হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা – তিসি দিয়ে রূপচর্চা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা – তিসি দিয়ে রূপচর্চা সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক। আমাদের ওবেসাইট ভিজিট করতে ক্লিক করুন
তিসি দিয়ে রূপচর্চা
তিসি সম্পর্কে আমাদের সকলেরই মোটামুটি একটা ধারণা আছে। পূর্বে আমাদের দেশে এই তিসির চাষ অনেক বেশি হত। কিন্তু বর্তমান সময়ে তিসির চাষ আর তেমন একটা দেখা যায় না। তিসি আমাদের শরীরের জন্য যে কতটা উপকারী তা যদি আমরা জানতাম, তাহলে তিসি চাষ বন্ধ হতো না। তিসি শুধু আমাদের শরীর সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করে না, এটি আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে এবং রূপচর্চার কাজেও ভীষণ সহায়তাকারী একটি বীজ। তিসি ব্যবহারে আমাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়। আমরা অনেকেই জানি না যে, তিসি রূপচর্চার কাজে এতটা প্রয়োজন বা এত ভালো কাজ করে। আমরা অনেক অর্থ খরচ করে বাজার থেকে বিভিন্ন দ্রব্যাদি ক্রয় করে ত্বকে ব্যবহার করে থাকি।

অনেক সময় এসব দ্রব্যাদি ব্যবহারের ফলে আমাদের ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। আর তাই প্রাকৃতিক কোন উপাদান ত্বকে ব্যবহার করলে সেটিতে ত্বকের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না। আজ আমি তিসি দিয়ে কিভাবে খুব সহজে বাড়িতে বসে ত্বককে সুন্দর রাখতে পারবেন সে সম্পর্কে আলোচনা করবো। তিসি আপনারা ত্বকে কিভাবে ব্যবহার করবেন সেটাও সুন্দরভাবে বোঝানোর চেষ্টা করব। তাই এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে সুন্দরভাবে তিসির উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং ত্বকে তিসি ব্যবহারের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আপনারা বিভিন্ন উপায়ে তিসি ব্যবহার করতে পারেন। তারমধ্যে আমি ব্যবহারের দুইটা নিয়ম জানাবো, যা আপনারা খুব সহজে করতে পারবেন এবং ত্বকের সকল সমস্যা হতে মুক্তি পাবেন।
(১) প্যাক তৈরির নিয়ম
একটি পরিষ্কার পাত্র নিয়ে চুলায় বসিয়ে তারমধ্যে এক কাপ পানি দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। পানি ফুটানো হয়ে গেলে তারমধ্যে দুই চামচ তিসির বীজ দিয়ে তিন থেকে চার মিনিট ফুটিয়ে নিন। যখন দেখবেন সেই পানি জেলের মত হয়ে আসছে তখন চুলাটি বন্ধ করে দিবেন। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন এবং একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে জেলগুলো ছেকে বের করে নিন। এরপর জেলগুলো একটি বাটিতে ঢেলে নিয়ে তার মধ্যে একটি ভিটামিন-ই ক্যাপসুল, এক চামচ মধু এবং এক চামচ এলোভেরা জেল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন।
ব্যবহারের নিয়মঃ তৈরিকৃত জেল ১০ মিনিট পর ব্যবহার করতে পারবেন। এবার উক্ত জেল সমস্ত ত্বকে হালকা হাতে ঘষে বা মাসাজ করে ব্যবহার করুন। এভাবে আপনারা দুই মিনিট মাসাজ করুন। এরপর ৩০ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন এবং ৩০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে হালকা করে ঘষে প্যাকটি উঠিয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি আপনারা সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার ব্যবহার করবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠার পর অথবা রাতে ঘুমাতে যাবার আগে ব্যবহার করলে ভাল উপকার পাবেন। এছাড়াও শুধু তিসি বীজ থেকে যে জেলটা বের হয় আপনারা সেটা প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাবার আগে ব্যবহার করতে পারেন। এতেও ত্বকের অনেক উপকার হবে। এই তিসির বীজ ব্যবহারে আপনাদের ত্বকের বলিরেখা, ব্রণের দাগ, মেছতা এবং ত্বকের শুষ্কতা দূর করবে।
(২)প্যাক তৈরির নিয়ম
