ঠান্ডা হবে। যখন অতিরিক্ত গরম পড়ে তখন কিন্তু এই গরম থেকে বাঁচার জন্য এমন কিছু খাবার রয়েছে যে খাবারগুলো খেলে শরীর ঠান্ডা থাকবে। শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য খেতে হবে শসা, তরমুজ, ডাবের পানি, টমেটো, তালের শাশ, কাঁচা পাকা আম, তেতুল, কাঁচা পেঁয়াজ, টক দই, পুদিনা পাতা, সবুজ শাক-সবজি ইত্যাদি।

সবজির মধ্যে লাউ, চিচিংগা, ঝিঙ্গা, ধুন্দল জালি, কাঁচা পেঁপে ইত্যাদি সবজি খেতে পারেন। অতিরিক্ত গরম হলে নিরামিশ তরকারি বা সবজি জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত তাহলে শরীর ঠান্ডা থাকে। বেশি গরমে শারীরিক সমস্যা হওয়া ছাড়াও দীর্ঘস্থায়ীভাবে কিডনি রোগ, ফুসফুসের রোগ, হৃদরোগ, চর্মরোগ ইত্যাদি হতে পারে। এজন্য শরীরকে যতটা সম্ভব ঠান্ডা রাখা জরুরী। খেতে হবে কম তেল মসলাযুক্ত খাবার।

ঘর থেকে বের হওয়ার সময় বিশুদ্ধ নিরাপদ পানি সঙ্গে রাখতে হবে এবং আইসক্রিম ও কোমল পানীয়। পানি শূন্যতা বাড়িয়ে দেয় এমন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তেতুলের শরবত বেশ কাজ করে শরীর ঠান্ডা রাখতে, তবে খুব বেশি বরফ দেওয়া পানি পান না করাই ভালো। এতে শরীর আরও গরম হয়ে যায়।

অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায়

আপনারা কি অতিরিক্ত গরমে অতীষ্ট এবং অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানতে চান? যারা অতিরিক্ত গরম হওয়ার কারণ সস্পর্কে চান তাহলে জানতে হবে গরম থেকে বাচার উপায় সম্পর্কে। তাই আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায়গুলো।

গ্রীষ্মকালের প্রথম দিকে তেমন গরম না লাগলেও জ্যৈষ্ঠের সাথে সাথে শুরু হয়ে যায় তীব্র তাপদাহ। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার গরমে দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিটস্ট্রোক হয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে লোকজন। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বেশি হয়।

অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় সমূহ:

  • পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরিধান করুন।
  • বাসার বাইরে থাকার সময় সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
  • শরীরে পানি শূন্যতা এড়াতে অতিরিক্ত পানি ও শরবত পানি পান করুন।
  • স্যালাইন পানিতে থাকা সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও চিনি শরীরকে সতেজ রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। দীর্ঘ সময় গরমে থাকলে স্যালাইন পানি পান করুন।
  • গ্রীষ্মকালীন ফল দিয়ে তৈরি জুস পান করুন।
  • বেশি বেশি ফল ও সবজি খান।
  • সবসময় ছাতা বা টুপি সাথে রাখুন।
  • প্রসাবের রং খেয়াল করুন, প্রসাবের গাঢ় রং পানি সল্পতার লক্ষণ।
  • ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকারক রাশ্মি থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
  • চেষ্টা করুন যেন দিনে কম বাইরে যেতে হয়।

উপরোক্ত সকল উপায়গুলো আপনি যদি মেনে চলেন তাহলে একটু হলেও গরম আপনার কম লাগবে এবং এই অতিরিক্ত গরমে নিজের শরীরের যত্ন নিতে হবে।

পেট ঠান্ডা রাখার সবজি

গ্রীষ্মকালের অতিরিক্ত গরমে কিন্তু আমরা অতিষ্ঠ হয়ে যাই। এই গরম থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য পেট ঠান্ডা রাখার যে সবজিগুলো রয়েছে সেগুলো খেয়ে আমরা শরীর সুস্থ রাখতে পারি। অতিরিক্ত গরমে মাত্র কয়েকটি কাজ করলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে, তাই পেট ঠান্ডা রাখার যেসব সবজি রয়েছে, সেই সবজিগুলো যদি আপনি খান তাহলে আপনার পেট ঠান্ডা থাকবে।

পেট ঠান্ডা রাখার জন্য যে সবজিগুলো সবচেয়ে বেশি কার্যকরী তার মধ্যে রয়েছে চাল কুমড়া, ধুন্দল, পটল, পেঁপে, লাউ ইত্যাদি সবজির তরকারি।

