কাঠ বাদামের উপকারিতা বিষয়ক কিছু তথ্য

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই কাঠ বাদামের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে কাঠ বাদামের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। তো চলুন শুরু করা যাক। আমাদের ওবেসাইট ভিজিট করতে ক্লিক করুন

 

ভূমিকা: কাঠ বাদামের উপকারিতা

পুষ্টিগুনে ভরপুর একটি ফলে নাম কাঠবাদাম, যা আমাদের সকলের কাছেই প্রিয়। এই কাঠবাদামের অনেক উপকারিতা হয়েছে। কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন-ই, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, জিংক, কপার, আয়রন, ইত্যাদি ভিটামিন। এটি আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি খাদ্য। নিয়মিতভাবে কাঠবাদাম খেলে এটি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। আর তাই আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করতে চলেছি কাঠবাদামের অসাধারণ ৪০ টি উপকারিতা সম্পর্কে।

 

কাঠ বাদাম এর অসাধারণ কয়েকটি উপকারিতা

নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কারণ এটি শরীরের জন্য অতি উপকারী খাদ্য। এতে থাকা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদানগুলি আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে যথেষ্ট সাহায্য করে। এখন আপনাদের মাঝে কাঠবাদামের অসাধারণ ৪০ টি উপকারিতা তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

কাঠ বাদামের উপকারিতা

১।        উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে কাঠবাদাম। কাঠবাদাম রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখার মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

২।        কাঠবাদাম হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, কাঠ বাদামের পুষ্টি উপাদানগুলি বিভিন্ন উপায়ে হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে। এটি রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে থাকে যা হার্টের জন্য খুবই উপকারী।

৩।       শরীরের ওজন কমাতে কাঠবাদামের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অনেকেই মনে করেন কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে শরীর মোটা হয়ে যায়। কিন্তু এটি একটি ভুল ধারণা। কাঠবাদামে যে চর্বি রয়েছে তা অবশ্যই স্বাস্থ্যকর চর্বি, এটি সঠিক পরিমাণে খাওয়ার ফলে ওজন কমতে সাহায্য করে। কারণ কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত ক্ষুধা অনুভব হয় না, ফলে অল্প খাবার খেয়েই অনেক সময় পার করা যায়। ফলে যৌক্তিক কারণেই শরীরের ওজন কমতে শুরু করবে।

৪।        কাঠবাদাম শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। কাঠবাদামে থাকা পুষ্টিগুণ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে অনেক সাহায্য করে।

৫।       কাঠবাদাম স্ট্রোক প্রতিরোধেও সাহায্য করে। স্ট্রোক বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তবে অনেকের ওজন বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি সমস্যার কারণেও স্ট্রোক হয়ে থাকে। আর এই কাঠবাদাম উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত ওজন, এ সমস্ত সমস্যা সমাধানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

৬।       কাঠবাদামের অসাধারণ কিছু উপকারিতা রয়েছে। কাঠবাদাম হজম শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিতভাবে কাঠ বাদাম খেলে তাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।

৭।        আমাদের মধ্যে অনেকেরই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়, এই কোষ্ঠকাঠিন্যে দূর করতে কাঠবাদাম অনেক সাহায্য করে । কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে, যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে থাকে।

৮।       কাঠবাদাম শরীরের হাড় মজবুত করতে সহায়তা করে, কারণ কাঠবাদামে রয়েছে প্রোটিন, মিনারেল, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, কপার, জিংক ইত্যাদি যা হাড় গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

৯।        কাঠবাদাম শরীরের হাড় মজবুত করার পাশাপাশি দাঁতের সুরক্ষায় খুবই কার্যকর। কাঠবাদামে থাকা ফসফরাস দাঁত মজবুত করতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে।

১০।      কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। এই আঁশ কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তাই কোলন ক্যান্সার থেকে নিজেকে রক্ষা করতে নিয়মিতভাবে কাঠবাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন।

১১।      আজকাল মেয়েদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। নিয়মিতভাবে কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। কাঠবাদামে থাকা ভিটামিন-ই, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে অনেক সাহায্য করে।

১২।      কাঠবাদাম স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-বি এবং মিনারেলস, যা মস্তিষ্কের কোষগুলোকে শক্তিশালী করে তোলে।

১৩।     কোষের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে কাঠবাদাম। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ডি যা শরীরের প্রতিটি কোনায় জড়িয়ে থাকা কোষের কর্মক্ষমতা কে বৃদ্ধি করে থাকে, এর ফলে শরীরে ক্ষত সৃষ্টিতে বাধা প্রদান করে।

১৪। নিয়মিতভাবে পাঁচ থেকে ছয়টি কাঠবাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটবে।

১৫।     নিয়মিতভাবে কাঠ বাদাম খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কাঠ বাদামে রয়েছে ভিটামিন-ই ও শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা দেহকে বিভিন্ন ধরনের রোগের হাত থেকে রক্ষা করে।