২ চামচ তিসি শুকনো খোলায় হালকা করে ভেজে নিন এবং একটু ঠান্ডা হলে সেটি ভালোভাবে গুড়ো করে একটি পরিষ্কার কোটায় ঢেলে রাখুন। এভাবে তিসি গুঁড়ো করে এক মাস পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন এবং ত্বকে ব্যবহার করতেও অনেক সুবিধা হবে। যাদের ত্বকে বেশি পরিমাণ ব্রণের সমস্যা এবং অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব হয় তাদের জন্য এই প্যাক ভীষণ উপকারী। এই প্যাকটি ব্যবহার করলে আপনারা অবশ্যই ভালো ফল পাবেন ইনশাআল্লাহ। কারণ এটি আমার নিজের পরীক্ষিত। একটি পরিষ্কার পাত্র নিয়ে তার মধ্যে তিন চামচ বেলের পাতার রস এবং এক চামচ তিসি গুঁড়া ও হাফ চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। তাহলে আপনার কাংখিত প্যাক তৈরি হয়ে যাবে।
ব্যবহার করার নিয়মঃ তৈরিকৃত প্যাক ৩০ মিনিট পর আপনারা সমস্ত মুখে বা ত্বকে লাগাবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত শুকিয়ে হালকা টানটান ভাব না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। এরপর শুকিয়ে গেলে হালকা হাতে মাসাজ করে ঘষে ঘষে মিশ্রণটি ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে আপনারা নিয়মিত এক সপ্তাহ ব্যবহার করে দেখুন, আপনাদের ত্বকের ব্রণের সমস্যা ইনশাল্লাহ দূর হয়ে যাবে। নিয়ম অনুযায়ী এই প্যাকটি ব্যবহার করতে হবে তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন ইনশাআল্লাহ।
তিসি মুখে দিলে কি হয়
তিসি মুখে দিলে আপনাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। তিসি মুখে দিলে অথবা ত্বকে ব্যবহার করলে আপনারা যে সকল উপকার পাবেন, তা আমি এই আর্টিকেলর মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করব। তিসিতে থাকা ভিটামিন-ই এবং ভিটামিন-বি আমাদের ত্বক ভিতর থেকে মশ্চারাইজার করতে ভীষণ সাহায্য করে। ত্বক মশ্চারাইজার থাকলে ত্বকের ডার্ক সার্কেল থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কারণ প্রকৃতি একেক সময় একেক রকম থাকে। কখনো অনেক ঠান্ডা আবার কখনো অনেক গরম, আবার কখনো অঝোরে বৃষ্টি। আর এই ঋতু পরিবর্তনের ফলে আমাদের ত্বকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তাই বিভিন্ন মৌসুমে রূপচর্চার কাজে আপনারা ত্বকে তিসি ব্যবহার করতে পারেন। আর এই তিসির ইংরেজি নাম হল ফ্ল্যাক্স সিড। প্রাচীনকাল থেকেই এই তিসির বীজ থেকে উৎপাদিত তেল এবং জেল ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে।
এই ছোট ছোট কিছু বীজ আমাদের ত্বকের বহুমুখী সমস্যা সমাধান করতে সহায়তা করে। বলা বাহুল্য যে, তিসি ত্বকের জন্য একটি জাদুকরী উপাদান। আমাদের ত্বকের বলিরেখা দূর করতে অনেক সাহায্য করে। আর কেউ যদি নিয়মিত তিসির তেল ত্বকে ব্যবহার করে, তাহলে তার ত্বকে বয়সে ছাপ দেখা যাবে না। তিসির তেলে যে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি থাকে তা ত্বকের ভেতর থেকে ত্বক মশ্চারাইজার করতে সাহায্য করে। তিসির জেলে থাকা আলফা লাইনোলেনিক অ্যাসিড আমাদের ত্বককে যে কোন সংক্রমণ থেকে মুক্তি দিতে বা রক্ষা করতে সহায়তা করে।
অনেক সময় আমাদের ত্বক অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যায়, আর এই অস্বাভাবিক ফুলে যাওয়া ভাব তিসির তেল ব্যবহারে কমে যায়। তাছাড়া অনেক সময় ত্বকে বিভিন্ন রকমের র্যাশ, লালচে ভাব, এবং ঘাম জনিত কারণে তৈরি হওয়া সমস্যা দূর করে। যাদের ত্বক অনেক শুষ্ক তাদের ত্বকে তিসির তেল ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্কভাব কাটিয়ে ত্বকের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং ত্বকের টিস্যু নিয়ন্ত্রণে রাখে। অনেক সময় আমাদের ত্বকের এক জায়গায় কালো এবং অপর জায়গায় সাদা সাদা দেখা যায়, তিসির তেল ব্যবহারে ত্বকের অসামঞ্জস্যতাও দূর করে।
তিসি গুড়া করার নিয়ম