অতিরিক্ত ভাজাপোড়া এবং ডুবো তেলে ভাজা খাবার খাওয়ার খেলে আরও বেশি গরম লাগবে। এজন্য এই সময় এগুলি এড়িয়ে চলতে হবে এবং ঠান্ডা জাতীয় সবজি এবং ফলমূল খেতে হবে।

অতিরিক্ত গরমে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে, শরবত খেতে হবে। তাহলেআপনার শরীর সুস্থ থাকবে। অতিরিক্ত শরবত পান না করে বেশি পানি পান করুন। অতিরিক্ত গরমে প্রয়োজনীয় পানীয় হলো- বেলের শরবত। বেল ফাইবার ও পুষ্টিতে পরিপূর্ণ পরিপাক ক্রিয়াকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি এই পানীয়টি আমাদেরকে সুরক্ষিত রাখবে হিট স্ট্রোক থেকে। এসব পানীয় পান করার অভ্যাসের পাশাপাশি খাবার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে কোল্ড ড্রিংস আর আইসক্রিমকে।

অতিরিক্ত গরমে কি কি রোগ হয়

গ্রীষ্মকালের অতিরিক্ত গরম থেকে কেউ কেউ নানা ধরণের রোগে আক্রান্ত হন। এই অতিরিক্ত গরমে কি কি রোগ হয় সে সম্পর্কে আপনারা কি জানেন?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন গরমে যে মারাত্মক যেসব রোগ হয়। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো হিট র‍্যাশ, হিট স্ট্রোক, ইলেকট্রোলাইটসের অভারসাম্য, অ্যাজমা এবং শরীরের ব্লাড প্রেসার বেড়ে যাওয়া বা কমার মত সমস্যা দেখা দেওয়া। গরমে রমজান মাস পড়ে যাওয়ার কারণে কিন্তু এই ঝুঁকি গুলো আরো বেশি বেড়ে যায়। তাই এসব রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে অবশ্যই শরীরকে সবসময় হাইড্রেট রাখতে হবে।

অতিরিক্ত গরমের সময় আপনাদের শরীর থেকে ঘামের সঙ্গে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। যা শরীরকে অনেকটা ক্লান্ত করে তোলে, তাই এই সময় ফিট থাকতে আপনি পানীয় হিসেবে বেছে নিতে পারেন কাঁচা আমের জুস, ডাবের পানি ও বেলের শরবত। কাঁচা আমের জুস অনেকটাই ঠান্ডা রাখে। শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে তুলতে এটি বাধার সৃষ্টি করে, আর ডাবের পানি সবরকম পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। শরীরের পানি ও পুষ্টির চাহিদা একসঙ্গে পূরণে এই পানীয়ের জুড়ি নেই।

পেট ঠান্ডা রাখার ঘরোয়া উপায়

আপনারা পেট ঠান্ডা রাখার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। অতিরিক্ত গরমে কিন্তু অনেক সময় পেট খারাপ হয়ে যায়। এই পেটকে ঠান্ডা রাখার জন্য কোন সকল ঘরোয়া উপায় রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আপনার হয়তো জানা নেই। চলুন জেনে আসি পেট ঠান্ডা রাখার ঘরোয়া উপায়গুলো।

ঘরোয়াভাবে পেট ঠান্ডা রাখতে হলে আপনাকে অবশ্যই যে সকল খাবার গুলো শরীর সুস্থ ও তরতাজা রাখে এবং পেট ঠান্ডা রাখে সেই খাবারগুলো খেতে হবে। আপনার পেট কি মাঝেমধ্যে গরম হয়ে যায়? এর পেছনে কারণ কি থাকতে পারে, এর সমাধানই বা কি। এই সম্পর্কে অনেকেই নানা রকমের চিন্তা করে। পেট গরম হয়ে যাওয়ার সমস্যা হতেই পারে। এমন সমস্যা দেখা দিলে বিচলিত না হয়ে ঘরোয়া ভাবে সমাধান করুন।

কলা: কলা হলো উপকারী ফল। শুধু পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ নয়, এটি আপনার পেটের জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি দিতে পারে। কলা পাকস্থলির অম্লতার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি পেটকে ঠান্ডা ও আরামদায়ক রাখতে সহায়তা করে।