১৬।     গর্ভবতী মায়েদের জন্য কাঠবাদাম অনেক উপকারী। গর্ভকালীন সময়ে নিয়মিতভাবে কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে গর্ভস্থ সন্তানের জন্মগত ত্রুটি হওয়ার আশঙ্কা অনেক কম হয়।

১৭।      কাঠবাদাম ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। কাঠবাদামের তেলে রয়েছে ভিটামিন-ই, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং সেই সাথে সূর্যের ক্ষতিকর বেগুনী রশ্মি থেকে রক্ষা করে।

১৮।     কাঠ বাদামের তেল মেকআপ অপসারণ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। একটি টিস্যু অথবা তুলাতে কাঠ বাদামের তেল ব্যবহার করে ত্বক পরিষ্কার করলে, খুব সহজেই ত্বক পরিষ্কার করা যায়।

১৯।     কাঠবাদামের তেল চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে অনেক সাহায্য করে। তবে কাঠবাদামের তেল ব্যবহারের সময় অবশ্যই লক্ষ্য করতে হবে এটি যেন কোনভাবেই চোখের মধ্যে প্রবেশ না করে।

২০।     কাঠবাদামের তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন-ই ও ভিটামিন-সি, যা চুল ঝলমলে করতে সাহায্য করে। এর ফলে চুল অনেক বেশি নরম ও সুন্দর হয়।

২১।      কাঠ বাদামের তেল চুলের রুক্ষ ভাব ও চুল পড়া দূর করতে সাহায্য করে। এই তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ডি ও ম্যাগনেসিয়াম যা চুল পড়া রোধ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিতভাবে কিছুদিন ব্যবহার করার ফলে খুব ভালো ফলাফল পাবেন।

২২।     কাঠবাদামের তেল মাথার চুল মজবুত ও আকর্ষণীয় করতে সাহায্য করে। কারন এতে রয়েছে ভিটামিন-এ, ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন-ডি, ভিটামিন-বি১, ভিটামিন-বি২, এবং ভিটামিন-বি৬ যা চুলকে মজবুত এবং আকর্ষণীয় করে।

২৩।     আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা কোঁকড়া চুল পছন্দ করেন না। কাঠবাদামের তেল কোঁকড়া চুল সোজা করতে পারে কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন-ই যা চুলকে অনেক বেশি মসৃণ করে এবং চুলের সমস্যা দুর করে।

২৪।     মাথার ত্বকে প্রতিদিনের ধুলাবলি জমার কারণে জ্বালাপোড়ার সমস্যা দেখা দেয়। এ সমস্ত প্রদাহ কমাতে কাঠ বাদামের তেল অনেক সহায়তা করে।

২৫।     অনেকের মাথায় চুলের পরিমাণ কম থাকে এবং তারা চান যেন তাদের মাথায় নতুন চুল গজায়। আর তাই মাথার চুল ঘন করতে নিয়মিতভাবে কাঠবাদামের তেল ব্যবহার করতে পারেন।

২৬।    কাঠবাদাম শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। নিয়মিতভাবে খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি কাঠবাদাম খাওয়ার অভ্যাস থাকলে, কাঠবাদামে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের কর্মশক্তি বৃদ্ধি করে।

২৭।     কাঠ বাদাম মনোপজকালীন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। নারীদের ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সের মধ্যেই মাসিক বন্ধ হয়ে যায় এটিকে মেডিকেলের ভাষায় মনোপজ বলা হয়। এ সময় কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে মনোপজকালীন সমস্যা কিছুটা হলেও কম হয়ে থাকে।

২৮।     কাঠবাদামের তেল জ্বর কমাতে সাহায্য করে, এই তেল দিয়ে শরীর মালিশ করার ফলে শরীরে তাপমাত্রা কমতে সাহায্য করে।

২৯।     পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে কাঠ বাদাম। কাঠ বাদামে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো যেমন- উপকারী ফ্যাট, মিনারেল, ভিটামিন-ই পুরুষের শুক্রানুর পরিমাণ এবং গুণগত মান বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। সেই সাথে পুরুষের যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

৩০।     আমাদের চুলে অনেক সময় খুশকির সমস্যা দেখা দেয়, বিশেষ করে শীতকালে এই সমস্যা দেখা যায়। শীতকালে এই খুশকি থেকে মুক্তি পেতে কাঠবাদামের তেল নিয়মিতভাবে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে খুশকির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

৩১।     কাঠ বাদাম ত্বক পরিষ্কার করতে ভীষণ কার্যকর। এর জন্য কয়েকটি কাঠ বাদাম ভিজিয়ে রেখে ভালোভাবে পেস্ট করে নিন, এর সাথে ১ চামচ পরিমাণ টক দই ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে ভালোভাবে মুখে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন, তাহলে ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কার হয়ে যাবে।