আজ আমি তিসি বীজ গুড়া করার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। তিসি বীজ গুড়া করার কিছু নিয়ম রয়েছে, যা আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে খুব সহজেই জানতে পারবেন। আর তিসি বীজ গুড়া করার জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে, যা আমি আজ আপনাদের বলে দেব। কিনি বীজ গুড়া করার জন্য প্রথমে তিসিগুলো ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে সেগুলি রোদ্রে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে।
তারপর একটি শুকনো খোলা চুলার ওপর বসিয়ে হালকা তাপে পাত্রটি গরম করে নিতে হবে। এরপর গরম পাত্রে বীজগুলো ঢেলে দিয়ে চুলার হালকা আঁচে রাখতে হবে। জোরে তাপ দেওয়া যাবে না, তাহলে বীজগুলো পুড়ে যাবে। এরপর হালকা তাপে আস্তে আস্তে চামচ দিয়ে নেড়েচেড়ে ভাজতে থাকুন। খুব বেশি ভাজা যাবেনা, দুই মিনিট নেড়েচেড়ে ভেজে নিলেই হবে। বেশি ভাজলে বীজ এর গুনাগুন নষ্ট হয়ে যাবে।
যখন বীজগুলো হালকা ফুটতে শুরু করবে তখনই চুলা থেকে পাত্রটি নামিয়ে রাখুন । এরপর দশ মিনিট রেখে দিয়ে বীজগুলো ঠান্ডা করে হালকা তাপমাত্রায় আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। যখন দেখবেন বীজগুলো হালকা হালকা গরম আছে সেই অবস্থায় ব্লেন্ডার অথবা পাটা-নোড়ায় ভালোভাবে গুঁড়ো করে নিন। এবার একটি কাঁচের পাত্রে রেখে অনেক দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারবেন। এভাবে গুড়া করলে অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকে ও এর গুণগত ঠিক থাকে।
তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা
তিসির উপকারিতা সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না। এতে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে, যা আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে কাজ করে। আর এই বীজ সঠিক নিয়মে এবং পরিমাণ মতো না খেলে উপকারের বদলে ক্ষতিও হতে পারে। তাই যে কোনো জিনিস খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানা প্রয়োজন। তিসির বীজ কোন সময় কাঁচা খাওয়া যাবে না, এটি হালকা ভেজে গুড়ো করে প্রথমে প্রতিদিন সকালে হাফ চামচ হালকা কুসুম গরম পানির সঙ্গে খাবেন। তারপর যদি মনে করেন এটি আপনার শরীরে মানিয়ে যাচ্ছে বা উপকার পাচ্ছেন, তাহলে আপনারা আস্তে আস্তে এক চামচ করে খাওয়া শুরু করবেন। এভাবে খেতে থাকলে আশা করি এর উপকারিতা লাভ করবেন। কারণ এই ছোট্ট বীজ আপনার শরীরের অনেক রোগ থেকে মুক্ত করতে অনেক পারদর্শী।
তিসির কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিনঃ
হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে
তিসির বীজে যে ফাইবার রয়েছে তা আমাদের শরীরে প্রতিদিন প্রয়োজনীয় ফাইবারের ৮ থেকে ১২% চাহিদা পূরণ করে। এটি আমাদের হজমশক্তি বাড়িয়ে দেয়। আর হজমশক্তি বৃদ্ধি পেলে আপনারা গ্যাসের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে
তিসিতে ফাইবার থাকার কারণে এটি পাকস্থলীর কর্মপ্রক্রিয়া দ্রুত করতে বা উন্নত করতে সহায়তা করে। ফলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের মত কষ্টদায়ক রোগ থেকে মুক্তি দেয়। আর কষ্ট কাঠিন্যর সমস্যা বেড়ে গেলে আস্তে আস্তে এই রোগটি পাইলস এর রূপ ধারণ করে। পাইলস হওয়ার ফলে রক্ত পড়া শুরু হয় এবং শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই বলা যায় যে, তিসি বীজের উপকারীতা অপরিসীম।
চুলের পুষ্টিতে তিসির উপকারিতা
আপনাদের চুলকে সুন্দর রাখতে ও মজবুত করতে কোন দামি দ্রব্যের প্রয়োজন নেই। হাফ কাপ তিসির বীজ আপনাদের চুলের প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি পূরণ করতে সক্ষম। তিসি বীজে থাকা ভিটামিন-ই আমাদের চুলের ড্যামেজ ভাব দূর করতে এবং চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। তাছাড়া তিসি বীজে থাকা ওমেগা ৩ আমাদের চুলের গোড়া মজবুত করতে, নতুন চুল গজাতে ও চুল বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