শসা: বাড়িতে সব সময় শসা থাকে। এই শশাটি আপনার ডাইটের পাশাপাশি আপনার পেট ঠান্ডা রাখতেও খুবই কার্যকারী উপাদান হবে। কারণ শসা উচ্চ জলীয় উপাদান এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি সবজি। এটি পেট ঠান্ডা করার জন্য দুর্দান্তভাবে কাজ করে। শসা ফাইবার সমৃদ্ধ, যা হজমে উন্নতি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। শসা খেলে তা সব সময় আপনার শরীরকে হাইড্রেট রাখতে কাজ করবে।

দই: দই এর প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে। দইয়ের পেট ঠান্ডা করার মত উপকারী উপাদান রয়েছে। দই পেটের তাপ কমানোর একটি নিশ্চিত উপায়। দইয়ের প্রোবায়োটিক বৈশিষ্ট্য পেটের উপকারের জন্য বিখ্যাত। এটি দ্রুত অম্বল উপশম করে, দই খালি খান বা গরম ভাতের সঙ্গে মিশিয়ে খান, এটি আপনার পেটকে প্রশমিত করার একটি নির্ভরযোগ্য সহযোগী।

ডাবের পানি: ডাবের পানি পান করলে আপনার শরীরে একটি প্রাকৃতিকভাবে শীতলতা অনুভব করবেন। ডাবের পানি ভিটামিন খনিজ এবং ইলেকট্রোলাইট সমৃদ্ধ। এটি আপনার শরীরকে ভালোভাবে হাইড্রেট রাখে এবং কার্যকরভাবে তাপের চাপ কমায়।

বাটারমিল্ক: বাটার মিল্ক অনেক জায়গায় মসলাদার খাবারের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। এটি পেটকে প্রশমিত করতে বিস্ময়করভাবে কাজ করতে পারে। বাটারমিল্ক খেলে তা কেবল আপনার শরীরকে শীতল করে। এই প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ পানীয় প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজের একটি সমৃদ্ধ উৎস যা আপনার শরীরকে শক্তি যোগায় এবং পেটের প্রদাহ থেকে মুক্তি দেয়।

শরীর গরম হলে ঠান্ডা করার উপায়

আপনারা কি জানেন, শরীর গরম হলে ঠান্ডা করার উপায় সম্পর্কে। এই অতিরিক্ত গরমে কিন্তু অনেক সময় শরীর গরম হয়ে যায়। যার ফলে শরীর ঠান্ডা করার জন্য কি করা প্রয়োজন সেই সম্পর্কে অনেকেরই জানার ইচ্ছা থাকে। খাবারে অনীহা, ঘুমের ব্যাঘাত আর সারাদিনের ক্লান্ত লাগা এই তিনটি উপসর্গ গরমে খুব স্বাভাবিক। কেন খুব গরম পড়লে আমাদের খাওয়ার আগ্রহ বা ইচ্ছা কমে যায়।

অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায়
চোখেমুখে পানি দেওয়া

প্রচন্ড গরমে এমনিতে শরীরে প্রচুর তাপ উৎপাদন হয়। খাবার থেকে যে বিপাকজনিত তাপ উৎপন্ন হওয়ার কথা তার প্রয়োজন আর অনুভূত হয় না। শরীরে তাপ উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ার জন্য খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায়। তাছাড়া এই সময় আমরা প্রচুর পরিমাণে পানি পান করি বলে ক্ষুধাও মরে যেতে থাকে। কিন্তু গরমের সঙ্গে লড়াই করতে হলে দরকার প্রচুর শক্তি। না হলে সারাদিনের পরিশ্রম ও দুর্বলতা আরও বেশি বেড়ে যাবে।

পানি: সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে হলে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। মনে রাখবেন এই গরমে তাপমাত্রা যখন ৩৬ থেকে ৪২ ডিগ্রি ফরেনহাইট তখন শরীরে প্রতিদিন প্রায় দুই থেকে আড়াই লিটার পানি হারাচ্ছেন। পানি শূন্যতার জন্য সব সময় ঘাম হবে তা নয়, ঘাম ছাড়াও উচ্চমাত্রায় ত্বক এমনিতে পানি হারাতে থাকে যাকে বলে ইনসেনসিবল লস।

অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায়
বেশি বেশি পানি পান করা

এই পানির ঘাটতি পূরণ করতে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লিটার বা ছয় থেকে আট গ্লাস পানি পান করতে হবে। পানির অভাব পূরণ করতে পানি সবচেয়ে উত্তম হতে পানীয় জাতীয় সকল খাবার যেমন ফলের রস, জুস, ডাবের পানি ইত্যাদি পান করতে পারেন।