৩২।     তারুণ্য ধরে রাখতে নিয়মিতভাবে কাঠবাদামের তেল ব্যবহার করুন, কারণ এটি অ্যান্টি-এজিং হিসেবে পরিচিত। নিয়মিতভাবে রাতে ঘুমানোর পূর্বে কয়েক ফোটা তেল মুখে ম্যাসাজ করে ঘুমিয়ে পড়লে তারুণ্য বজায় থাকবে দীর্ঘদিন পর্যন্ত।

৩৩।    কাঠবাদাম স্ক্রাবার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়, কাঠবাদামের সাথে মধু ও টক দই মিশিয়ে মুখে ম্যাসাজ করার ফলে ত্বকের মৃত কোষ গুলো দূর হয়। সেই সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাই।

৩৪।     যাদের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত তারা কাঠবাদামের তেল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করে ত্বকের তৈলাক্তভাব দুর করতে পারেন।

৩৫।    কাঠবাদামের তেল নাকের ব্ল্যাকহেডস দূর করতে সাহায্য করে। এটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে নাকের ব্ল্যাকহেডস দূর করা যায়।

৩৬।    অনেকেরই ত্বকে ব্রণের সমস্যা হয়ে থাকে এই ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিতভাবে কাঠবাদামের তেল ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহারের ফলে ত্বকের ব্রণ হওয়া থেকে বিরত থাকা সম্ভব।

৩৭।     কাঠবাদাম কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।

৩৮।    যে সমস্ত ব্যক্তিদের গরুর দুধ বা দুধ জাতীয় খাবারে অসুবিধা রয়েছে, তারা গরুর দুধের পরিবর্তে কাঠবাদামের দুধ খেতে পারেন, এটি শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি খাদ্য।

৩৯।     গৃহিনীরা সাধারণত রান্নায় স্বাদ বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন ধরনের মসলা ব্যবহার করে থাকেন। তবে মাংস রান্নায় বাদাম বাটা দিলে খাবারের স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়, সেইসাথে হৃদরোগীদের জন্য অনেক উপকারী হয়ে থাকে।

৪০। কাঠবাদাম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। কারণ এতে রয়েছে খুব কম পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট যা খুব সহজেই রক্তের সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় না। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা ক্যালোরির চাহিদা মেটাতে পারে।

 

কাঠ বাদাম খাওয়ার সঠিক নিয়ম

কাঠবাদাম বিভিন্নভাবেই খাওয়া যায় তবে সব থেকে বেশি উপকার পাওয়া যাবে কাঁচা অবস্থায় খাওয়ার ফলে। কারণ কাঁচা কাঠবাদামের মধ্যে যে পরিমাণ পানি রয়েছে তা ভাজা কাঠবাদামে পাওয়া কখনোই সম্ভব না। কাঠবাদাম ভাজার ফলে এর গুণগত মান অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়, কারণ আগুনের তাপে ভিটামিন-বি ও ভিটামিন-সি এর গুনাগুন নষ্ট হয়ে যায়।

সত্য কথা বলতে কাঁচা কাঠবাদামের থেকেও ভেজে কাঠবাদাম খাওয়ার স্বাদ অনেক বেশি হয়ে থাকে। আর এই কারণেই অনেকেই ভাজা কাঠবাদাম খেয়ে থাকে। তবে পুষ্টির কথা চিন্তা করতে হলে কাঁচা কাঠবাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কাঠবাদাম বেটে মাংস দিয়ে রান্না করে খাওয়া যায় এটি অনেক মজাদার হয়ে থাকে। এছাড়াও ওটমিল, সালাদ,পাস্তা ইত্যাদি বিভিন্ন কিছুর সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়।

 

খালি পেটে কাঠ বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

কাঠবাদাম বিভিন্নভাবে খাওয়া গেলেও, খালি পেটে কাঠবাদাম খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। কাঠবাদাম সারারাত ভিজিয়ে পরদিন সকালে খালি পেটে খাওয়ার ফলে এটি খুবই স্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে। এর ফলে পাকস্থলীর ও হজম সংক্রান্ত যেকোন সমস্যা সমাধান হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। আর তাই এ সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত ভাবে খালি পেটে কাঠবাদাম খাওয়ার অভ্যাস রাখতে পারেন।

 

লেখকের শেষ কথা

কাঠ বাদামের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই পোস্টটিতে। আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে আশা করছি কাঠ বাদামের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আপনার ইচ্ছা থাকে আপনার জ্ঞানভাণ্ডারকে আরও সমৃদ্ধ করার তাহলে অবশ্যই বিষয়গুলো আপনাকে জানতে হবে।

আশা করি আমাদের এই পোস্টটি থেকে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যবহুল পোস্ট যদি আপনি নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে অবশ্যই সে পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

কাঠ বাদাম সম্পর্কে আরও জানতে ক্লিক করুন

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আমি শাহরিয়ার জামান (আবির) পেশায় একজন শিক্ষার্থী এবং জামান আইটি ২৪ এর CEO।

Leave a Comment