ওজন কমাতে সহায়তা করে
যাদের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেছে তারা প্রতিদিন নিয়মিত সকালে এবং বিকালে এক চামচ করে তিসির গুড়া খেতে পারেন। এতে আপনাদের ওজন কমে যাবে। কারণ তিসি বীজে থাকা ফাইবার খুধা কমাতে সাহায্য করে। আর ফাইবার সমৃদ্ধ যে কোন খাবার খেলে পেট ভর্তি মনে হয়, তখন খুধা কম লাগে এবং খাওয়া দাওয়া কম হবে, ফলে ওজন তাড়াতাড়ি কমে যাবে।
ব্রেনের কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে
আমারা সকলেই ব্রেনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চাই। আমরা নিয়মিত অনেক খাবার খেয়ে থাকি, যেগুলোতে মস্তিষ্ক বা ব্রেন বৃদ্ধি করে। আর সেই খাবারের মধ্যে একটি হলো তিসি বীজ। তিসি বীজ খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে আলফা-নিলোনেলিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। তখন এই এসিড আমাদের ব্রেনকে কার্যকরী করতে সাহায্য করে এবং স্মৃতিশক্তিও বেড়ে যায়।
তিসির অপকারিতা জেনে নিন
আমাদের শরীর ভালো রাখতে তিসি বীজের উপকারের কোন বিকল্প নাই। আর যদি এই বীজ ঠিক মত খেতে না জানেন বা অতিরিক্ত মাত্রায় খেয়ে ফেলেন তাহলে অনেক সমস্যা হতে পারে। তাই যে কোন খাবারের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর অপকারিতাও রয়েছে। তাই যে কোন খাবার নিয়ম অনুসারে সঠিক মাত্রায় খাওয়া উচিত।
পেট খারাপ
কেউ যদি না জেনে তিসির বীজ কাঁচা খেয়ে ফেলে বা অতিরিক্ত মাত্রায় খেয়ে থাকে তাহলে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। কেননা তিসির কাঁচা বীজ হজম হতে সময় লাগে তাই কাঁচা বীজ খাওয়া ঠিক নয়। এর ফলে পাতলা পায়খানা ও পেট খারাপের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর অতিরিক্ত খেলেও একই সমস্যা দেখা দিতে পারে, তাই দিনে দুই চামচের বেশি তিসি খাওয়া হতে বিরত থাকুন।
গর্ভাবস্থায় তিসি খাওয়া
কোন গর্ভবতী মহিলা যদি তিসির বীজ খাওয়া শুরু করেন এতে শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন বা অপকারিতা লক্ষ্য করা যার। এটি খাবার ফলে গর্ভের শিশু এবং মায়ের মারাত্মক ক্ষতি হবার আশঙ্কা থাকে। তাই প্রেগন্যান্ট মহিলাদের এই প্রাকৃতিক উপাদানটি খাওয়া উচিত নয় ।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ
অনেক মানুষ আছে যারা অতিরিক্ত পরিমাণে তিসির বীজ খেয়ে থাকেন। এর ফলে তাদের ব্লাড প্রেসার বেড়ে যেতে পারেন। তাছাড়াও অতিরিক্ত তিসির বীজ খাওয়ার ফলে অ্যালার্জির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাছাড়া আরো অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন- মাথা ঘোরা, পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব হওয়া ইত্যাদি।
লেখকের শেষ কথা
তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা – তিসি দিয়ে রূপচর্চা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই পোস্টটিতে। আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে আশা করছি তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা – তিসি দিয়ে রূপচর্চা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আপনার ইচ্ছা থাকে আপনার জ্ঞানভাণ্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করার তাহলে অবশ্যই বিষয়গুলো আপনাকে জানতে হবে।
আশা করি আমাদের এই পোস্টটি থেকে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যবহুল পোস্ট যদি আপনি নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে অবশ্যই সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
তিসি সম্পর্কে আরও জানতে ক্লিক করুন