ফলমূল: কিছু ফল পানি শূন্যতা দূর করতে ও শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এই জন্য আমাদের পানির চাহিদার ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পূরণ করে খাবার। এই গরমে এমন খাবার বেছে নিতে হবে যাতে জলীয় অংশ বেশি যেমন শসা, লাউ ইত্যাদি। শশা দিয়ে শুধু পানি শূন্যতা দূর করে তাই নয়, শরীরকে দ্রুত ঠান্ডা করে এই সময় শসা আস্ত কেটে সালাত করে বা জুস করে খেতে পারেন।

তরমুজ, বাঙ্গি জাতীয় ফলে প্রায় ৭০ শতাংশই পানি। এগুলো খেলে পানি ছাড়াও আরও পাবেন পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন বি, যা আপনাকে শক্তি যোগাবে। সবুজ শাকসবজি গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে, যেমন: পালং শাক, পুঁইশাক, লেটুস পাতা, পুদিনা, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি। এ সময় দুপুরে এবং রাতের খাবারে সালাদ অবশ্যই রাখবেন।

লেবু খাবারের সঙ্গে লেবুর পানি হিসেবে লেমন করে বা সালাতের মধ্যে দিয়ে খেতে পারেন। লেবুর ভিটামিন-সি এই গরমে ত্বকে সতেজ রাখতে পারে।

প্রোট্রিন: দই, টক দই, দইয়ের তৈরি লাচ্চি, মাঠা ইত্যাদি শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। পানি শূন্যতা পূরণ করার পাশাপাশি ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে। এছাড়াও এগুলো অন্তরের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়ায় এবং হজম করায় গরমে শর্করা বা চর্বি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত তাপ উৎপাদন করে। এর মাঝে আছে উপকারী ফ্যাটি এসিড যা শক্তি যোগাতে সহায়তা করে।

অতিরিক্ত গরমে কি কি সমস্যা হয়

যখন অতিরিক্ত গরম পড়ে তখন কিন্তু আমাদেরকে বিভিন্ন রকমের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অতিরিক্ত গরমে কি কি সমস্যা হয় সেগুলো কি আপনারা জানেন? যারা অতিরিক্ত গরমে থাকে তারা কিন্তু এই সমস্যাগুলো সম্পর্কে আগে থেকে জানেন। চলুন জেনে নিই অতিরিক্ত গরমে কি কি সমস্যা হয়। অতিরিক্ত গরমে সবচেয়ে বেশি পানি শূন্যতা দেখা দেয়।

তীব্র গরমের কারণে কিন্তু অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায় শরীর থেকে, সেই সাথে বাতাসের আদ্রতা কম থাকার কারণে শরীর পানি শূন্য হয়ে পড়ে। তীব্র গরমে অনেক সময় শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মানসিক সমস্যাও দেখা দেয়। প্রচন্ড গরমে মানুষের মেজাজ চটপটে হয়ে যায়। অতিরিক্ত গরমের কারণে কিন্তু হিট স্ট্রোক রোগের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তার জন্য যারা অতিরিক্ত রোদে থাকে তাদের হিট স্ট্রোক হতে পারে।

  • শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়
  • দ্রুত হ্রদ স্পন্দন এবং দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে হয়।
  • অচেতন হয়ে যাওয়া।
  • তীব্র মাথা ব্যাথা, বমি বমি ভাব।
  • মাংসপেশী দুর্বলতা হওয়া।

উপরোক্ত সকল লক্ষণগুলো যদি দেখা দেয় তাহলে বুঝতে হবে অতিরিক্ত গরমের কারণে এই সকল সমস্যা আপনার দেখা দিচ্ছে। গরমে সময় আপনাকে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে এবং ঠান্ডা থাকা যায় এমন স্থানে থাকতে হবে।

লেখকের শেষ কথা

অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার সঠিক উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই পোস্টটিতে। আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে আশা করছি অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার সঠিক উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আপনার ইচ্ছা থাকে আপনার জ্ঞানভাণ্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করার তাহলে অবশ্যই বিষয়গুলো আপনাকে জানতে হবে।

আশা করি আমাদের এই পোস্টটি থেকে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যবহুল পোস্ট যদি আপনি নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে অবশ্যই সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

এ বিষয়ে আরও জানতে ক্লিক করুন

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আমি শাহরিয়ার জামান (আবির) পেশায় একজন শিক্ষার্থী এবং জামান আইটি ২৪ এর CEO।

Leave a Comment